![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের প্রিয় ব্লগাররা যখন সাহবাগে আমার মন বারবার কেদে উঠছে আপনাদের সাথে যোগ দিতে পারি নেই বলে। সারাদিন শুধু FB আর মিডিয়া সামনে ছিলাম। তরুনের উচ্ছাস আর তাদের পিছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ, সংস্কৃতিমনা, ফুটবলার ক্রিকেটাররা তথা পুরা জাতি, আমি তখন লন্ডনের একটি গুমটি ঘরে বসে এগুলো দেখছি আর ছটপট করছি ইস্ আজ যদি দেশে থাকতাম ! যুদ্ধের কথা ছোটবেলায় মা বাবার কাছে শুনতাম । আমার ফুফাতো ভাই মুক্তিযদ্ধা ছিলেন। একদিন পাকবাহিনী এসে ঐ ভায়ের বাড়ি আগুন ধরিয়ে দিলো। ভাইয়া মাঠে বসে কি কান্না আর বার দোয়া করছে, তার ছট্টো রান্না ঘর বা খড়ীকাঠী রাখার ঘর ছিল ঐ ঘরটা যেন না পুড়ায় কেননা ঐ ঘরেই বস্তা ভর্তি বোম ছিল। ভাগ্যিস ঐ ঘরটা পুড়াই নি তা না হলে আমাদের গ্রামের কেউ বেচে থাকতো না। যে অপুরনীয় ক্ষতি তারা করে গেছে তার তো কনোদিনই শোধ উঠবে না কিন্তু জাতির বুকে আজ ৪২টি বছরধরে একটা কাটা বিধে আছে সেই কাটা তলার সময় এসেছে আর এ দায়িত্ব আমাদের তথা তরুন প্রজন্মকে নিতে হবে তাই সাহবাগকে সমর্থন জানাতে আমরাও নেমে পরলাম একদিন ইস্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে। কর্মব্যস্ত এই শহরে স্বল্প সময়ের নোটিশে বেশ ভালো লোক হয়েছিল। জুম্-আ র নামাযের পর আমাদের প্রগ্রাম থাকাই জামাত-শিবিরের কিছু মানুষ মসজিদ থেকে আরো কিছু মানুষ নিয়ে ওখানে অবস্তান নেই মানে আমাদের পাশে কিন্তু এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকাই কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে নি তবে অপমান করছি ইচ্ছামত যেমন, ঘু আজমের গালে, জুতা মারো তালে তালে। তবে একটা দিনের জন্য হলেও লন্ডনে বসে সাহবাগের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি পরিশেষে বলতে চাই এখানে আমাদের আন্দোলন শেষ নয় শুরু। আমাদেরকে বহুদুর জেতে হবে অজানা সীমান্তে। এদেশ আমার আপনার সবার তাই বারবার কাদের মোল্লার মত বিজয় সুচক চিহ্ন দেখিয়ে আমাদের অপমান করতে না পারে। ৭১-এ অনেক অপমান সহ্য করেছি আর নয়।
©somewhere in net ltd.