নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ্রতার মাঝেই আমি!!

শুভ্র বিকেল

নিজেকে জানুন ।

শুভ্র বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার সূর্য দ্বিতীয় বারের মত অস্তমিত

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এ জাতি বারবার উপমানিত হয়েছে আশা আকংক্ষা বারবার ধুলিস্যাৎ হয়েছে কখনো শক্তি দিয়ে কখনো সুকৌশলে। ১৯৪৭ সালে মুসলিমদের নিয়ে গঠন করার কথা ছিল স্বাধীন রাস্ট্রসমুহ (States) একাধিক রাষ্ট্র । অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে আমাদের স্বাধীনতা লাভ করার কথা ছিল কিন্তু সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে সুকৌশলে আমাদের সেই সূর্য অস্তমিত করে দেওয়া হয় অথচ বাঙালিরা স্বাধীন বাঙলাদেশের আশায় বেঈমান জিন্নার সাথে সংগ্রাম করে আর স্বাধীনের পর জিন্না কি বলেছিলেন জানেন আপনারা ? ওনি বলেছিলেন 'States' এর 'S' ছিল Print mistake (প্রিন্টে ভুল)।

যে বিষয়টি আন্দোলন হচ্ছে, মিছিল মিটিং হচ্ছে, আলোচনার টেবিলে বারবার উঠে আসছে, চুল ছেরা বিশ্লেষন হচ্ছে, প্রতিটা দিন খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছে, মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ হচ্ছে সেটা কিভাবে প্রিন্ট মিস্টেক হল? কিভাবে সম্ভব হল? বাঙালি জাতির কি এতটুকু বোঝার ক্ষমতা নেই? হয়ত আছে বা ছিল কিন্তু যখন বুঝেছে তখন করার কিছুই ছিল না। প্রিন্ট মিস্টেকের কথা বলে সেদিন বাঙালিদের আশা আক্ঙক্ষা স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়। নবাব সিরাজোদৌলার পর দ্বিতীয় বারের মত লাল সবুজের বাংলাদেশের সূর্য অস্তমিত যায়। ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় বাঙালিদের স্বপ্ন আর এভাবে গঠিত হয় পাকিস্তান। এর পরের ইতিহাস সবাই জানেন, '৫২, ৫৪, ৬২, ৬৬, ৬৯ ৭০, ৭১।

৭১ এ ৬ দফার ভিত্তিতে নির্বাচিত শেখ মুজিব কে ভুট্টো প্রস্তাব করলেন আসুন সংসদের বাইরে ৬দফা বিষয়ে আলোচনা করি। মুজিব কালবিলম্ব না করে প্রস্তাবটি না করে দিলেন। এটাই ছিল মুজিবের সবচেয়ে বড় দোষ অথচ দুই পাকিস্তানে নিরংকুশ বিজয়ের পরও তার হাতে ক্ষমতা দিলেন না। বাকি ইতিহাস আপনাদের জানা। শুরুটা ছিল চক্রান্ত দিয়ে ষড়যন্ত্র দিয়ে তার কাছ থেকে এরচেয়ে বেশী কি আশা করা যেতে পারে। আমাদের পন্ডিত গুরু গোলাম আজম ও তার দল জামাতে ইসলাম সম্পর্কে জানতে কারোর বাকি নেই তাদের ছাত্র সংগঠন ছিল 'ছাত্র সংঙ্ঘ' তার পরিবর্ধিত, পরিমার্জিত ও সংস্কৃত রূপ হচ্ছে আজকের ছাত্র শিবির। যুগ পাল্টালেও তাদের কার্যক্রম আজ পর্যন্ত শিবির বা জামাত পাল্টায় নি। তাই যুগ যুগ ধরে চলে আশা এ অন্যয়ের বিরুদ্ধে আজ তরুনরা মাথা তুলে দাড়িয়েছে। ৪২টি বছর ধরে যে মা সন্তান হারানো শোকে কাধঁছে চোখের পানি মুছে দিতে চাই, যে বীরাঙ্গনা মা আজো কাদছে তার পানি মুছে দিতে চাই, জাতির ললাটে যে কলংকের তীলক রখা আছে তা তারা তুলে দিতে চাই। তারা যে ঐ বৃদ্ধা মায়ের মুখে একটু হাসি দেখতে চাই। তাদের এই চাওয়া যে আজ পুরা জাতির চাওয়া তাই আজ জাতি এসেছে তরুনের পিছে। আজ আমাদের রুখবে কে? যে তরুন স্বাধীনতা দেখেনি তারা আজ '১৩ কে '৭১ বানিয়ে ছারছে আমাদের এর চেয়ে আর কি চাওয়ে থাকতে পারে বলুনত?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ++++++
কিছু বানান ভুল আছে । দেখে নিবেন ।

ব্লগে স্বাগতম :)

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

শুভ্র বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ, আশা করি ঠিক হয়ে যাবে,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.