![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগকে কেদ্র করে রাজনীতি বেশ জমে উঠেছে। প্রধান দুটি দলের মধ্যে বেশ প্রতিযোগীতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হানিফ সাহেবের উপর পানির বোতল মারার পর তোফায়েল সাহেবকেও উপমান করা হয়েছে এতেও ক্ষান্ত হয়নি আওয়ামীলীগ। ভোট ব্যংক যুব সমর্থন নিতেই হবে অবশ্য এক্ষেত্রে তারা বিএনপি থেকে এক ধাপ এগিয়ে আছে। আর অনেক পরে হলেও বিএনপি বুঝতে পারছে তাদের যুব সমাজের প্রয়োজন আছে কিন্তু তাদের অবস্তান এমন যে, উত্তর ও দক্ষিন গোলার্ধ একই মুঠোয় পুরে রাখা। তারা জামাতকেও ছাড়তে নারাজ আবার যুব সমাজকেও গতকাল সমর্থন জানিয়েছে মানে দুকুলই ধরতে চাই । অবশ্য যুব সমাজকে সমর্থন দিলেও বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে, যেমন- পদ্মা সেতু দুর্নিতী, সাগর-রুনি হত্যা, গুম, গার্মেন্টসে আগুন, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যুব সমাজকে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলেছে। অর্থাৎ বিরোধী দল হিসেবে তাদের যে দ্বায়িত্ব তার পুরোটা যুব সমাজের উপর চাপাতে চাচ্ছে। অন্যদিকে বেগম জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে একটি প্রবন্ধ লেখেন সেখানে তিনি নানা বিষয় তুলে ধরেন কিন্তু বেশ কিছুক্ষেত্রে বিচক্ষনতার পরিচয় দিতে পারেন নি আমি বলব এগুলো আমাদের জন্য উপমানেরও বটে যেমন -১) স্বাধীনতার যুদ্ধকে তিনি আত্মনিয়ন্ত্রনের কথা বলেছেন। ২) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রগুলোকে আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করতে বলেছেন। ৩) তিনি গার্মেন্টস সেক্টরে যুক্তরাষ্ট্র যে জেএসপি সুবিধা দেয় তা বন্ধ করতে বলেছেন। ৪) যুক্তরাষ্ট্রকে তোষামোদ করে আরেকটি কথা বলেছেন, যে কয়টি রাষ্ট্র আমাদেরকে প্রথম দিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তারমধ্যে অন্যতম যুক্তরষ্ট্র কিন্তু এর পুরোটায় মিথ্যে বরং ওরা আমাদের শত্রুপক্ষের মিত্র ছিল। আমেরিকা সপ্তম নৌ বাহর বা যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছিল আমাদের বিরুদ্ধে কিন্তু রাশিয়ার কারনে ফিরে যেতে হয়েছিল। ৫) আমেরিকাকে তোষামোদ করার জন্য আরও একটি কথা বলেছেন, মায়ানমার কে বার্মা বলেছেন উল্লেখ্য, মায়ানমার তার নাম পরিবর্তন করেছে অনেক আগে কিন্তু আমেরিকা তাকে এখনো বার্মা বলে সম্বোধন করে। এখন বিএনপির উর্দ্দেশ্য কি? আত্মসম্মান, মান মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে যেকনো ওয়েতে ক্ষমতা দখল করা এর জন্য বহির্বিশ্বে আমেরিকা ব্রিটেনসহ পাশাত্যেকে পুশ করছে, যুব সমাজকে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে দাড় করানো আর তার সহযোগী জামাত শিবিরকে দিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা করিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করা। পানি আমি ছুব না কিন্তু পুকুরের সব মাছ আমি ধরব। ওনি ভুলে গেছেন যে ওনার কথায় আমেরিকা হস্তক্ষেপ করবে না আর করলে অন্তত ওনার হাতে ক্ষমতা দিবে না। ওনি ভুলে গেছেন যে ওনি একটি স্বাধীন স্বাবভৌম গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিরোধী দলীয় নেত্রী ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রি। ওনি ভুলে গেছেন উনি শুধু সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন দেশের বিরুদ্ধে নয়, জনস্বার্থের বিরুদ্ধ নয়। সত্যি অবাক লাগে ক্ষমতার মহো আমাদের কথায় নিয়ে গেছে। আজ ৪২টি বছর যখন পাক সেনাদের কালো তীলক রেখা আমাদের ললাটে জমাট বেধে আছে , ৪২টি বছর ধরে যখন বিরাঙ্গনা মায়েরা কাঁধছে , যখন সন্তান হারা মা কাঁধছে, ভাই বা বোন হারা ভাই বা বোন কাঁধছে, যখন যুব সমাজ রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি বা বর্তমান জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করছে, গোসল খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে ঠিক তখন বিএনপির কাছ থেকে কি এমন আচরন কি খুবই যৌক্তিক? এ দেশ, এ জনসাধারন বলে কি তাদের কাছে কিছুই নেই? একটুও মায়ামমতা নেই শুধুই ক্ষমতা? যারা বিএনপি রাজনিতীর সাথে জরিত তারা কি এদেশের সন্তান নয়? আমরা বড় মজার কিছু নেতা-নেত্রী পেয়েছি। যখন অন্যান্য জাতি নিজেদের দুর্বলতা ঢেকে সুখ্যতিগুলো যাচে বলে আর শুনতে চাই অন্যের দুর্বলতা তখন আমরা যাচে বলে আসি শুধু বলেই শেষ নয় হস্তক্ষেপও করতে বলি। হয়ত আমাদের এসব কথায় ওরা অট্ট হাসিতে আটখানা হয়, নয়ত বলে কি বোকা জাতি! নিজের ভালো মন্দও বোজে না! তবুও বলব আমরা আশাবাদি, আমরা তরুনরা ভাল-মন্দ বুঝতে শিখেছি, আমরা আন্দোলন করতে জানি, নিজের চাওয়া-পাওয়া বা অধিকার আদায় করে নিতে জানি, সাকিব-তামিমরা পৃথিবী জয় করছে, এখনো আমরা প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে পৃথিবীর প্রথম ৫টির মর্ধ্যে একটি, আমাদের আছে অফুরন্ত মানব সম্পদ, গার্মেন্টসের দিক দিয়ে বিশ্বে দু একটির মধ্যে আমরা একটি, আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ তৈরি হচ্ছে, রপ্তানিও হচ্ছে, অন্যান্য শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছি, সুতারাং আমরা একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াবই ইনশাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.