নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ্রতার মাঝেই আমি!!

শুভ্র বিকেল

নিজেকে জানুন ।

শুভ্র বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবিরের ধংসযজ্ঞ কি ইসলাম সমর্থন করে?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

জামাত শিবির ইসলামের নাম দিয়ে পাকিস্থানী কায়দায় ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা সংখালঘুদের বাড়িঘর মন্দির ভাংচুর করছে পুড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের উপর নির্যাতন করেছে, এটা কি ইসলাম? অথচ ইসলামে সংখ্যালঘুরা আমানতসরুপ তাদের ও তাদের সম্পত্তি রাত জেগে পাহাড়া দিয়ার বিধান আছে। জাতীয় পতাকা ছিড়ছে, শহীদ মিনারের ফুল পদদলিত করে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়েছে, শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে, বিভিন্ন ভাস্কার্য ভাংচু করেছে, এটা কি ইসলাম? নাকি দেশোদ্রহ?? ঠিক পাকিস্থনিরা যা করছিল ওরাও এখন তাই করছে। ওরা নয়টি মাস ধরে ঘন্টায় ৬৫ জন অর্থাৎ মিনিটে একজনেরও বেশি খুন করেছে। ওরা নতুন করে শুরু করেছে হত্যা ভাংচুর বোম্বিং, ওরা মানুষের সাভাবিক জীবনকে করে তুলেছে অতিষ্ট, ইসলামের নাম দিয়ে ইসলামকে কলঙ্কিত ও কলুষিত করে এক চড়ম পর্যায়ে গিয়েছে। সাধারন মানুষ ধর্মভীরু আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চড়ম অধর্মের কাজ ওরা করে যাচ্ছে। গভীর রাতে মসজিদ থেকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে চাঁদে দেলয়ার হোসেন সায়িদির ছবি দেখা যাচ্ছে এভাবে সাধারন মানুষগুলিকে রাস্তায় নিয়ে এসে থানাসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিস্ঠানে হামলা করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন মুসলমান হিসাবে এধরনের ফ্রড বা চিট করা কি উচিত? ইসলামের নাম দিয়ে এধরনের চীট করার অধিকার কি জামাত শিবিরের আছে? শুধুমাত্র তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কাছে সবাই নাস্তিক!!! তাদের এহেন কার্যকলাপ কি আস্তিকের মত হল? তারা যদি সত্যিই ইসলামকে মনেপ্রানে ভাল বাসত তারা কি একাজ গুলো করতে পারত? সব সময়ই আগাছার বার বেশি। এরা ধর্মের নামে যা খুশি করে যেতে পারে আর মনে করে দুবার নামাজ পরলেই সব মাপ হয়ে যাবে!! অর্থাৎ পাপ করে পাপি হবে নামাজ পরে শুধরাবে এটাই জামাত শিবিরের সহজ ও সরল সমিকরণ। এরা মানুষ খুন করে ইমানী দায়িত্ব পালন করে। এরা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জালিয়ে পুড়িয়ে ইমানী দায়িত্ব পালন করে। ইমানী দায়িত্ব যে কি কি আর কুর-আন হাদিসের কোথায় যে এগুলো লেখা আছে আমি এখনো খুজে পেলাম না। প্রিয় বন্ধুগন যদি কেউ এধরনের হাদিস জানেন প্লিজ রেফারেন্স দিলে কৃতার্থ হব। আর যদি না পারেন জামাত শিবির কে সমর্থন করবেন না দোযখেও জায়গা হবে না। এই নিজামি মুজাহিদ গোলাম আজমদের একজন যদি অপরাধী হয়ে থাকে আর তার জন্য যদি আপনার কোন প্রকার সিমপ্যাথী থাকে তাহলে শহীদ তো দুরের কথা দোযখের কোন স্থানে জায়গা হবে বলা মুসকিল। দোযখের ৭৩ কাতারের মধে ৭২ কাতার থাকবে এই দাড়ি টুপির চিট ফ্রড মৌলবীরা। যারা ধর্মকে নিয়ে খেলা করে, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দেয়, তারা বিষধর কাল সাপের চেয়েও বেশি ভয়ংকর। তাদের ছোবলে পুড়া জাতি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। যার উৎকৃষ্ট উদহরন আজকের পাকিস্থান। আর এই ভয়ংকর খেলা থেকে আপনার ও আপনার জাতিকে মুক্ত করার দায়িত্ব আপনারও। ওরা কতটা বিষাক্ত ৭১এর পর গত কয়েক দিনে আবার দিয়েছে। একজন নাস্তিক ইসলাম মানে না কিন্তু ইসলামের কোন ক্ষতি করে না করতেও পারে না তাদের কথা কেউ বিশ্বাসও করে না যদি কেউ ইসলামের ক্ষতি করতে চাই তাহলে ইসলামের ভিতর থেকেই করতে হবে। "জানেন তো ঘরের শত্রু বিভিষন"।

হাদিসে আছে সর্বপ্রথম জিহাদ কর ইসলামের ভিতর যে সব শত্রু আছে তাদের বিরুদ্ধে। তাহলে একজন মুমিন হিসেবে একজন মুসলিম হিসেবে আপনার যুদ্ধ কোথায় করা উচিত? আপনার ইমানি দায়িত্ব পালন করতে হলে কি করা উচিৎ? খুজে বের করতে হবে কারা ইসলামের নাম নিয়ে কলুষিত কলঙ্কিত করছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম শান্তি প্রতিষ্ঠা করায় ইসলামের কাজ। কিন্তু সেই শান্তি বিনষ্টকারীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোও ইসলামের দায়িত্ব। আবার দেশকে রক্ষা করাও আপনার দায়িত্ব। আপনাকে মনে রাখতে হবে এখানে সংখ্যালঘুদের উপর আঘাত করলে অন্যান্য দেশে আপনার মুসলিম ভাইদের উপর আঘাত করবে। সুতরাং জামাত শিবির নামক বিষধর বিরুদ্ধে এখনি রুখে দাড়ান ওদের বিষদাত ভেঙ্গে দিন নইলে আপনাকেই পস্তাতে হবে জেনে রাখুন খারাপ মানুষ যে থালায় খায় সেই থালায় ফুটো করে। একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে, একজন ঈমানদার হিসেবে, একজন মুসলিম হিসেবে, একটা সভ্য জাতি হিসেবে সমাজের এই কিট মুলৎপাঠন করা আপনার দায়িত্ব। আপনারা যে যেখানে আছেন সেখান থেকে যতটুকু পারেন আপনার দায়িত্ব পালন করুন। আল্লাহ আপনার সহায় হবেন ভাল থাকুন।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.