![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে সামাজিক অবস্থা যেমন নূয়ে পড়ছে তেমন-ই ধর্মীয় উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে! এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মকে পুজি করে স্বার্থ হাসিলে ব্যবসা করে যাচ্ছে, আরেক শ্রেণী আছে ধর্মান্ধ, আর তৃতীয় শ্রেণী হল এই অন্ধত্বকে কাজে লাগিয়ে রাতারাতি খ্যাতির চূড়ায় উঠা, এজন্য এ শ্রেণীর মানুষ গুলো ধর্মকে নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলে থাকে! আর প্রথম শ্রেণী, এর কতল করা ফরয, সুন্নত, ওয়াজিব, মাগরিব যা মনে আসে বুঝায়, এর মারতে গিয়ে তুমি মরলে শহীদ হবা, তোমার চৌদ্দ গোষ্টি বেহেস্তে যাবে, না মরলে গাজি, শহীদের সমান সোয়াব, আরো আরো সোয়াব কামাতে পারবা, এক সময় পুরা বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে নিতে পারবা, আর বেহেস্তের অপার সুখ-শান্তির গল্প না হয় আজ বাদ-ই দিলাম! প্রথম পক্ষ, ধর্মীয় জ্ঞানের পরিবর্তে ধর্মীয় অন্ধত্ব ট্রানজিট করে দ্বিতীয় পক্ষের কাছে! সবচে' আতঙ্কের বিষয় হল, এদের তারগেট ১৫-২০ বছরের স্কুল কলেজে পড়ুয়া কোচি-কাঁচা কিশোরদের, নরম কাদা যেভাবে খুশি গড়া যায়, তাই জীবন কি বুঝে উঠার আগেই হাতছানি দেয় জঙ্গিবাদে! আমরা সকলেই জানি, এই বয়সে এই ভয় ডর কম সাহস বেশি, তাই যে কোনো কাজ করানো সম্ভব!
এই তিন পক্ষের চাপাচাপিতে ধর্মের আজ বেহাল দশা! তবে এটা সত্য যে ধর্মে আবিষ্কার হয়েছে মানবজাতির কল্যানের জন্য, সামাজিক অনাচার রোধ করে সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে জন্য! যে, যে ধর্মের অনুসারি হোক না কেন, সমাজের সকল অনাচার ব্যবিচার রোধ করে, শান্তি শৃংখলিত ও ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষায় ধর্ম দেয়! এই শিক্ষায় মানুষের জীবনে পাথেয় হয়ে থাকার কথা, কিন্ত তা না হয়ে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান হয় তখন ভাববার বিষয়, গবেষনার প্রয়োজন, কেন এমনটি হচ্ছে! যদি শুধু মৌলবাদ থেকে জঙ্গিবাদের উত্থান হয় তাহলে গবেষনা হওয়া উচিত, কোর-আন, হাদিস, ফিকাহ্সহ সকল ইসলামী শাস্ত্র! সকল জেনারেল ও কওমি মাদ্রাসর শিক্ষক, মসজিদের ঈমাম, ও সকল ইসলামী বক্তার মান যাচাই করা উচিত! আদৌয় তাদের ইসলামি জ্ঞান আছে কি না, নাকি শুধু কতল করার শিক্ষা দিচ্ছে! সকল মাদ্রাসা মসজিদে স্পাই ক্যামেরা বসানো হোক, আমরা দেখতে চাই জঙ্গি ও ইসলাম কেন গুলিয়ে যাচ্ছে!
যা হোক, তিন পক্ষ নিয়ে বলছিলাম, এবার আসি আরো একটা পক্ষ নিয়া, তারা হল বিজ্ঞান মনস্ক, মুক্ত চিন্তার মানুষ, ধর্ম বিশ্বাস নেই, আমরা জানি, ধর্ম অন্ধ বিশ্বাস, না দেখে না বুঝে বিশ্বাস করতে হয় কিন্তু এরা এটা করতে নারাজ, বিজ্ঞান প্রমান বিশ্বাস করে, প্রমাণ ছাড়া এরা কোন কিছু বিশ্বাস করে না! এখন মূল কথা দাড়াল বিশ্বাস অবিশ্বাসের! অর্থাৎ যারা বিশ্বাস করে তারা আস্তিক, যারা করে না তারা নাস্তিক, শুরু হল দ্বন্দ্ব আস্তিক নাস্তিকের! যখন নাস্তিকরা আস্তিকদের বিশ্বাসের উপর কথা বলে তখন তা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কতল করা ফরজ! যখন আস্তিকরা নাস্তিকদের বিশ্বাসের উপর আঘাত করে তখন যে কি তা আজও বুঝি নি! ধরুন, নাস্তিকরা বলল, ধর্ম বলে কিছু নেই, এটাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, যখন আস্তিকরা বলল, ধর্ম বলে কিছু আছে তখন কি নাস্তিকদের বিশ্বাসে আঘাত নয়? ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে কোন নাস্তিক আস্তিক কে একটা থাপ্পর দিয়েছে এমন রেকর্ড আমার জানা নেই, তবে আস্তিকরা যে নাস্তিকদের ধরে ধরে কতল করে তার রেকর্ড ভরি ভরি আছে! সুতরাং উগ্রতার ধারক ও বাহক আস্তিকরা! আমি সরাসরি আস্তিকরা বলতে পারি না, অতিশয় আস্তিক প্রথম পক্ষের অন্তর্ভূক্ত!
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে এটা বলতে পারি, কোন নাস্তিক ইসলামের ক্ষতি করে নি, যদি কেউ ক্ষতি করে থাকে এই অতিশয় আস্তিকরা করেছে! ইসলাম এতটা ঠুনক নয় যে একজন নাস্তিক কি বলল তাতে তাতে ইসলাম স্বর্গে চলে যাবে বরং তারায় ইসলামের ক্ষতি তারায় করেছে যারা ১লা বৈশাখ বাঙালি কালচারকে হিন্দুয়ানা বলে নিষিদ্ধ করতে চাই, যারা লক্ষ শহীদের শ্রদ্ধা বেদীতে ফুল দেয়াকে পূজা বলে ঘোষনা করে! বাঙালি রক্তের সাথে মিশে থাকা শহীদ মিনারকে ভেঙ্গে এরা নাকি ইসলাম প্রতিষ্টা করবে, এরাই ইসলামের শত্রু, জাতির শত্রু, দেশের শত্রু! ভারতে কোন হিন্দু কোন এক মুসলিমকে পিটিয়েছে, এদেশে যত হিন্দু বাড়ি আছে পুড়িয়ে দাও, যত মন্দির আছে জালিয়ে দাও, কোন এক বোদ্ধর ছেলে ফেসবুকে একটা ছবি আপলোড করেছে তাতে ইসলামকে উপমান করা হয়েছে, যেখানে যত বৌদ্ধ আছে মার শালাদের, ওদের যত বাড়ি ঘর আছে জালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে! এবার নির্বাচন ব্যান্ডকরা হয়েছে এরপরও শালা মালাউনের বাচ্চা ভোট দিয়েছে, এবার শুধু জালিয়ে পুড়িয়ে শেষ নয় মালাউনের বৌ মেয়েদের ধর্ষণ করা জায়েজ হয়েছে যে যার পারিস ধর্ষণ কর, এদের ধর্ষণ করেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা হবে! (নাউযুবিল্লা) ফেসবুকে বেশ কিছু হিন্দু বন্ধুরা লেখেন, "ওরা যতই অত্যাচার করুক, এই তোরা কেউ এদেশ ছেড়ে পালিয়ে যাসনে, এটা আমাদের বাব-দাদার ভিটে" তখন দু ফুটা অশ্রুজল আর বালিশে মুখ লুকানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না! অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফেসবুক বন্ধু মোহনা ইসলাম বলেন," আমার কোন ধর্ম নেই, হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান সব সমান, আজ থেকে আর কখনো মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিব না কখনো না" মোহনা ইসলাম থেকে মোহনা চৌধুরী হয়ে যায়! লজ্জা ঘৃণায় নিজের মাথা হেট হয়ে যায়, বলতে পারি নি এটা ধর্ম নয় উগ্রতা!
আজ যদি অভিজিতের আত্মা কেঁদে কেঁদে বলে তোমরা আমাকে মার নি, মেরেছ একটা আলোকে, একটা ভবিষ্যতকে, একটা জাতিকে! কি জবাব দেবে তুমি? এর কারনেই উদার মনা লেখকগণ লিখতে পারেন না লিখলেও প্রকাশ হয়, আবার প্রকাশ হলে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে! একদিকে উদার মনা লেখক তৈরী হয় না আবার যারা হয় তাদের হত্যা করা হয় এভাবে দেশকে মেধাশুন্য করা হচ্ছে!
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
শুভ্র বিকেল বলেছেন: জঙ্গিরা জঙ্গলে থাকে ওরা কখনো মানুষ্য সমাজে আসতে পারে না!
উদার মনারা মরে না বেঁচে থাকে তাদের কীর্তি দিয়ে! এরা রক্ত দিয়ে হলি খেলে না! আর যারা রক্ত নিয়ে হোলি খেলে আর যায় হোক তারা মুসলিম না!
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: @ লেখক, ভাল লিখেছেন ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবু ভাই!
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২
শুভ্র বিকেল বলেছেন: প্রমানিক ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: দেশে আইন আছে। বাংলা সিনেমার কমন ডায়ালগ আইন হাতে তুলে নিবেন না। নাস্তিক আর মূর্তাদ ওরা মানুষ। ওরা অপরাধ করলে জেলে ভর। থানায় মামলা কর। থানায় মামলা নানিলে আদালতে মামলা কর।
কেন শিয়াল বেড়ালে মত মাথায় বাড়ি মেরে হত্যা করবে।
অথচ জঙ্গিরা আইন সহায়তা পায়। পায় জেল খানা। সেখানে পাতলা ডাইল খায়। আবার অনেকে জামিনে বেরও হয়।
আর মুক্ত মনারা এক বাড়িতে প্যান্ট ভিজিয়ে মরে যায়। রাজিবকে মোতায়া ফালাইছে কোপের চোটে। ফেইজ বুকে ওর জিন্সের প্যান ভেজা ছবি ছাপা হয়েছে।
অনেককে আবার হাগায়া ফালায় কোপের চোটে।