![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্বে সবচে, ভয়ংকর সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম আইএসআইএস। মধ্যপ্রাচ্যে, আফ্রিকা ও এশিয়ায় বেশ কিছু জঙ্গী সংগঠন আছে যেমন, বকো হারাম, আলকায়েদা, আইএস ইত্যাদি। আবার কিছু সংগঠন আছে নিজের দেশ রক্ষায় বা স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে, এদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা চলে না। যেমন ফিলিস্তিনের হামাস। আবার যেকোন যুক্তিতেই নিরীহ মানুষ হত্যা করা অতিশয় নিকৃষ্ট কাজ। কোন অবস্থায় এটা গ্রহনযোগ্য নয়। বিশ্বের সব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে কিছু ভাল জিনিস সামনে নিয়ে আসে কেউ ধর্ম, কেউ দেশ স্বাধীন। যেমন, উপরোক্ত সংগঠনগুলো ধর্মকে সামনে নিয়ে এসেছে, ভারতের আলফা স্বাধীনতা চাই। আজকের আলোচ্য বিষয় আইএসআইএস ( ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড সিরিয়া) । পর্যায়ক্রমে তালেবান, আলকায়েদা, বকোহারামের মত জঙ্গী সংগঠন নিয়ে আলোচনা করব। আইএস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথম যে কথাটি চলে তা হলো এর উৎপত্তি আর উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করলে অভ্যিয়াসলি ইরাক যুদ্ধ সে এক বিরাট কাহিনী তবে শর্টকাট কিছু আলোচনা করব।
## ইরাক যুদ্ধ: আমার মনে হয় ইরাক যুদ্ধই আইএসের উৎপত্তির একমাত্র কারন, কেননা ইরাক যুদ্ধ না হলে উপসাগরীয় অঞ্চলে আজ এই অবস্থা হত না আইএসের জন্মেরও কোন সুযোগ ছিল না। ইরাক যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পরাজয়ের পর সেনাবাহিনীর হাতে যে অস্ত্র থেকে যায় তার অধিকাংশই জমা দেয় নি। সেসব অস্ত্র ও সেনাবাহিনীই আজকের আজকের আইএসের প্রধান উপজীব্য বিষয়। আইএসের উর্ধতন ব্যাক্তিবর্গের অধিকাংশ সাদ্দাম হোসেনের সেনাসদস্য ও কর্মকর্তা। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তারা নির্বিঘ্নে অস্ত্র ধরেছে।
##গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব: গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব আইএস সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারন। ইরাক ও সিরিয়ায় তিনটি প্রধান গোষ্ঠী আছে, যথা- সিয়া, সুন্নি ও কুর্দি। মেইন প্রব্লেম সিয়া ও সুন্নি। একে অপরকে মুসলিম বলে স্বীকার করে না বা চাই না। ফলশ্রুতিতে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌছায়। একই কারনে ইরান-ইরাক বহু বছর ধরে যুদ্ধ করেছে। ইরাক যুদ্ধে সুন্নিদের হাত থেকে সিয়াদের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে সুন্নিদের পক্ষে তা মেনে নেয়া সম্ভব হয় নি। সুতরাং আইএস লোকবল, অস্ত্র ও জনসমর্থন সবকিছু এখান থেকে পেয়েছে। শত শত বছর ধরে চলে আসা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ক্ষমতার পালা বদলে তা শুধু উস্কে দিয়েছে প্রশোমন করে নি।
## আমেরিকার তৈরী: শুধু আলকায়েদা বা আইএস নয় বিশ্বের বহু সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন আমেরিকা অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করেছে। এখানে আমেরিকা এক আজব খেলা খেলে। তারা তেলের বিনিময়ে সমপরিমান রক্তের খেলা খেলতেও দ্বিধা করে না। আজকের মধ্যপ্রাচ্যে রক্তের এই হলি খেলার নায়ক আমেরিকায় এবং তা তেলের জন্যে। ইরাক-ইরান যুদ্ধ, ইরাক, আফগান, সিরিয়া, লিবিয়া যুদ্ধ, আইএস, আল কায়েদা জঙ্গী সংগঠন তৈরী, আবার এসব জঙ্গী সংগঠনের উপর বোমা ফেলা এইসব কাজের মূল নায়ক এই আমেরিকা। আইএস তথা ইসলামি স্টেট নাম দিয়ে সারা বিশ্বে মুসলিমদের আকৃষ্ট করার কুটচালটিও আমেরিকার। বলা বাহুল্য। আমেরিকা শুধু একা নন তাদের অ্যালিস- তুর্কি, সৌদি আরব, কাতার, দুবাই আইএসকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও অর্থ প্রদানে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে। ইউরোপের বেশ কিছু রাষ্ট্র আইএসের কাছ থেকে কম মূল্যে তেল কেনে। এজন্যই আইএস বিশ্বের সব থেকে ধনি জঙ্গী সংগঠন।
©somewhere in net ltd.