নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....
সাইফুল ইসলাম। বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছে মাস দুই হবে। বাড়ি ঢাকার কােন বস্তিতে। ওর জীবনের বড় আফসোস, ওর মা মারা গেছেন। যখন সে ছোট ছিল। এক শবে-বরাতের রাতে পুড়লো কপাল। মা থাকলে হয়তো এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ একভাবে তাকাতো, নিশ্চয়ই এখন যেভাবে তাকায় সেভাবে না।
ও হয়তো স্কুলে যেতে পারতো। মানুষের লাথি-গুতো খেয়ে পথের ধারে শুয়ে রাত কাটাতো না। কিন্তু সাইফুলের জীবনের গল্পটা ওর স্বপ্নের কাছ থেকেও যায়নি। মা হঠাৎ মারা যাওয়ার পর বাবা হান্নান আরেক বিয়ে করেন। সেই সৎ মা ও বাবা খুব ভালোবাসতো। নতুন সংসারে ছিল আরেক বােন। সে ওকে ভিক্ষা করা শিখাতো। বাসায় কাজ করতে বাধ্য করতো। কিন্তু শৈশব কি অত কিছু বোঝে? ওর মনের মধ্যে শৈশব নামের পাখিটার ডানাটা চেপে ধরলো বোন।
কিন্তু বোনকি নিজে বাধ্য করাতো নাকি ওর মা-বাবার গোপন ইন্ধনে রুঢ় ছিল? তা ও জানে না।
কি আর করার! ঘর ছেড়ে একদিন সদরঘাটের লঞ্চে চেপে বসলো। নতুন জীবন। তৃতীয় এই জীবন এসে ভিড়লো বরিশাল নদী বন্দরে। সেখানে ওর পরিচয় হলো টোকাই নামে। কিন্তু সাইফুল কি টােকাই ছিল? যদি না ওর মা মারা যেত, যদি না ওর বাপ আরেক বিয়ে করতো, যদি না ওর বোন একটু আদর করেতা! তাহলে কি একটু কম খেলেও, দুঃখে থাকলেও টােকাইতো হতো না।
নিজের জীবনের গল্পটা তাই ও গানে গানে প্রকাশ করে। ওকে লঞ্চঘাটের শ'দুয়েক ছিন্নমূল ডাকে শিল্পি নামে।
ওর জীবনের গল্পটা শুনতে শুনতে মনটা ভারী হয়ে উঠলো। বেরিয়ে এলাম লঞ্চঘাট থেকে। বাইরের আকাশটা কালো। পথেঘাটে কেউ নেই। সাইফুলের জীবনটার মত পৃথিবীটাকে আক্রমন করেছে কভিড-১৯। সেই আতঙ্ক সবার মনে। কিন্তু সাইফুল অতটুকুন বুকে যে কষ্ট নিয়ে ঘোরে তার ভাগ নেওয়ার কি কেউ আছে? ওর মা ছাড়া।
সাইফুলের কণ্ঠে গান শুনতে ক্লিক করুন
(চলবে.....)
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কি দোষ এই সাইফুলের জবাব দাও হে মানুষ
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জীবনের সত্য গল্ গুলো আসলে কষ্টের গল্প।