নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তনুর খুনিদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসা কি অসম্ভব?

২০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৭



অনেকেই বলেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন লিখি? বাস্তবিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমি কখনোই লিখি না। বোঝার একটু ভিন্নতা, চোখ সরানোর একটু সদিচ্ছা থেকে লেখা পড়লে মনে হয় বিভ্রান্তি থাকবে না। যারা বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যথার্থ আইন মানেন, প্রয়োগ করেন তারাই সত্যিকারের প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে আমি কখনোই লিখি না।

কিন্তু যারা শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকার, বিচার বিভাগে থেকে দেশপ্রেম, আইনের সঠিক প্রয়োগকারী নন প্রশাসনের মোড়কে তারা দুর্বৃত্ত। জাতির জনকের বক্তব্য কিন্তু এমনটাই বলে। এসব চাটার দল। বরংছ এসব চাটার দলদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের সোচ্চার হওয়া দায়িত্ব।

কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণ ও হত্যার সাত বছর অতিক্রম করলো, এখনো কি এর ঘাতকদের শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ? পারেনি। পারার চেয়ে বলা ভালো, ধর্ষক ও খুনিদের সর্বসাধারণের সামনে আনেনি। হয়তো ধর্ষক তারাই যারা ইউনিফর্মের লোক নতুবা গদি চালান।

আইন অনুসারে হওয়া উচিত ছিল, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সাগর-রুনী হত্যার যেমন কূল কিনারা হয়নি তেমনি তনু হত্যারও কূলকিনারা হয়নি। ধরুন কোন পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে সিচকে চোর একটা তোয়ালে নিয়ে গেছেন, সেই চোর মোবাইলও চালান না। অথচ দেখবেন সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সেই চোরকে শনাক্ত করে খাঁচায় পুরে দিবে পুলিশ।

শুধু তনু হত্যা, সাগর রুণী হত্যার মত কিছু ঘটনার অপরাধী প্রকাশ্যে আসে না। তাহলে প্রশাসন যে বলে, জিরো টলারেন্স, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তনু হত্যার ৭ বছরেও কি পুলিশ পেরেছে অপরাধীদের ছাড় না দিতে? যদি না পারতো তাহলে নিশ্চয়ই জাতি জানতে পারতো খুনিদের পরিচয়। তাদের বিচার নিশ্চিত হতো।

কারন খুনতো অজ্ঞাত কোন স্থানে হয়নি? খুন হয়েছে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে একটি সুরক্ষিত এলাকায়। তনুর লাশ ক্যান্টনমেন্টের পাওয়ার হাউজের অদূরে ঝোপের ভেতর পরে ছিল। ভিনগ্রহ থেকে এসেতো কেউ ধর্ষণ আর খুন করে যায়নি।

দশ ট্রাক অস্ত্র সরকারি মদদে দেশে এনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কিন্তু বলেছিলেন, ইউ আর লুকিং ফর শত্রুজ। আবার জজ মিয়া নাটকও দেখেছে দেশবাসী। এসব ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে ভিন্ন নাটক কিন্তু ক্ষমতাশীনরাই সাজিয়েছিল।

কথা হচ্ছে, তনুর খুনিদের আড়াল করতে তেমনি তদন্ত তদন্ত খেলা নিরসন হোক। জাতি জানতে চাইছে তনুকে ধর্ষণ ও হত্যা চালিয়েছিল কারা? অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র-শুধু গাল ভরা গল্প শুনতে চাই না। আমরা আইনের প্রকৃত প্রয়োগ চাই।

তনু হত্যার বিচার চাই। অনেকেই বলেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন লিখি। বাস্তবিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমি কখনোই লিখি না। বোঝার একটু ভিন্নতা, চোখ সরানোর একটু সদিচ্ছা থেকে লেখা পড়লে মনে হয় বিভ্রান্তি থাকবে না। যারা বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যথার্থ আইন মানেন, প্রয়োগ করেন তারাই সত্যিকারের প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে আমি কখনোই লিখি না।

কিন্তু যারা শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকার, বিচার বিভাগে থেকে দেশপ্রেম, আইনের সঠিক প্রয়োগকারী নন প্রশাসনের মোড়কে তারা দুর্বৃত্ত। জাতির জনকের বক্তব্য কিন্তু এমনটাই বলে। এসব চাটার দল।

কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণ ও হত্যার সাত বছর অতিক্রম করলো, এখনো কি এর ঘাতকদের শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ? পারেনি। পারার চেয়ে বলা ভালো, ধর্ষক ও খুনিদের সর্বসাধারণের সামনে আনেনি। হয়তো ধর্ষক তারাই যারা ইউনিফর্মের লোক নতুবা গদি চালান।

আইন অনুসারে হওয়া উচিত ছিল, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সাগর-রুনী হত্যার যেমন কূল কিনারা হয়নি তেমনি তনু হত্যারও কূলকিনারা হয়নি। ধরুন কোন পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে সিচকে চোর একটা তোয়ালে নিয়ে গেছেন, সেই চোর মোবাইলও চালান না। অথচ দেখবেন সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সেই চোরকে শনাক্ত করে খাঁচায় পুরে দিবে পুলিশ।

শুধু তনু হত্যা, সাগর রুণী হত্যার মত কিছু ঘটনার অপরাধী প্রকাশ্যে আসে না। তাহলে প্রশাসন যে বলে, জিরো টলারেন্স, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তনু হত্যার ৭ বছরেও কি পুলিশ পেরেছে অপরাধীদের ছাড় না দিতে? যদি না পারতো তাহলে নিশ্চয়ই জাতি জানতে পারতো খুনিদের পরিচয়। তাদের বিচার নিশ্চিত হতো।

কারন খুনতো অজ্ঞাত কোন স্থানে হয়নি? খুন হয়েছে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে একটি সুরক্ষিত এলাকায়। তনুর লাশ ক্যান্টনমেন্টের পাওয়ার হাউজের অদূরে ঝোপের ভেতর পরে ছিল। ভিনগ্রহ থেকে এসেতো কেউ ধর্ষণ আর খুন করে যায়নি।

দশ ট্রাক অস্ত্র সরকারি মদদে দেশে এনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কিন্তু বলেছিলেন, ইউ আর লুকিং ফর শত্রুজ। আবার জজ মিয়া নাটকও দেখেছে দেশবাসী। এসব ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে ভিন্ন নাটক কিন্তু ক্ষমতাশীনরাই সাজিয়েছিল।

কথা হচ্ছে, তনুর খুনিদের আড়াল করতে তেমনি তদন্ত তদন্ত খেলা নিরসন হোক। জাতি জানতে চাইছে তনুকে ধর্ষণ ও হত্যা চালিয়েছিল কারা? অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র-শুধু গাল ভরা গল্প শুনতে চাই না। আমরা আইনের প্রকৃত প্রয়োগ চাই।

তনু হত্যার বিচার চাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: যেহেতু সরকার আসামীদের খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আপনি আগে আসামীদের সন্ধান দিন। তারপর বিচার চান।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

জগতারন বলেছেন:
তনুর খুনি অভিশপ্ত শয়তান,
তার উপর আল্লাহর লানত পড়ুক।
অভিশাপ দিচ্ছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.