![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরুতেই মোর ফুরাল কালি, হারাল লেখার ভাষা;
লিখিব কি করে, পাইনি আমি, পাইনি যাহার দিশা ।
রুপ শুরু যাহার কৃষ্ণকেশে, পদ অঙ্গুলে শেষ,
রঙের মাঝে রঙ্গিন সে এক, নতুন সমাবেশ ।
গুরুর হাতের শেষের কবিতা, চন্দ্রেরই দেবদাস,
বোধহয় মোর, তাহারই জন্য, হবেই উপহাস ।
চন্দ্রমুখের হাসিতে তাহার, জগত যেন হাসে,
জল ছেড়ে যেন পদ্ম সকল, হাওয়ার দোলায় ভাসে ।
উপমা দিলে যে কৌতুক হবে, বলছিনা আমি মিছে,
হুরদের রানী হওয়ার দাবি, শুধুই তাহার আছে ।
.
অঙ্গ তাহার দুলিলেই বুঝি, ফোঁটে গোলাপ ফুল,
ফাগুনের গোলাপ, সকলই যেন, তাহারই গহনা দুল ।
মনের ভুলেতে দৃষ্টি আমার, পড়িলে তাহার পায়ে,
বিনি আলতার রঙ্গিন পা-দুটি, আমার দিকেই চাহে ।
রঙ নেই, তবু রঙ্গিন তনুতে, সূর্য না দেয় আলো,
সে যেন তাহাকে আপন করিছে, বাসিতেছে যেন ভালো ।
চক্ষু তাহার নিষ্পাপ হাসি, যেন হাসিতেছেই সর্বদা,
তাহাতে চক্ষু রাখিলেই দেখি, চরম গোলক ধাঁধা ।
দেখিনাই কভু তাহার মুখেতে, দিতে আমি চন্দন,
সুন্দর, তবু সুন্দর, সেরা সুন্দর তাহার বদন ।
.
হাসিওনা আমি বলিতেছি যাহা, নয় যেন কিছু মিছে,
বিবরণে মোর বিশ্বাস কর, অনেক বাকি আছে ।
তাহাকে দেখিলে, দেখিতে যে পাই, বিশ্বের সব রুপ,
তাহাকে গড়িতে মাটি লাগিছে, কিছু লাগিছে ধুপ ।
এখন বুঝেছি, গুরু, কেন লিখেছেন সেই গানে,
নেই অপরাধ কেহ যদি চাহে, কাহারও বদন পানে ।
©somewhere in net ltd.