নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘আমি অন্ধকারে আলো খুঁজি, নিরাশায়;আশায় বুক বাঁধি, জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন বুনি, ……………সবার উলটো চলি!’

অনুজ্জ্বল_তারা

*******

অনুজ্জ্বল_তারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শূন্য মন,অদ্ভূত ভাবন !

০৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২১



শূন্য মন,অদ্ভূত ভাবন !



আট’টা মাস গেল।কোন সুখকর মুহূর্তের দেখা নাই।একে একে বন্ধুদের সবাই বিদায় নিল।বন্ধু?না না বন্ধু হতে পারে না।যে সম্পর্ক জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধে থাকে তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক।আর এ সম্পর্কের পাত্র-পাত্রী একে-অপরের বন্ধু।কিন্তু তারা তো সংকীর্ণতার ঊর্ধে উঠতে পারেনি।তাহলে ইমরোজ কেন বন্ধু বলতে যাব?আবার কাঁচ জাতীয় কিছু ভাঙলে যেমন জোড়া লাগলেও দাগ মোচা যায় না ঠিক তেমন যে সম্পর্ক হৃদয়ে একবার দাগ কেটেছে ইমরোজ সে সম্পর্ককে অস্বীকার করে কিভাবে?



যায় হোক,কিছু বন্ধুকে খুঁজছে ইমরোজ’র শূন্য মন।ছেলে হোক কিংবা মেয়ে।চায় শুধু কিছু বন্ধু,যারা ওদের মত জীবনে চলার পথে কোন কঠিন সময়ে চলে যাবে না।যাদের সব কিছু খুলে বলতে পারবে ইমরোজ।এ বলাতে থাকবেনা কোন ভয়-ভীতি কিংবা শঙ্কা।হয়ত তারা শোনা ছাড়া কিছুই করতে পারবেনা।কিন্তু তবুও ইমরোজ বলতে চায়।সে শুধু শ্রোতা চায় আর কিছু না।



না ইমরোজ কোন বন্ধু পায়নি।কেনই বা পাবে?ইমরোজের কি আছে?না জানে নিজে হাঁসতে কিংবা না পারে কাউকে হাঁসাতে।না আছে অর্থকড়ি কিংবা মুখে কথার ফুলঝুড়ি।না আছে মডার্নেস কিংবা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা।আছে শুধু একরোখা ভাব আর ভাবগম্ভীর হয়ে বসে থাকার বদ-অভ্যেসটা।



ইমরোজ’র সাথে কেউ আসলে হয়ত তাকে শুধুই দুঃখের ভাগী হতে হবে।তাই কেউ আসে না।



এদিকে ইমরোজ’র এইসএসসি পরীক্ষা আসন্ন।সে কোন কোচিং সেন্টারে কোচিংও করেনি আবার কোন প্রাইভেট টিউটরের কাছেও পড়েনি।আবার সে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার আগের রাতে ফেসবুক থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা সলভ্ড করে পরীক্ষার হলে যায়নি।তাই নির্ভার হয়ে অন্য ছাত্রদের মত সে পরীক্ষা দিতে পারেনি।আবার পারেনি মেধা প্রকাশে সহায়ক ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোন অঙ্গভঙ্গি করতে।



এখন ইমরোজ’র চিন্তাকাশে ঘন কাল মেঘের আনাগোনা।একদিকে ভাল একটা জায়গায় ভর্তির চিন্তা অন্যদিকে রেজাল্ট পরবর্তী সময়ে সমালোচনার ধকল সহ্যের চিন্তা।এ নিয়ে ইমরোজ’র মাথাটা সারাদিন ঝিম হয়ে ধরে থাকে।কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছেনা সে।



কিন্তু চিপ্পিকে দেখার সময় ঠিকই তার মাথা থেকে সমস্ত চিন্তা উধাও।ও হ্যাঁ!চিপ্পি হচ্ছে ইমরোজ’র মনের মানুষ।যাকে সে তার খারাপ সময় শুরু হওয়ার পর থেকেই ফলো করে আসছে।অবশ্য শুধু ফলো-ই করে আসছে।কিছু বলা এখনো হয়নি।হবে কিনা তাও জানা নেই।কিভাবে বলবে?বলতে গেলে যে,ইমরোজ’কে খারাপ হতে হবে।ইমরোজ ছেলে হিসেবে খারাপ না।আবার বলছি না,কাউকে ফলো করা খারাপ কিছু না।তবে ইমরোজ শুধু ফলো করে আসছে।এ ফলো করার কিছু কারণও আছে।১.চিপ্পি চশমা পরে।চশমা পরা মেয়েদের প্রতি ইমরোজ’র কিঞ্চিত দুর্বলতা রয়েছে।২.কোন এক অজানা কারণে তাদের কাজের টাইমিং মিলে যাচ্ছে।এ যেমন,চিপ্পি কাপড় শুকাতে দেয়ার জন্যে চাঁদে আসল ইমরোজও কোন কাজে জানালার পাশে এসে হাজির।এভবে প্রথম দেখা।তারপর এভাবে দু-তিন দিন।অতঃপর ইমরোজ’র মনে ভাবনা।



অথবা রাস্তায়ও কোন কোন সময় কয়েক সেকেন্ডের দেখা।একদিন ইমরোজ যে দোকানের ক্রেতা চিপ্পিও সে দোকানের ক্রেতা।বাবা’র কাছে চিপ্স’র জন্যে বায়না।অতঃপর বাবা’র নিঃস্বার্থ আত্নসমর্পণ।এবং ইমরোজ’র অবাক তাকিয়ে থাকা।ইমরোজও চিপ্স খুব পছন্দ করে।কথিত আছে,ইমরোজ’র এক বছর বয়সে ওর মায়ের সিরিয়াস ডায়রিয়া হয়েছিল।প্রায় পনের দিন ইমরোজ চিপ্স খেয়ে বেঁচেছিল।এজন্যে এটা ইমরোজ’র কাছে অনেকদিন পর খুব উপভোগ্য ঘটনা।



এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওর একটা নাম দেওয়া।অবশ্যই চিপ্স সংক্রান্ত হতে হবে।অতঃপর কিছুক্ষণ ভাবা।এবং চিপ্পি শব্দের আগমন।চিপ্স থেকে চিপ্পি।বাহ্!সুন্দর তো!এই শব্দের অর্থের কোন তোয়াক্কা নেই।প্রথম ভাবনাতেই আসা শব্দ এবং ভাললাগা।সুতরাং অর্থ যায় হোক ইমরোজ এ নামেই ডাকবে তাকে!ও এক কথা থেকে দু’বার বিচ্যুত হলাম।বলছিলাম ইমরোজ শুধু ফলো করে আসছে।এছাড়া অন্যকিছু বলা/করার কথা মাথায়ও আনতে পারছেনা।কারণ তার চিপ্পি অনুরুপ কিছু থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যে রাস্তায় পুরো শরীর মুড়ে(বোরখা পড়ে)বের হয়।অতএব পথঘাটে কিছু বলা যাবেনা।এবং ছাদ থেকে দেখাদেখি শুধু ইমরোজ’র



পক্ষ থেকে একতরফা।তবে দু’বার চিপ্পির চোখাচোখি হয় তার।কিন্তু ইমরোজ তো পারেনা,ঐ সময় তার দিকে চেয়ে থাকতে।কিন্তু যখন চিপ্পির ছাদে আসার সময় হয় তখন ইমরোজ ঠিকই জানালার পাশে ঘুরাঘুরি করে।কি হবে ইমরোজ’র এ অযথা পাগলামির?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.