![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.
অনুবাদঃ
হযরত সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,দোয়া ব্যতীত কোনো কিছুই ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে না।আর পুণ্য ব্যতীত কোনো কিছুই আয়ুকে বৃদ্ধি করতে পারে না এবং কৃত পাপ ব্যতীত কোনো কিছুই ব্যক্তিকে জীবিকা থেকে বঞ্চিত করে না।(ইবনে মাজাহ)
_____
২.
অনুবাদঃ
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম অতঃপর সেখানে কুরআন পাঠ করতে শুনলাম।আমি জিজ্ঞেস করলাম,এ ব্যক্তি কে?ফেরেশতাগণ বললেন,হারেসা ইবনে নোমান (রাঃ)।তাই রাসূলুল্লাহ (স) বললেন,পুণ্যের প্রতিফল এরূপই,নেক কাজের বিনিময় এমনই।সে তার মায়ের সাথে সকল মানুষের তুলনায় সর্বোত্তম আচরণ করত।(শরহে সুন্নাহ ও বায়হাকী শোয়াবুল ঈমান গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)।অপর এক বর্ণনায় আছে,আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম-এর স্থলে,আমি ঘুমালাম এবং নিজেকে জান্নাতে দেখলাম।
_____
৩.
অনুবাদঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন,পিতার সন্তুষ্টির মধ্যেই প্রতিপালকের সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তুষ্টির মধ্যেই প্রতিপালকের অসন্তুষ্টি নিহিত।(তিরমিযী)
_____
৪.
অনুবাদঃ
হযরত আবু দারদা(রাঃ) হতে বর্ণিত,একদা এক ব্যক্তি তাঁর নিকট আসল।অতঃপর বলল,আমার স্ত্রী আছে এবং আমার স্নেহময়ী মা তাকে তালাক দেয়ার জন্য আমাকে আদেশ করেছেন(এখন আমি কি করতে পারি?)।তখন আবু দারদা(রাঃ) তাকে বললেন,আমি রাসূলুল্লাহ (স) বলতে শুনেছি,পিতা হলেন জান্নাতের দরজাসমূহের মধ্যবর্তী দরজা।অতঃপর যদি তুমি ইচ্ছা কর,তবে এ দরজাকে রক্ষণাবেক্ষণ কর,অথবা বিনষ্ট কর।(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
_____
৫.
অনুবাদঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি যে,সে সম্প্রদায়ের ওপর আল্লাহ তায়ালার রহমত নাযিল হবে না যাদের মধ্যে রয়েছে আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী।(বায়হাকী,শোয়াবুল ঈমান)
_____
৬.
অনুবাদঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,উপকার করে খোঁটাদানকারী,পিতা-মাতার অবাধ্য এবং সর্বদা মদ্যপানকারী ব্যক্তিগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।(নাসায়ী ও দারেমী)
_____
৭.
অনুবাদঃ
হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ(স)-কে বলল,হে আল্লাহর রাসূল!পিতামাতার তাদের সন্তানের ওপর কি অধিকার আছে?রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,তারা দু’জন তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম।(ইবনে মাজাহ)
_____
৮.
অনুবাদঃ
হযরত আবু বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ(স) বলেছেন,প্রত্যেক পাপ আল্লাহ তায়ালা যতটুকু ইচ্ছা ক্ষমা করেন;কিন্তু মাতাপিতার অবাধ্যতা ক্ষমা করেন না।কেননা আল্লাহ তায়ালা এর শাস্তি পৃথিবীতেই তার মৃত্যুর পূর্বে তাকে প্রদান করবেন।(বায়হাকী)
_____
৯.
অনুবাদঃ
হযরত সাঈদ ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,বড় ভাইয়ের অধিকার ছোট ভাইয়ের ওপর,যেমন পিতার অধিকার সন্তানের ওপর।(বায়হাকী,শোয়াবুল ঈমান)
_____
১০.
অনুবাদঃ
হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করে না,আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেন না।(বুখারী ও মুসলিম)
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
গাধা গরু বলেছেন: সুন্দর হাদিস ভালো লাগল
ভাই একটা জিজ্ঞাসা ছিল
হযরত আবু দারদা(রাঃ) হতে বর্ণিত,একদা এক ব্যক্তি তাঁর নিকট আসল।অতঃপর বলল,আমার স্ত্রী আছে এবং আমার স্নেহময়ী মা তাকে তালাক দেয়ার জন্য আমাকে আদেশ করেছেন(এখন আমি কি করতে পারি?)।তখন আবু দারদা(রাঃ) তাকে বললেন,আমি রাসূলুল্লাহ (স) বলতে শুনেছি,পিতা হলেন জান্নাতের দরজাসমূহের মধ্যবর্তী দরজা।অতঃপর যদি তুমি ইচ্ছা কর,তবে এ দরজাকে রক্ষণাবেক্ষণ কর,অথবা বিনষ্ট কর।(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
এ হাদিসে কি মাতার আদেশে স্ত্রীকে তালাক দেয়া বাধ্যতামুলক করা হয়েছে? অর্থটা ঠিক বুঝলাম না।
আর যদিও আমি নাস্তিক তারপরও প্রথম হাদিসটার সাথে একমত----------
,দোয়া ব্যতীত কোনো কিছুই ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে না।আর পুণ্য ব্যতীত কোনো কিছুই আয়ুকে বৃদ্ধি করতে পারে না এবং কৃত পাপ ব্যতীত কোনো কিছুই ব্যক্তিকে জীবিকা থেকে বঞ্চিত করে না।
দোয়া মানুষের মানসিক শক্তি বাড়ায় ফলে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায় আর পাপ উল্টো কাজ করে। অনেক পাপী লোক (অর্থাৎ মন্দ কাজে লিপ্ত ব্যক্তি) খারাপ কাজ বছরের পর বছর করে যায়, তাদের কিছুই হয় না, এটা অভ্যাসের ব্যাপার।
সুন্দর পোস্টে ++