নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত মুগ্ধমানব

তার ছেড়া

Vagabond

তার ছেড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

Mystrious Paraller Universe

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

অনেক সাইন্স ফিকশানে আমরা Parallel world এর কথা শুনেছি । মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে , এটা কি আদৌ সম্ভব ? কোন প্রমাণ আছে কি ? অথবা কোন রেফারেন্স ? জ্বী হা আছে । এর কথা সাইন্টিফিক্যালি প্রথম আসে Relative State Formulation বইয়ে ১৯৫৭ সালে । এখন এটা নিয়ে কিছু বলব । তার আগে বড় করে একটা শ্বাস নিন ! রিল্যাক্স হন ! কেননা একটু পরেই আপনার মস্তিষ্কে ঝড় উঠতে পারে !
.
Parallel Universe এর কথা বলার আগে কয়েকটা জিনিস জেনে রাখা দরকার । শুরু করলাম তবে !
.
Deja vu : এটা একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ । এর অর্থ এমন কিছু দেখা যা দেখে মনে হবে এটা আগে কখনও ঘটেছিল । কিন্তু সত্যিটা হল তা আদৌ ঘটেনি । আবার এমনও হতে পারে যে , কিছু ঘটছে যা আপনার মনে হবে এটা পূর্ব থেকেই আপনি জানতেন ! কিন্তু এক্ষেত্রেও সত্য হল আপনি আসলে তা জানতেনই না । বিজ্ঞানীরা কিন্তু এটা মেনে নেন নি । তারা বিভিন্ন গবেষণায় জানিয়েছেন এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার , নিউরনের দূর্বলতা বা শর্ট সার্কিট দায়ী এর জন্য ! ৩১% মানুষই Deja vus প্রত্যক্ষ করেছেন ।
.
কিন্তু কথা কিন্তু থেকেই যায় ! ১৯৯৮ সালে John titor একটা শব্দ আবিষ্কার করেন । যার নাম Alter vus !
.
Alter vu :
এর অর্থ true memories from altered worldlines ! জিনিসটা কিছুটা টাইম ট্রাভেলের মত । ক্লিয়ার করি একটু ! ধরুন আপনি নিজে ভবিষ্যতে চলে গেলেন ! অথবা অন্য কোন জগতের আপনার কাছে । সেখানে গিয়ে আপনি আপনাকেই অথবা কাউকে কোন মেসেজ দিয়ে আসলেন । এটাই Alter vus ! গাঁজাখুরি গপ্প মনে হচ্ছে ? হতেই পারে । দুইটা ঘটনা বলি !
.
১ম ঘটনাঃ বিকাল ৪:২২ , সেপ্টেম্বর ১২ , ২০০৮ । আমেরিকার লস এঞ্জেলসে মেট্রোলিংক কম্পিউটার ট্রেইনের একটা মারাত্নক এক্সিডেন্ট হয় ! দুর্ঘটনায় ২৬ জন মারা যায় ! একটা দুর্গম জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটার ফলে এই এক্সিডেন্টের কথা কেউ জানত না ! ঘটনা এটা নয় ! সেদিন বিকাল পাঁচটায় একজন মহিলা পুলিশের কাছে কমপ্লেইন করে যে তার স্বামীর নাম্বার থেকে অনবরত কল আসছে , কিন্তু রিসিভ করলে কোন কথা বলছে না , এমনকি কোন শব্দও না ! পুলিশ এবং উদ্ধারকর্মী মিলে ফোনকল ট্র্যাক করে প্রায় এগার ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ! এবং ফোনকল ট্র্যাক করেই ঐ মহিলার স্বামীকে সনাক্ত করেন উদ্ধারকর্মী ! রহস্য হল , ঐ ব্যক্তি এগার ঘন্টা আগেই মারা গিয়েছিলেন এবং আরো বেশি রহস্য হল , ফোনকল ট্র্যাক করে তাকে সনাক্ত করার পর পরই সেই সিগন্যাল হারিয়ে যায় এবং অনেক খুঁজেও সেই ফোনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি !
.
২য় ঘটনাঃ মার্টি নামের এক লোক দাবী করতেন যে তিনি ভবিষ্যতে গিয়েছিলেন ! কিন্তু কেউ প্রমাণ চাইলে চুপ হয়ে যেতেন । তার মৃত্যু আগে আগে তিনি বলেন যে , তার নাকি খুব Twin pines mall এ যেতে ইচ্ছা করছে ! কিন্তু এ নামে কেউই কোনদিন কোন মলের নাম শোনেনি ! তাই তারা সেটা প্রলাপ বলেই ধরে নেন ! কিন্তু মার্টির মৃত্যুর এক বছর পর তার আত্নীয়রা একদিন পত্রিকায় দেখতে পান যে , প্রতিবেশী দেশে Lone pines mall নামের একটা শপিং মল নাম পরিবর্তন করে Twin pines mall রেখেছেন !!!
.
কি বুঝলাম ? হয়ত এখনও গোঁলকধাধায় আছি । আচ্ছা এবার চলে যাব Paraller universe সর্ম্পকে ! আবার দুটো ঘটনা বলি , অকা ?
.
১ম ঘটনাঃ ২০০৮ সাল , স্পেন । লেরিনা গার্সিয়া (৪১) নামের এক মহিলা জানান যে একদিন সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান যে কাল রাতে তিনি বিছানায় যে বেডশীট দেখেছিলেন সকালে তা পাল্টে গেছে । তিনি এটা নিয়ে অতটা চিন্তা করলেন না । তার মতে সবকিছু ঠিকই ছিল শুধু দুইটা জিনিস চেঞ্জ হয়ে গেছে । প্রথমত , তার অফিসটা একদমই গায়েব হয়ে গেছে যেখানে তিনি বিশ বছর ধরে চাকরী করতেন ! এমনকি কেউ সেই অফিসের নামও শোনেনি ! আর দ্বিতীয়ত , তার প্রেমিক অন্য এক অপরিচিত মানুষ ! [Link: http://goo.gl/HGB5Li ]
.
২য় ঘটনাঃ ১৯৫৪ সাল ! টোকিও বিমানবন্দরে একজন অদ্ভুত মানুষকে আটকে দিয়েছে কাস্টমস ! লোকটা বলছেন , তিনি Taured নামের এক দেশ থেকে এসেছেন ! কিন্তু পৃথিবীতে এই নামের কোন দেশের অস্তিত্ব নেই ! কিন্তু লোকটাকেও ভন্ড বলা যায় না । কারণ তার পাসপোর্ট একদমই আসল । এমনকি তার কাছে ব্যাংক স্টেটমেন্ট , ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য জরুরী এবং একদম আসল কাগজপত্র আছে যেগুলোতে Taured দেশের নাম লেখা এবং সরকারের সিলও আছে ! লোকটা জানায় Taured একটা ইউরোপিয়ান কান্ট্রি এবং প্রায় ১০০০ বছরের পুরোনো ! পুলিশ তাকে একটা হোটেলে রাখেন এবং কড়া নজর রাখেন ! কিন্তু সকালবেলা রুমের দরজা ভেঙ্গে ঐ লোকের কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায় না ! [Link: http://goo.gl/tObGXW ]
.
রিল্যাক্স ! ইজি হন একটু । এখন এসবের ব্যাখায় যাবো ! অকা ?
.
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন , এই জগতের মত অসংখ্য জগত আছে এবং আপনার মত আরো অংসখ্য আপনি আছেন ! এই জগতগুলো সমান্তরালে চলে । কেউ কারো উপর প্রভাব ফেলে না । এই জগতের আপনি এখন আমার পোষ্ট পড়তেছেন , অন্য জগতের আপনি হয়ত আমায় অনেক আগেই ব্লক দিয়েছেন ! এ জগতের আপনি অবিবাহিত , অন্য জগতের আপনি হয়ত বিবাহিত ! নাথিং ইম্পসিবল !
.
মাঝে মাঝে দুটো জগত একে অপরকে ক্রস করে যায় ! তখনই আমাদের Deja vu বা Alter vu ঘটে ! এবার হয়ত কিছুটা ক্লিয়ার হয়েছে ! এবার আরেকটু ক্লিয়ার করি । একটা চাদর নেন ! সেই চাদরকে মাটির উপরে টান করে ধরে তাতে একটা মার্বেল ছেড়ে দিলে চাদর টা নিচের দিকে ডেবে যাবে । এরকম অসংখ্য চাদর কল্পনা করি ! আসলে এই চাদরই হল সময় ! আর মার্বেলটা আমাদের জগত ! এখন যেকোন একটা চাদরের মিরর ইমেজে আরেকটা চাদর কল্পনা করলে মার্বেলদুটো পরষ্পর স্পর্শ করে ! অর্থাত্‍ দুটো জগত সংস্পর্শে আসে এবং এটাই প্যারালাল জগতের ক্রসিং ! বিজ্ঞানীরা মনে করেন , এই ক্রসিংয়ে সময়ের চাদরে একটা ছিদ্র হয় ! এই ছিদ্র দিয়েই কেউ কেউ টুপটাপ এজগত থেকে ঐ জগতে চলে যান ! কেউ বলেন , অন্য জগতে যাওয়ার জন্য দরকার Port key ! এটা বস্তু বা প্রাণী যেকোন কিছু হতে পারে ! Port key এর ধ্বংস বা মৃত্যু হলে তাকে পুনরায় ফিরে আসতে হয় আগের জগতে ! কেননা Port key ই পারে দুটো জগতের মাঝে ক্রসম্যাচ করাতে !
.
কোয়ান্টাম মেকানিক্স অলরেডি জানিয়ে দিয়েছে যে অসংখ্য জগত থাকা সম্ভব ! এখন শুধু অপেক্ষা নিজে প্রত্যক্ষ করার !

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৮

পেলব চক্রবর্তী বলেছেন: A spine-chilling writing. বেশ ভাববার মত বিষয় এই কোয়ান্টাম মেকানিক্স। বিষয়গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তবে আরও একটু বড় করে বিস্তারিত লিখতে পারতেন। জানেন তো, ভালো লেখা বেশি বেশি করে পড়তে ইচ্ছা করে পাঠকের।

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩২

তার ছেড়া বলেছেন: ধন্যবাদ । আসলে মনে করেছিলাম বেশি করলে পাঠক সব গুলিয়ে ফেলবে তাই সাহস পাইনি । সাহস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ :-)

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। পড়তে ভালোলাগছিলো

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

তার ছেড়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো । পরবর্তী লেখার জন্য অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক :-)

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১৬

শাহরিয়ার নীল বলেছেন: ভাল লাগছে। আরো লিখেন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

তার ছেড়া বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.