নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবধর্ম

অ‌প্রিয় সত্য

ধর্ষনের রাজ্যে পৃথিবী পশুময়, তনু, মনু, সাবিত্রী, পূর্ণিমারা যেন রক্তাক্ত মানচিত্র..ধর্ম ও পশু মুক্ত সমাজ চাই । নারী বান্ধব রাষ্ট্র্র চাই।

অ‌প্রিয় সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৌদ্ধ ভিক্ষু‌দের ধর্ম ব্যবসা

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০১

ইসলামের মত বৌদ্ধ পরিবারেও শোনা যায়, যে পরিবারে একটা ভিক্ষু আছে তার সাত পুরুষ উদ্ধার হয়। আসলে এটা মিথ্যা নয়, চরম সত্য কথা।
ইসলাম পরিবারে যেমন একটা হাফেজ তুলতে পারাটা গর্বের, তেমনি বৌদ্ধ পরিবারেও গর্বের। বিষয়টা হলো এখানো সাত পুরুষ, চৌদ্দ পুরুষের সম্পর্ক কি? ইসলাম নিয়েতো সবাই বলি, আমি নাহয় আজ বৌদ্ধ নিয়েই বলবো?
পরিবারে একটা ভিক্ষু থাকলে মন্দ নয়, আয় উন্নতি বাড়ে। আপনি যদি ভিক্ষুদের এখন বলেন, যে তারা সংসার ত্যাগি; তারা পরিবারের দেখাশোনা করবে কেন? হুট করে উত্তরের যুক্তি হিসেবে মা বাবাকে নিয়ে আসবে। মা আর বাবা এই দুইটা সত্ত্বার কাছে আমরা দূর্বল, যুক্তি আমিও দিতে পারি কিন্তু থাক মা বাবার জায়গাটা। অন্যগুলো তুলি কি বলেন?
ভিক্ষু হলে একটা সুবিধা হলো ফ্রিতে লেখাপড়াটা চালানো যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবসাও শেখা যায়। আর কার ঘরের বৌয়ের রান্না কি রকম তাও মুখস্ত। অল্প কিছুদিনে আয়ত্ত করা যায় কোন দিন কেমন খাবার হবে। আবার কারো কারো ঘরের বৌ সুন্দর হলে, তরকারিতে নুন কম হলেও সেটা ভাল হয়ে যায়।
সাত পুরুষ উদ্ধারের সত্যতা:
একটা মন্দিরে বিভিন্ন খাতে টাকা আসে, সরকারি বেসরকারি। আর দানবাক্সতো আছেই। পূজারীরা ভিক্ষুর সব সুযোগ সুবিধা বহন করে। একটা সংঘদান যা বাইরের লোকের চোখে নিমন্ত্রন অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানে একটা ভিক্ষুর আসা যাওয়ার খরচ ঐ সংঘদান বাড়ির কর্তাতো বহন করেনই তার বাইরে বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস এবং এক্সট্রা খরচের টাকাও পান। যাকে দান বলা হয়। ধনী লোক হলে বেশি দেয় তাই অনেক ভিক্ষু গরীব ধনী নির্বাচন করেই পা পেলেন। যেখানে ব্যবসার শুরুটা। গৃহ ত্যাগি ভিক্ষুরা যখন তার নিজ গৃহে অর্থ ব্যয় করেন, তখন শুরু হয় একপুরুষ উদ্ধার। যেমন বোন বিয়ে দেয়া, ভাইকে সহযোগিতা করা, গৃহ ত্যাগ করে সেই গৃহ পাকা নির্মান। ভাইকে বিদেশ পাঠানো কিংবা বোনের জামাই, ভাইপো, বোনপোকে বিদেশ পার করা, কোন ব্যয় বহুল জায়গা কিনে দেয়া ত্যাগ করা পরিবারকে। যার প্রমান মিলবে ঢাকা চট্টগ্রামের ভিক্ষুগুলোর ভাই বোন ও তাদের ছেলে মেয়ের তদারকি হলে। এই টাকা আসে কোথা থেকে? দানবাক্স, ডোনার আর মন্দিরের বিভিন্ন খাতেই এই টাকার উৎপত্তি। ঢাকায় জায়গা জমি কিনে দেয়া কিংবা ইউরোপ পাঠাতে পারলে বাকি সাত পুরুষ উদ্ধার হয়। এখন সহজ ব্যবসা হলো রং কাপড় একটা পড়বে, মানুষকে দান করার নানা ধর্মীয় লেকচার শুনাবে পূন্যের মহিমা দিয়ে, মানুষ স্বর্গের সপ্ন দেখে দান করবে, আর তারা তাদের আত্মীয়কে রং কাপড় পড়াবে নয়তো নিজে ভারত গিয়ে পার্সপোর্ট বানাবে তারপর সেখান থেকে ইউরোপ কিংবা উন্নত দেশে ঢুকবে। হয়ে গেল পরবর্তী ছয় পুরুষের খোরাক। অথচ মানুষকে সেই সাত পুরুষের পাপ মোচনের পথ হিসেবে ধর্মকে ইঙ্গিত করে করে যাবে প্রতারনার ব্যবসা। ভিক্ষুদের কোন বিষয় নিয়ে কথা বললে নাকি পাপ হয়। আমি এই কথাটা অনেকের মুখে শুনেছি, অথচ তারা রং কাপড় নিয়ে ব্যবসা করলে পাপ হয়না, আমরা বললে হয়। ভিক্ষুরা বললে মন্ত্র আর আমরা বললে ষড়যন্ত্র। জানি অনেকেই এটাকে ধর্ম অবমাননা বলবে, অনেকের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে। তারা করতে পারে আঘাত লাগেনা, আমরা বললে লাগে। এটা ধর্মের ব্যবসা ঠিকিয়ে রাখার কৌশল।
বৌদ্ধ ধার্মিকদের পুরুষ মহিলা বেদে উপাসক উপাসিকা বলা হয়। কোন কোন ভিক্ষুকে দেখা যায় উপরে সুন্দর শ্রুতি মধুর বক্তব্য দিতে। কিন্তু ভেতরে উপাসিকার সঙ্গে প্রেম লীলা করে। চুম্মা দে দে চুম্মা। এরাম একটা ঘটনার স্বাক্ষি আমি। একবার একটি মেয়ে আমাকে একটা প্যাক দিয়ে বলল, এটা গিয়ে অমুক ভিক্ষুকে দিয়ে আয়। আমি দিতে যাব এমন টাইমে পিছন থেকে বলল কেউ যেন না দেখে। আমি ফকির হলেও সন্দেহতো আছে । আড়ালে গিয়ে খুলে দেখলাম। একটা অডিও ক্যাসেট আর একটা চিঠি। চিঠিটা পড়ে ফেললাম। প্রেমের চিঠি পড়তে ভালই লাগে। চিঠিতে সে যা লিখেছে সেভাবে বলতে পারব না, কিন্তু আমার মত করেই বলতে পারব। যারা লাভ লেটার লিখতে জানেন না তাদের জন্য অল্প বলছি,
প্রিয় কুচুপুঁচু
পত্রের প্রথমে আমার পূবের সূর্য পশ্চিমে নিও। তুমি আমার দিনের চাঁন, রাইতের সূইর্যর্। কলিজার আদ্ধান, পরানের বেলখনি, আবেগের ডুগডুগি, টিউব লাইটের পেছনের টিকটিকি। আমি তোমাকে অনেক ভালকাঁশি। এই পৃথিবীতে তুমিই আমার একমাত্র ভালশষা। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁশভোলা। অবশেষে তোমার প্রতি রইল আমার অন্তরের অন্তর স্থল থেকে ভালগষা। উমম্মা, চুক চুক চুক।
ইতি তোমারই
কুচুপুঁচি
যাকগে, যা বলছিলাম। সময়টা সকাল বেলা। আমি ঐ মন্দিরে গিয়ে ভিক্ষুটার আশেপাশে ঘুরতে লাগলাম। ভিক্ষুটা আমাকে দেখে কতগুলো মানুষের সামনে বলতে লাগল, ঐ এখানে কি? লেখাপড়া নাই? বরবাদ যাবি, অশিক্ষিত মূর্খ্য হবি, অমুক তমুক। যার জন্য করি চুরি সে বলে....? হইন্নির পুত, আমার মুখটা যদি ছুটাইতাম বুইঝতি, প্রেজটিজ চিকালাম পাঙ্কচার কি?
আমার এলাকায় একটা বিষ ও খাইছিল, সেতো পরের সব পুরুষ উদ্ধার করত যদি মরত। আবার আমি একবার লুতুপুতুর বিডিও দিছিলাম এক ভিক্ষুর তাতে অনেকের অনুভূতিতে লাগছে। অনেকে পরামর্শ দেয় নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে, বাইরে বলাটা অন্যায়। চুরি করে ধর্ম করা যায়। সত্য নয়। আবার আপনি সেটা নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে যান, দেখবেন ধর্ম অবমাননার নামে আপনার গায়ে হাত তুলবে, আবার বললেও পাপ। এইতো সেদিন এক ভিক্ষু বিম্বিসার বড়ুয়াকে মারার হুমকি দিলো। এটাই হল ধর্ম। আপনি অন্যায় দেখে চুপ থাকুন আপনি ধার্মিক, কথা বলতে গেলেই প্রতিবাদ করতে গেলেই আপনি ধর্ম বিদ্বেষী। ধর্ম মানুষকে হিংস্র বানায় যে তার প্রমান তারা নিজেই।
তাদের যুক্তি হলো, একজনের জন্য সবাই খারাপ হতে পারেনা, তবে জানতে ইচ্ছে হয় আপনারা কেউ প্রতিবাদ করেন না, আমি একজন করলে কেন আপনাদের সবার লাগে? ঐ একজন অন্যায় করলে সবাই সেটা স্বাভাবিক দেখেন আর আমি একজনের বেলায় সবার অনুভূতিতে লাগে? ঐ একজনের জন্য যদি ধর্ম খারাপ না হয় তাহলে আমি একজনের জন্য ওতো না হবার কথা? ধর্ম নিয়ে আপনারা ব্যবসা করতে পারেন, রং কাপড় একটা পড়ে ইউরোপ আমেরিকায় গিয়ে নিজেদের বংশের সাত পুরুষের খোরাক জমাতে পারেন, ঐ রং কাপড় আর ধর্মকে ছুড়ে ফেলতে পারেন টাকার জন্য, আর আমরা ধর্ম নিয়ে সঠিক জায়গায় শব্দ বসালেই দোষ? দান দান বলে স্বর্গ নরক বলে, পাপ পূন্য বলে মগজ ধোলাই করে অন্যের টাকা হাতিয়ে নেয়া আর পরের মাথায় হাত ভুলিয়ে ঘরের টিন দেয়াকে আপনি ধর্ম বলেন, আমিতো দেখি প্রতারনা। ভিক্ষা না করে কাজ করে খান, গর্ব করে বলা যাবে। দান বলে তাকে, ক্ষুধার্তের পেটে ভাত দেয়া, খালি গায়ে কাপর দেয়া, শিক্ষা বঞ্চিতের হাতে বই দেয়া, সামাজিক কাজে ভাল পরামর্শ দেয়া। আপনাদেরগুলো হল ভিক্ষা, এমনিতেই নাম ভিক্ষুক। পারলে জ্ঞানের আলো জ্বেলে সাত পুরুষ উদ্ধার করুন। মন্ত্র পড়ে কাপড় একটা পড়লে সাত পুরুষ উদ্ধার হয়না, কাড় দিয়ে শরীর ঢাকা যায় চরিত্র নয়। কাপড়ের মাঝে ধর্ম এইসব ব্যবসা বন্ধ করুন। চেনা বামুনের পৈতা লাগেনা, আপনাদের লাগে নইলে আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলবে কিভাবে? অনুভূতিতে লাগলে বলবেন, অসংখ্য প্রমান দেব, ভিডিও সহ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: উপযুক্ত কারনেই বৌদ্ধ ধর্ম প্রসার করতে পারে নি । তবে তারা যদি তেল সম্পদের কোন দেশ পেতো তাহলে অনেক কিছু করতে পারতো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.