নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

১৯৭১

তাহমিদ-উল-ইসলাম

বই পড়তে ভালোবাসি, ভালোবাসি লিখতে... সমাজ পরিবর্তনের ইচ্ছে নেই, নিজ দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে আমরা সবাই যদি পালন করি, ছোট দেশটাকে আরওএকটু বেশি ভালোবাসি, তাহলে ইতিবাচক পরিস্থিতি আসবেই!

তাহমিদ-উল-ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউঃ গোঁসাইবাগানের ভূত

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৫

গোঁসাইবাগানের ভূত
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

ভূত দেখতে কেমন হয়? নিশ্চয়ই ভয়ানক এবং ত্রাস সৃষ্টিকারী! ভূতের কথা মনে এলেই তোমাদের চোখের সামনে এসে ওঠে নরকঙ্কাল কিংবা মুণ্ডুবিহীন লাশের গলাশুকোনো কোনো ছবি; কিন্তু শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কলম দিয়ে যে ভূতগুলো বেরোয় তারা রীতিমত হ্যাবলাকান্ত, বোকাসোকা এবং খানিকটা অদ্ভুতুড়ে। গোঁসাইবাগানের ভূত বইয়ের নিধিরামও সেই শ্রেণির।

আমাদের বুরুন সব বিষয়ে ভালো ভালো নম্বর পেয়ে শেষমেষ অঙ্কে পায় মাত্র তেরো। বুরুনের বাবা এলোপ্যাথিক ডাক্তার (ভারি রাশভারি লোক কিন্তু) আর তার বাবা; মানে বুরুনের ঠাকুরদা আয়ুর্বেদ ডাক্তার; ভেষজ শাস্ত্রে তার অপরিমেয় জ্ঞান এবং এই জ্ঞান ব্যবহার করে তিনি বিচিত্রসব ওষুধ তৈরি করেন।

তো, বুরুনের এরকম কাণ্ডজ্ঞানহীন রেজাল্টের কারণে তাকে পড়তে দেয়া হয় অঙ্কের মাষ্টার করালী বাবুর কাছে। এ নিয়ে বুরুনের মন যখন খুবই খুবই খারাপ, তখন সে নির্জন গোঁসাইবাগানে চলে যায়।

সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় নিধিরাম ভূতের সাথে। নিধিরাম হাজার চেষ্টায়ও বুরুনের মনে ভয়ের সঞ্চার করতে ব্যর্থ হয়; তার তো এ নিয়ে ভূত সমাজে লজ্জায় মাথা কাটা যায়।

বুরুনের পাড়ায় থাকে হাবু নামের এক তান্ত্রিক ডাকাত। সে মন্ত্র দিয়ে নানান রকম ভূত-প্রেত এবং মস্ত এক বাঘকে বশ করে এবং তার অলৌকিক ক্ষমতার মাধ্যমে হাজার রকম অপকর্ম করে বেড়ায়। থানার সব দারোগা তার সাথে লড়তে গিয়ে রণে ভঙ্গ দেয় এবং অন্যকোথাও পোস্টিং নিয়ে একরম পালিয়ে যায়!

অবশেষে তাকে জেলের ভাত খাওয়াতে পারে গদাই দারোগা। তবে জেলে বসেও ঠিকই স্যাঙাত জুটিয়ে নেয় হাবু।

এদিকে নিধিরামের সহায়তায় বুরুন একেবারে অঙ্কে রাতারাতি পণ্ডিত বনে যায়, দূর্বোধ্য ট্রান্সলেশান করতে পারে চোখের পলকে, খেলাধূলায় তার পারদর্শিতা দেখে মনে হয় অলিম্পিকে নিশ্চিত মেডেল আনবে সে।

হ্যাঁ, গল্প আরও বাকি আছে; কীভাবে হাবুকে কুপোকাৎ করেন বুরুনের ঠাকুরদা, তারপর বুরুনের ক্লাসে যত মজার মজার কাণ্ড ঘটে যায় – সবই সহজ, সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

তাই, আর বলে আমি গল্পের মজা নষ্ট করতে চাইনে। শীর্ষেন্দু শিশু-কিশোরদের জন্যে যে স্বকীয় জগৎ সৃষ্টি করেছেন, তাতে ডুব না দিলে তুমি কিছুতেই বুঝতে পারবে না তা কত্তো মজার, কত্তো আনন্দময়!

আলাদাভাবে এবং দুই মলাটের মাঝে সমগ্র – উভয় আকারেই পাওয়া যায় শীর্ষেন্দুর কিশোর উপন্যাস সমূহ।
তাই, আর দেরি কেন? পড়ে ফেল অসাধারণ গল্পগুলো।

আনন্দের গ্যারান্টি?
–দিয়ে দিলাম!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩০

অমিত বসুনিয়া বলেছেন: ভাইয়া আপনার ফেসবুক আইডি পেতে পারি ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৫

তাহমিদ-উল-ইসলাম বলেছেন: আমার পোস্টগুলো পাবলিক। ফলো করতে পারেন। আমি অচেনাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করি না।
fb.com/tahmid.py

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

অমিত বসুনিয়া বলেছেন: তাহলে থাক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.