নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজী তাহমিনা

ব্রতচারী মেয়ে

কাজী তাহমিনা ভালোবাসেন পড়তে, পড়াতে, ঘুরতে, খেতে ও আড্ডা দিতে। জন্ম সিলেটে, বেড়ে ওঠা বাবার বদলির চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি সাহিত্যের এককালের ছাত্রী; এখন পড়াচ্ছেন ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।

ব্রতচারী মেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আব্বু !!

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

আপনাদেরএকটা একটা গোপন কথা বলে রাখি । আমার কিন্তু সেই ছোট বেলা থেকেই সাহিত্য রোগ আছে! পারি আর না পারি, , মাঝেই মাঝেই লেখা লেখির ভূত আমার মাথায় চেপে বসে সেই অনেকদিন আগে থেকে। আমি যখন ক্লাস ফোর বা ফাইভে পড়ি, তখন আব্বুকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। অনেকদিন পর ডায়রিটা খুঁজে পেয়েছি।



“ আমার আব্বু একজন সরকারী চাকুরিজিবি । তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। বলতে পারেন পেপার প্রেমিক। মানুষ হয় দেশ প্রেমিক, না হয় খোদা প্রেমিক; কিন্তু আমার আব্বু একই সাথে দেশ প্রেমিক,খোদা প্রেমিক, বই প্রেমিক এবং আওয়ামী লীগ প্রেমিক!

আব্বু বই কিনতে খুব ভালবাসেন। আমাদের বাসাভর্তি বই আর পেপার। ঘরে চাল নেই, হাতে নতুন বই আর পেপার আছে। তিনি একজন দক্ষ মৎস্য কর্মকর্তা। অথচ তাঁর ঘরে মাছ নেই। ঘরে বই, বাইরে বই, অফিসে বই, আলমারিতে বই, বাক্সে বই, সমস্ত চেয়ার টেবিল জুড়ে বই, বাড়িতে বই,এমনকি শ্বশুরবাড়িতেও বই! আব্বুর বইয়ের যন্ত্রনায় আম্মুর মাথার চুল উঠে যাচ্ছে। বিছানায় বালিশের জায়গা দখল করেছে বই আর পেপার; খাওয়ার টেবিল জুড়ে বইগুলো মাছ মাংসের পেয়ালার শূন্যস্থান পূরণ করছে। মাংস পোলাওয়ের ভুর ভুর সুগন্ধের বদলে আমাদের বাসায় রয়েছে বই পড়ার পিন পিন শব্দ। বাসায় আব্বুর নতুন বই আর শুন্য বাজারের ব্যাগ হাতে ঢোকা যেন যুদ্ধের দামামা। একবার বাজালেই হল! কিন্তু দামামা বাজালে যে যুদ্ধ বেঁধে যাবার আশঙ্কা থাকে সেদিকে আব্বুর খেয়াল নেই!

আমাদের বাসায় যেদিকে তাকাবেন, সেদিকেই বই। জানালার তাকে বই, তোষকের নিচে বই, খাটের নিচে/ উপরে বই, সর্বত্রই বই! রঙ বেরং এর বিচিত্র বর্ণের ম্যাগাজিন ও আছে। মাঝে মাঝে আব্বু কাপড়ের আলমারিতেও বই রাখতে চেষ্টা করেন। আর তখনই বেঁধে যায় হাঙ্গামা! কিন্তু সময় যেমন কার জন্য থেমে থাকেনা, আব্বুর বই কেনাও তেমনি থামেনা।

আমার আব্বু একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ। খেতে খেতে তিনি চিন্তায় মগ্ন হয়ে খেতে ভুলে যান, বাজারে গিয়ে তিনি মাঝে মাঝে বাজার করতে ভুলে গিয়ে পেপার কিনে ফিরে আসেন। সন্তানদের তিনি খুব ভালবাসেন, তাদের জন্যই তার এই বই কেনা। তিনি বলেন, “ মানুষ সন্তানদের জন্য সোনা-গয়না, জমি জিরাত কিনে রাখে। কিন্তু আমি কিনি বই। এগুলোই আমাদের ভবিষ্যৎ। “











মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

ফারজানা শিরিন বলেছেন: আব্বুদের কথা পড়তে ভালোই লাগে ।

২| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডায়েরিটার পাতাটা স্ক্যান কৈরা দিতেন! শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.