![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তা্হসিন কামাল। ফেসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/tahsin4444
১৬ বছর বয়সে শুকন্তলার বিয়ে হয় হাসানের সাথে। কবুল বলার সময় তার থেকে বিদায় নেয় জীবনের সব সুখ। কাঁদতে কাঁদতে নিজের বাসা ছেড়ে বুকভরা আবেগ ঢেকে চলে আসে অন্যের ঘড়ে। হয়ে যায় অন্যকারো।
লাল টুকটুকে এক শাড়ি পরে সে আসে সম্পূর্ণ অপরিচিত এই পরিবেশে। কিন্তু কেউ একটু চোখ তুলেও তাকায় না। যে যার যার কাজে ব্যস্ত। যেই ঘরে তার বিয়ে হয় সেখানকার বেশিরভাগেরই মত ছিল না বিয়েতে। তারা চেয়েছিল এমন এক মেয়ের সাথে বিয়ে হোক যে ভাল মত শিক্ষিত। কিন্তু হাসানের কাছে শিক্ষার চেয়ে সৌন্দর্যের গুরুত্ব বেশি হওয়ায় বিয়েটা হয়।
এভাবেই প্রথমত পরিবারের কাছ থেকে অবহেলিত হয়ে কেটে যায় বছরখানেক। হাসান সাহেব একটু ভাল অবস্থানে আসলে ছোট একটি বাসা নেয় শহরে। গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসার সময় শুকন্তলার সে কি উত্তেজনা। ইতিমধ্যে তার একটি ছেলে হয়। আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সে। ছেলেকে নিজের মত করে বড় করার স্বপ্ন, একটি সাজানো সংসারের স্বপ্ন। ছিমছাম বাসা। একটা বারান্দা। পাশেই ছোট বাগান। সে, তার ছেলে এবং স্বামী সুখে থাকবে। ব্যাস, এতটুকুই।
তারা গ্রাম ছেড়ে চলে আসে শহরে। কিন্তু সে যা ভেবেছিল তার কিছুই হয় না। হাসান সাহেব সারাদিন কাজে থাকে বাসার বাইরে। সকালে বের হয়, রাতে বাসায় ফিরে। ভাত খেয়ে ঘুম। যেন একটা নিয়মেই আবদ্ধ তার জীবন। শুকন্তলা বাসায় সারাদিন একা। বড় বিরক্ত লাগে তার। রাতে হাসান সাহেব ফিরলে, খাওয়ার টেবিলে তার ইচ্ছে করে ভাত খেতে খেতে জীবনের সুখের গল্প গুলো করতে। কিন্তু হাসান সাহেবের গম্ভীর অভিব্যক্তি দেখে সাহস হয় না। খাওয়ার রুচিও থাকে না তার। কতদিন আর এসব আলু ভর্তা, শাখ সবজি দিয়ে খাওয়া যায়। মাছ মাংস দূরে থাক, একটা ডিম ভেজে খাওয়াও যেন তাদের বিলাসিতা হয়ে যাবে। নিঃশব্দে ভাত খেয়ে উঠে আসে শুকন্তলা। নীরবে চলে যায় ছাদে। তার একটি অদ্ভুত স্বভাব আছে। মন খারাপ হলে আকাশ দেখতে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে নির্বাক সময় কাটে তারা ভরা আকাশের নিচে, মাঝে মাঝে ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টি।
নিজে দিনে নিয়ম করে একবার কাঁদলেও অন্য কাউকে কাঁদতে দেখলে তার অবাক লাগে। অদ্ভুত এক প্রশ্ন জাগে মনে, যার কোন মা বাবা থাকে না। 'মানুষ কাঁদে কেন? তারা যদি আমার জায়গা থেকে দেখতে পারত তাদের জীবন!'
বৃষ্টি হলেও সে চলে যায় ছাদে কিংবা জনশূন্য রাস্তায়। কোন মানুষকে দেখতে না পেয়ে কিছুটা হতাশ হয়। আজকাল মানুষ কি এতই ব্যস্ত যে একটু বৃষ্টিতে ভেজার সময়ও হয় না? তাদের শৈশবের সময় তো ঠিক এমন ছিল না সবকিছু। বৃষ্টির স্পর্শে নস্টালজিক হয়ে যায় শুকন্তলা। এক এক করে মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর কথা। কি জীবন সে কাটিয়ে এসেছে আর এখন তা হয়েছে কেমন? ভাই বোন সবাই মিলে কত বৃষ্টিতে ভিজেছে। স্কুল বন্ধের দিনে একসাথে কত রাত কাটিয়েছে গল্প করে। সারারাত এক রুমে গোল করে বসে গল্প করা শেষে কাকডাকা ভোরে সুখের রেশ নিয়ে যে যার রুমে ঘুমুতে গিয়েছে বুকভরা তৃপ্তি নিয়ে। স্কুল খোলা থাকলে গ্রামের আঁকাবাঁকা পথে হেটে একসাথে গিয়েছে স্কুলে। কত হাসি, কত কান্না। কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাললাগা।
শুকন্তলা উদাস মনে ভাবে, এখন কোথায় সে দিনগুলো?
সময় গড়িয়ে যায়। রাস্তায় হেটে যাওয়ার সময় প্রচন্ড ধনীব্যক্তি দেখলে শুকন্তলা তাকিয়ে থাকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে। মস্তিষ্কে পুরাতন সেই ইচ্ছে আবার জেগে উঠে- 'কবে আমি টাকা কামাবো। কবে তাদের মত সুখী হবো'। পর মুহূর্তেই ঘোর ভাঙ্গে। একজন শুকন্তলার জীবনে বাস্তবতার প্রলেপ এতটাই প্রখর যে খুব বেশিক্ষণ কল্পনায় ডুবে থাকতে পারে না তারা।
শুকন্তলার ছেলে বড় হয়। স্কুলে ভর্তি করানোর সময় আসে। দিনে ঠিকমত ভাত খেতে পারাই সমস্যা সেখানে ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালাবে কেমনে? এখন আর এতকিছু সে চিন্তা করতে পারে না। বুকের ভেতরটা কেমন খালি খালি লাগে। সে চিন্তাভাবনা বন্ধ করে বিধাতার কাছে প্রতবাদ জানায়, হায় খোদা এত মানুষ থাকতে কেন আমি? এক টুকরো সুখের আশায় কি কেটে যাবে পুরো জীবন? সে সময় কি কখনই আসবে না যখন অনেকের মত আমিও মনের সবটুকু তৃপ্তি মেঠানোর হাসি হেসে বলবো, জীবন এত সুন্দর কেন?
শুকন্তলাদের জীবনের গল্প এমনই হয়। খুব বেশি চাওয়া পাওয়া তাদের থাকে না। সুযোগ কিংবা পরিস্থিতিও নেই। অল্প যা কিছু চায় তাও তারা পায় না। তবু মনে আশা থাকে, একদিন সুখ আসবে। আফসোস, সেই একদিন আসার আগেই তাদের সবকিছু অসমাপ্ত রেখে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাওয়ার দিন চলে আসে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৯
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: গল্প সুন্দর হয়েছে, তবে মূল বিষয় এলোমেলো লেগেছে, শুকন্তলা কি খুজছিল? টাকা না সুখ না পুরনো স্মৃতি? নাকি ফেলে আসা শৈশবকাল
?
তবে শেষ প্যারাতে একটি ব্যাপার বুঝালেন শুকন্তলাদের "খুব বেশী চাওয়া নেই তাদের, অল্প কিছু যা আশা করে তাই পায় না!!!"
শেষ প্যারাটা শুকন্তলার কথা নয় বরং গল্প লেখকের প্রতিচ্ছবি মনে হল।
সাহেব সুখ টা আপেক্ষিক ব্যাপার, অনেকে অল্পতেই তুষ্ট, অনেকে নয়।
আর টাকা!, যত আসে ততই চাওয়া আর তার পরিধি বারতেই থাকে।
এমন অনেক মানুষ আছে সামান্য ভাত বা খাদ্য পায় না, বেচে থাকার নিশ্চয়তা নাই আর বাচ্চাকে স্কুলে দেবার প্রশ্নই আসছে না আর শুকন্তলা পেয়েছে সুতরাং তুলনায় লক্ষ কোটি গুন ভাল আছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ঠিক গুছিয়ে লিখতে না পারাটা আমার ব্যর্থতা বলতে পারেন। মূল বিষয় ছিল সুখ নিয়ে। শুকন্তলা সুখ খুজছিল।
মানুষের চাওয়া পাওয়াটাও কিন্তু আপেক্ষিক ব্যাপার।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: ভাল লাগলো !
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৫
আল মামুন খান বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম। ধন্যবাদ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০০
বাউন্ডুলে তিতাস বলেছেন: একটূ এলোমেলো হলেও ভালো হয়েছে। আরো ভালোর অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা রইলো
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পে তেমন কিছুই ঘটেনা । শুধু প্রবাহিত জীবনের একটুকরো ছবি ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: কি আর করবো বলেন। কিছু যে ঘটাবো সেই ক্ষমতাটুকুও নেই।
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
মুহিব জিহাদ বলেছেন:
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন:
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
রশিদ সভাপতি মুমুরদিয়া বলেছেন: ভাল লাগলো
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন:
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: আমার পোস্টে মন্তব্য করতে আসলেই দেখি আপনার মন খারাপ হয়ে যায়
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
খাটাস বলেছেন: আল মামুন খান বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম। ধন্যবাদ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
আর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: বাছ-বিচারে যাচ্ছি না,ব্যাপারটাতে দক্ষতা লাগে।
আপাতভাবে বলব ভাল এবং এলোমেলো লেগেছে.....
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে খুব ভালো লাগলো ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪২
আবু শাকিল বলেছেন: চমৎকার গল্প।
+
সমাপ্তি র লাইন গুলা দারুন
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
mdabul4579 বলেছেন: ভাল লাগলো
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৩
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে পঞ্চম ভালো লাগা রইল।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক ভাই।
১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫
তাশমিন নূর বলেছেন: পড়তে পড়তে একটা বিষণ্ণতা ঘিরে ধরছিল মনটাকে। ভালো লেগেছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগে নাই। প্রথমত এর নামকরনে সমস্যা। শুকন্তলা বলে কিছু নাই। শকুন্তলা হতে পারে। আর পুরো গল্পে আপনি রচনা লেখার মত করে গড়গড়িয়ে বলে গেছেন। ক্যারেকটার ডেভেলপমেন্ট নাই, আর শেষটুকু মনে হয়েছে কোন খবরের কাগজের রিপোর্টের শেষাংশ।
ভালো থাকুন। আরো লিখুন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই। আশাকরি কোন একদিন আপনাদের মত ভাল একটা গল্প লিখতে সক্ষম হবো।
ভাল আছি। আপনিও ভাল থাকবেন।
১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
বলেছেন:
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন:
১৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
অদৃশ্য বলেছেন:
ভালো লেগেছে... চেষ্টার কোন বিকল্প নেই... একটি ষ্টিলের তারে মানুষ কিভাবে সুর তোলে, বিস্ময় তাইনা...
শুভকামনা...
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
একনীল বনসাই বলেছেন: ভাল
২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
সুমন কর বলেছেন: চেষ্টায় সাধুবাদ। কিন্তু গল্প ভালো লাগেনি। বক্তব্য স্পষ্ট নয়। প্লট বিন্যাস দূর্বল। হাসান কি করত/পেশা কি কিছুই বলেন নি।
টাকার সমস্যাকে তুলে অানতে চাইলে, প্লটটি ঘুরাতে পারতেন। তাহলে ছোট গল্প হিসাবে দাঁড় করাতে পারতেন।
ভালো থাকুন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩১
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দ্বিতীয় ভালোলাগা ও অজস্র শুভেচ্ছা।