নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
আজ নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৭৩ তম জন্মদিন। ১৯৪০ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।
ড. ইউনূস ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে যার গ্রাহক সংখ্যা ৮৪ লাখ। বাংলাদেশকে তিনি দারিদ্রমুক্ত দেখতে চান।
২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
পরিবার এবং শৈশব
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর, এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তাঁর প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ড. আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষা ও প্রাথমিক কর্মজীবন
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন।
১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। ইউনূস বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।
ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক "সংহতি দল" পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যাবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্ভুদ্ধ হয়।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জম্মদিনে শুভেচ্ছা
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামার’ মত উপন্যাসকে কোনদিনই নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে না। এইজন্য আমাদের দেশের ডিগ্রিধারী মূর্খদের কাছে খোয়াবনামার কোন মুল্য নেই। তারা চেনে ‘ব্রিক লেন’ (না পড়েই)। ২০১০ সালে লিউ জিয়াবাও শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর চীন নোবেল কমিটিকে ধুয়ে মুছে দেয়। নোবেল কমিটির লোকজনকে ‘ভাঁড়’ হিসেবে উল্লেখ করে। চীন এই মেরুদণ্ড তৈরি করতে পেরেছে বলেই আজ দেশটির অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। আর আমরা এখনো নোবেল ধুয়ে পানি খাই। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনেক শিক্ষককে দেখেছি, তারা তাদের ঘরের পাশের দরিদ্র কোনো ব্যক্তির অবস্থা নির্ণয় করেন পাশ্চাত্যের করা কোনো গবেষণা থেকে। মূলত এইসব শিক্ষকেরা মেরুদণ্ডহীন জাতি তৈরি করছেন।
আমাদের দেশে একটা সমস্যা আছে,
‘গু’ জিনিসটা সব সময়ই খারাপ। ধরা যাক, আওয়ামী লীগ কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই হয়তো ‘গু’কে বার বার খারাপ বলতে লাগলো। তখন বিএনপি বলা শুরু করলো, ‘গু’ ভালো। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মত্ত এই ‘গু’ খাওয়া দলগুলোর কারনেই দেশ বার বার পিছিয়ে পড়ছে। ইউনূস ইসু্টাও গু য়ের মতো। আওয়ামী কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে গু কে খারাপ বলছে। আর বিরোধী দলের সমর্থকরা বলছে না, গু খারাপ না।
ইউনূসের Click This Link সুদখোর মহাজনদের অভিশাপ
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আওয়ামীলিগের পা চাটা ছাড়, ইউনুস এর পা দুয়া পানির যোগ্যতা হইছে কি?
যত সব ফাইজলামি
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: শুভ জন্মদিন ডঃ ইউনুস!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
Post +++
স্যারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা .