নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
এক্সপোর্ট কোয়ালিটি স্ক্রীন প্রিন্ট ফেক্টরী সম্পর্কে পারামর্শ দরকার, আমার একজন পরিচিত ফ্রেন্ড এই ফ্যাক্টরী দিতে চাচ্ছে।
আজ থেকে প্রায় ৬/৭ বছর পূর্বে আমার ছোট কাক্কুর একটা প্রিন্ট গার্মেন্টস এ প্রায় দুই বছর যাতায়ত ছিল আমার, বলতে গেলে খাওয়া পড়া ঘুম সবই ছিল এই ফ্যাক্টরিতে তাই ঐ বন্ধুটা আমকে বল্ল এই ব্যাপারে হেল্প করার জন্য। অনেক কিছুই ভুলে গেছি যা নিজ চোখে দেখেছিলাম।
আমি যতটুকু পেরেছি উকে পরামর্শ দিয়েছি -
১) একটা লম্বা ঘর লাগবে, যেহেতু এক্সপোর্ট কোয়ালিটি তাই ঘরের মানও ভাল হতে হবে। পাকা ঘর হলে ভাল হয়, কেননা কোন গার্মেন্ট আপনার ভাংগা চুরা ঘরে এদের লক্ষ লক্ষ টাকার মাল অনিরাপদ ভাবে ফেলে রাখবেনা। সুতরাং সিকিউরিটির অবস্থা ভাল হলেই কেবল অর্ডার পাওয়া যাবে।
২) যে এলাকায় গার্মেন্টস বেশি সে এলাকাই দিতে পারলে অনেক ভাল হয়, অর্ডার পেতে এবং ডেলিভারি দিতে সুবিধে হয়।
৩) কাপড় প্রিন্ট করার জন্য ৩০/৪০ ফুট লম্বা টেবিল লাগবে, টেবিলের সংখ্যা নির্বর করবে কাজের চাপের উপর তবে প্রাথমিক অবস্থায় ৪টা দিয়ে শুরু করলে ভাল হয় (সম্পূর্ণ আমার মতামত)। লোহার এংগেল ব্রেকেট এর ফ্রেম এবং উপরে পারটেক্স বোর্ড জাতিয় কিছু হবে।
বোর্ডের উপরে ৩/৪ এমএম ফোম দিয়ে তার উপর রেক্সিন এর কাভার হবে। টেবিলের দুই পাশে ২ ইন্চি এংগেল বার থাকবে ফ্রেম সেট করার জন্য।
৪) টেবিলের উপরে কাপড় শোকানোর জন্য একটা ফ্রেম তৈরী করতে হবে, এবং বাশ বা কাঠের ষ্টিক থাকবে কাপড় দেয়ার জন্য।
৫) ভাল মানের কিছু কারিগর লাগবে - একজন দক্ষ কালার মাষ্টার লাগবে, মনে রাখতে হবে প্রিন্ট ফ্যাক্টরিতে কালারের উপর সব কিছু নির্ভর করে।
৬) ভাল মানের লোহার ফ্রেম মিরপুর ১০ নাম্বারে পাওয়া যায়, বিভিন্ন সাইজের ১০০ থেকে ১৫০ টা ফ্রেম লাগবে।
৭) মেস কাপড় সহ সকল কেমিকেল মিরপুর ১০ পাওয়া যায়, দোকান গুলির সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে পারলে মাঝে মাঝে কিছু অর্ডারও সংগ্রহ করে দেই।
প্রিন্ট ফেক্টরির সকল মালপত্র আমি মিরপুর ১০ থেকে কিনে আনতাম কাক্কুর গার্মেন্টস এর জন্য। ঐখানে ভাল মানের ডিজাইন এর দোকারও আছে, কম দামের জন্য জন্য কখনোই নিম্ন মানের ডিজাইন ফ্লিম ব্যাবহার করবেন না।
৮) গার্মেন্টসএর সাথে ভাল সম্পর্ক রাহতে হবে, মার্চেন্ডাইজার / বায়িং হাউজের লোক দের সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে। যত বেশি সম্ভব গার্মেন্টস এর সাথে সম্পৃক্ত লোকদের কার্ড সংগ্রহ করুন, কোন না কোন একদিন কাজে লাগবে।
কারো পরিচিত কেও যদি গার্মেন্টস এর সাথে জড়িত থাকে অনুগ্রহ করে কন্ট্রাক নাম্বারটা দিয়ে উপকার কারবেন।
আমি নিজেও আমার ছোটভাইকে দিয়ে এমন একটা ব্যাবসা চালু করার চিন্তা করতেছি। তাই মাঝে মাঝে গার্মেন্টস সেক্টরে পরিচিত লোকদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি।
প্রিন্ট গার্মেন্টসটা সম্ভবত সাভার আশোলিয়ার দিকে হবে।
আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আসলে ছোট কাক্কুর প্রিন্ট গার্মেন্স এর সাথে একটু জড়িত ছিলাম তাই একটু জানা, ৬/৭ বছর আগের কথা তাই অনেক কিছু ভুলে গেছি।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
বিডি আইডল বলেছেন: মূল বিষয়টা নিয়ে বলেন নি...আমার জানামতে এই মার্কেটটা হাইলি স্যাচুরেটেড। নতুন অবস্হায় ঢুকে মার্কেট ধরতে যে পরিমাণ সময় লাগবে..ফ্যাক্টরি রান করানোর মত ক্যাপিটেল আছে সে সময়ের জন্য?
কোয়ালিটি কন্ট্রোল এবং সেফটি কন্ট্রোলের দিকে মনোযোগ দিতে বলবেন। এসবে খরচ বেশি হয় না কিন্তু লং রানে প্রচুর সুফল পাওয়া যায়।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আসলে অনেক কিছু ভুলে গেছি তাই আপনাদের সবার স হযোগিতা চাচ্ছি।
আমি সবার আগে সেফটির গুরুত্ত্ব দেই।
অনেক ধন্যবাদ, পরিচিত কেও থাকলে এই লাইনে একটু পরিচু করিয়ে দিবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:১০
এন ইউ এমিল বলেছেন: এই বিষয়ে ভালইতো জানেন দেখছি,
বিষয়টার প্রতি আমারো খুব আগ্রহ, বছর ২এর মতো এই প্রিন্টের কত ডিজাইনযে আমি করেছি হিসাব নাই.