নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘লক্ষ্যটা যদি সামনে থাকে তাহলে পথ একটা খুঁজে পাবই’-ড. মুহাম্মদ ইউনূস

০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিডিং ক্লাবের একদল সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ৪টায় ঢাকাস্থ ইউনূস সেন্টারে। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের কথা শোনার পর তাদের উদ্দেশ্যে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের উদ্দেশ্য করে তার অভিজ্ঞতার নিরিখে বলে চলেন উন্নয়ন, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন, লক্ষ্য অবিচল বিশ্বাস ও কাজের কথা। সেই আলোকদ্যুতিময় আলোচনার গ্রন্থনা করেছেন সাবিদিন ইব্রাহিম



ড. মুহাম্মদ ইউনূস : “থ্যাংক ইয়্যু! তোমরা যে এসেছ খুব খুশি হয়েছি।



আর তোমরা যেটা করছ সেটা খুব চমৎকার কাজ। এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কাজেই তোমরা যে কিছু তরুণ এখানে একত্রিত হয়েছ একটা কাজ করার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। খেয়াল করলে দেখবা বাংলাদেশ বিশ্বের বিরাট মানচিত্রের মধ্যে কোথায় হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট একটা দেশ। পৃথিবীর অনেক মানুষ বাংলাদেশকে চেনে না। অথচ ১৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ আমরা। পৃথিবীর অনেক ছোট ছোট দেশ যার জনসংখ্যা ২ মিলিয়ন, ৩ মিলিয়ন, ৪ মিলিয়ন কিন্তু তারা বিশ্বকে চালায়। নরওয়ের মতো একটা দেশ যার সাড়ে চার মিলিয়ন মানুষ। ঢাকা শহরের এক কোণা দিয়ে দিলেই এর চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। অথচ তারা তাদের রোজগার দিয়ে আমাদেরকে সাহায্য করে যায়। সাড়ে চার মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ১৬০ মিলিয়ন মানুষের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করার চিন্তা করে এবং সহায়তা করেও প্রতিনিয়ত।

এই যে পরিস্থিতি তার মধ্যে আমাদের অবস্থান কোথায়? এটা হলো বুঝার বিষয়। এখন আমাদের করণীয়টা কি? একটা হলো ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর মধ্যে যে পরিবর্তনটা আসছে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে যে পরিবর্তনটা আসছে সেটা এমন শক্তি দিচ্ছে সেটা অকল্পনীয়।



আজকে যারা জন্ম নিচ্ছে তাদের যে ক্ষমতা এটা অতীতের মানুষের ক্ষমতার তুলনায় হাজার গুণ বেশি। এই হাজার গুণ বেশি ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নিয়ে আমাদের আগের মতো স্বভাব-চরিত্র দিয়ে চলা যাবে না। হাজার গুণের বেশি ক্ষমতা আছে বলেই আমরা এখন ১০০ বছর আগে যেটা চিন্তা করা যেত না সেটা আজ চিন্তা করতে পারি। আজকে আমরা যত দূরেই থাকি, দেশেই থাকি, দেশের বাইরে থাকি আমাদের কাজ-কর্ম থেমে থাকে না।

বাংলাদেশ পৃথিবীতে খবর-সংবাদের উপযুক্ত হয় যখন দেশে একটা বন্যা আসে, মানুষ খুনাখুনি হয়, মারামারি হয় এসব কারণে। দুর্যোগের কারণে তারা আমাদেরকে চেনে। কোনো একটা বড় কাজের জন্য, বড় একটা কৃতিত্বের জন্য আমাদেরকে চেনে না।

এরকম কৃতিত্ব আমরা দেখাইও না। কাজেই আমরা নজরে আসি না। কাজেই কে কার খোঁজ নেয় কোনদিকে কারা আছে।

বাংলাদেশ বললে এটা এশিয়াতে আছে না আফ্রিকাতে না ল্যাটিন আমেরিকাতে আছে এ নিয়ে খোঁজ নেয়ার ঠেকা কার?

কাজেই এটার একটা পরিবর্তন সম্ভব। যেহেতু ঐ যে বললাম মানুষের এখন এক হাজার গুণ ক্ষমতা। এই গুণ এসেছে বলে সেখানে যেটা আগে অসম্ভব ছিল এটা আজ সম্ভব । যদি আমরা চাই সে অসম্ভবকে সম্ভব করতে। না চাইলে তো আর হবে না।



এক কালে অসম্ভবের তালিকা অনেক দীর্ঘ ছিল। এটা এখন ক্রমে ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। যেটা গতকাল সম্ভব ছিল না এটা আজ সম্ভব হচ্ছে। নতুন অসম্ভবের তালিকা সৃষ্টি হয়েছে তবে এটা সীমিত। এই অসম্ভবকে ছোট করেছে কে? কেউ না কেউ তো ছোট করেছে!



কিন্তু আমরা সেটা করতে পারছি না অথচ আমাদের ক্ষমতা অসীম। প্রথমত আমাদের ক্ষমতাটাকে অনুভব করতে হবে, ‘আমার’ সে ক্ষমতা, ‘ব্যক্তি’র ক্ষমতা। আমি যদি জানি আমার ক্ষমতা আছে তাহলে এটাকে আমার ব্যবহার করতে হবে। যদি ক্ষমতা আমি ব্যবহার না করি তাহলে এটা পচে গেল! এটা কোনো কাজে লাগে নাই। এটা আমার সঙ্গে ছিল। আমি ব্যবহার করিনি। আমার সঙ্গে তার মৃত্যু হয়েছে। এটা আর কোনো দিন প্রকাশিত হলো না। সেইটাই হলো সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়। একটা হলো আমার যে ক্ষমতা আছে এটা বিশ্বাস করতে হবে তারপর কাজে লাগাতে হবে।

কোন কাজে লাগাতে হবে? কোন কাজে লাগাব, কিভাবে লাগাব এটা হলো ভাবনার বিষয়। পড়াশুনাটা আসে এইজন্য যে সেটা আসলে প্রস্তুতি। পড়াশুনা শেষ জিনিস না। রিডিং ক্লাব যেটা করছে সেটা ভালো। সেটা হলো প্রস্তুতির জন্য। কিন্তু সে প্রস্তুতি কিসের জন্য?

আমি যদি ক্রিকেট খেলোয়াড় হতে চাই তাহলে মাঠে আমাকে নামতে হবে, ক্রিকেট আমাকে খেলতে হবে। আমি শুধু প্রস্তুতিই নিলাম কোনোদিন ক্রিকেট খেললাম না সেটার কোনো মানে হয় না। আমি সাঁতার শুধু শিখেই গেলাম, কোনোদিন সাঁতার কাটলাম না, নদীর এপার থেকে ওপার গেলাম না তাহলে এই সাঁতার কাটার দরকার কি? কাজেই এটাকে চিন্তা করতে হবে। প্রস্তুতি এক জিনিস আর প্রস্তুতিটাকে কাজে লাগানো আরেক জিনিস, কর্ম আরেক জিনিস। কাজেই পড়াশুনার সঙ্গে কর্মটা জড়িত করতে হবে। শেখার সঙ্গে কর্মটা জড়িত।



আমি গাদাগাদা বই পড়লাম তাহলে কি হলো? সেটা যদি কাজে না লাগাতে পারি!

রিডিং ক্লাবের একজন সদস্য খুব ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছে আমাদের দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা মুখস্ত করেছে সে। এটা ভালো। কিন্তু আমি বাংলাদেশের সংবিধান কেন, দুনিয়ার সব সংবিধান মুখস্ত করলাম তাহলে আমার কি আসে যায় যদি না এটা কাজে লাগে? কাজে লাগানোটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি সংবিধানের একপাতাও পড়ি, একটা শব্দও যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে সংবিধান পড়া সার্থক।

আমি যদি গাদাগাদা টেকনোলজি জ্ঞান নিয়ে আমার কম্পিউটার ভর্তি করে ফেললাম কিন্তু সেটা কোনো কাজে লাগালাম না তাহলে এটা তো কাজে আসবে না, বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে। কাজে লাগানোটা হলো লক্ষ্য। লক্ষ্য স্থির করতে হবে। লক্ষ্যকে স্থির করে প্রস্তুতি নিতে হবে। লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করতে হবে।



আমি খেলব ক্রিকেট কিন্তু শিখছি ফুটবল, এটা হবে না। আমার লক্ষ্য স্থির করার পর অন্য কাজও করতে পারি। সেটা অনেক কাজেও আসবে। আমার আসল কাজকে সহজ করে দেবে। কিন্তু ঠিক করে রাখতে হবে আমার লক্ষ্যটা। তারপর সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। লক্ষ্য স্থির করে কোনো কিছুতে লেগে থাকলে সফলতা আসবে। হানড্রেড পারসেন্ট না আসলে নাইনটি পার্সেন্ট আসবে, ১০% আসবে বা ৫০% আসবে। কিন্তু আমি যদি লক্ষ্যই না স্থির করতে পারলাম তাহলে সাফল্য বা স্বার্থকতা মাপারও কোনো ব্যবস্থা নাই।



তোমাদের মধ্যে একজন বলেছ যে ডেভেলপমেন্ট করতে চাও, উন্নয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি অনেক জায়গাতেই এটা বলেছি। একজন মানুষ যে তিনবেলার মধ্যে একবেলা খেতে পারে না আর দুবেলা খেতে পারে তাকে যদি আমি আরেকটি বেলার খাবারের সন্ধান দিতে পারি, ব্যবস্থা করে দিতে পারি, সে আয়োজনটি করে দিতে পারি তাহলেই সেটা উন্নয়ন। উন্নয়ন মানে হলো জীবনের গুণগত পরিবর্তন আনা। মানুষের জীবনের গুণগত পরিবর্তন। আর বাকি কথাগুলো হলো নানা রকমের কপচানো।



যে খেতে পারত না তাকে খাবারের ব্যবস্থা করা, যে শুতে পারত না তার শোয়ার ব্যবস্থা করা, যার শীতের কাপড় নাই তার কাপড়ের ব্যবস্থা করা, কম্বলের ব্যবস্থা করা-এটাই উন্নয়ন। উন্নয়ন মানে এই নয় যে বড় বড় দালানকোঠা ওঠানো। সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষ। মানুষের মধ্যে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে পারা যায় সেটাই হলো উন্নয়ন।

তোমরা যদি রিডিং ক্লাবের কাজের ফাঁকে একটা বাচ্চা যে কোনোদিন লেখাপড়া করত না তাকে লেখাপড়া শেখাও এবং তার জন্য সে পড়তে পারে, তাহলে এটা হবে পরিবর্তন। ইউ মেড ইমপ্যাক্ট অন পিপল। জীবনকে স্পর্শ করাটাই হলো মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন। এটা বড় অর্জন এজন্য যে আমি একজন মানুষের জীবন স্পর্শ করলাম। সে আমার বাসার চাকরই হউক কিংবা পথের ভিখারিই হউক বা যেকোনো ব্যক্তিই হউক এই কাজটা আমি করে দিচ্ছি। তার সম্পূর্ণ জীবন আমি পাল্টে দিতে পারি নাই কিন্তু এ কাজটাতে আমি সফল হয়েছি। এতটুকুর জন্য আমি আত্মতৃপ্তি অনুভব করতে পারি। আমার আরও বহু কাজ করার কথা ছিল, পারি নাই। আমার সফলতা অতটুকুই।



কিন্তু আমি ওই পড়লাম, ডিগ্রি নিলাম, বই পড়লাম এইটা তোমার নিজের মানসিক শান্তি হতে পারে কিন্তু এতে পৃথিবীর কোনো আসে যায় না। কাজেই কাজটাকে এবং লক্ষ্যটাকে সামনে রাখতে হবে। লক্ষ্যটা যদি সামনে থাকে তাহলে পথ একটা খুঁজে পাবই। এখন পথ খোঁজার কাজটা খুব সোজা হয়ে গিয়েছে। আগে এটা অনেক কঠিন ছিল। কঠিন ছিল যেহেতু তথ্য পাওয়া যেতনা। এখন দুনিয়ার সব খবর, সংবাদ, নমুনা পাওয়া যায়। আজকাল ইন্টারনেটে যা ইচ্ছে তাই খবর পাওয়া যায়, তথ্য পাওয়া যায়। যেটার সন্ধান চাই সেটাই পাওয়া যায়। এখন মুহূর্তের মধ্যে যত দুনিয়ার তাবত খবর পাওয়া যায়। এখন এই সংবাদটাকে আমার কাজে লাগাতে হবে। সংবাদ পাইলাম। কিন্তু এ দিয়ে কি কাজ হবে? এই সংবাদ যদি সংবাদই থেকে যায়, সংবাদকে যদি তোমার কাজে না লাগাও।

তোমার সামান্য জানাটাও যদি কাজে লাগাও এটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সে তোমরা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেছ এটা খুবই ভালো। কারণ এই সময়টাতে যে কাজ করা যায় সেটা আর ১০ বছর পর করা যাবে না। কাজেই এই সময়ে তোমাদের যে লুকনো শক্তি সেটা প্রকাশ করার সময়। যা কিছুই কর না কেন তার জন্য একটা গন্তব্য থাকতে হবে যে এই কাজের জন্য এটা আমরা করছি। গন্তব্যহীন কাজ মানে সময় নষ্ট করা। নিরর্থক সময় নষ্ট করে তো লাভ নেই। তার চেয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়াই তো ভালো।



কাজেই এখন তোমরা যা করছ তার একটা গন্তব্য ঠিক করবে, লক্ষ্য ঠিক করবে। নিশ্চয়ই তোমাদের মনে আছে তোমরা কি লক্ষ্যে কাজ করছ। তারপরও বাড়তি কথাগুলো বললাম।

আজকে এসেছ খুব ভালো লাগলো। যোগাযোগ রেখ। তবে তোমরা কাজটাকে ভুলে যেয়ো না। কাজটা খেয়াল রেখ। কাজটাই হলো আসল। এবং সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষ। একজন মানুষের জীবনও যদি পরিবর্তন করতে পারো তাহলে তোমার জীবন সার্থক। এবং দুজন করতে পারলে আরও ভালো।

কাজেই সারা দুনিয়া পাল্টে ফেলতে হবে, বড় বড় কাজ করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমি এইভাবে বলি-তোমার চিন্তা হবে এমন যে সেটা হবে বিশাল। থিংক বিগ বাট স্টার্ট ভেরি স্মল! বড় জিনিসের পেছনে চিন্তা মাথায় থাকবে। কিন্তু কাজটা শুরু করতে হবে সামান্যতম, একেবারে ক্ষুদ্রতম দিয়ে। ক্ষুদ্রতমে যদি সফল হও তাহলে ওটাতে যোগ করতে করতে বিশাল হয়ে যাবে। তোমরা যদি একজন একজন মানুষের জীবনকে পাল্টাতে পারো তাহলে তোমরা দশ-বার জন আরও দশ-বার জনের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারবে। আমি যদি দশটি মানুষের জীবনও পাল্টে দিতে পারি তাহলে এটাই আমার জীবনের সার্থকতা।



অথচ সারাজীবন বলে গেলাম সারা দুনিয়া পাল্টে দিব কিন্তু আমি একটি মানুষের একদিনের জীবনও পাল্টাতে পারলাম না তাহলে কি হলো। বড় পরিকল্পনা এবং শুরুর বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। পরিকল্পনা এবং কাজ শুরুর মধ্যে এই তফাতটা খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছুর মধ্যে একটা রেখা টানতে হবে।

(সাপ্তাহিক, ২৬/০২/২০১৪)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: উনি ১৯৭৮ সালে ভালো মনোভাব নিয়ে শুরু করেছিলেন।

উনি এখন জাতির জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছেন; এমন কি বিশ্বের মানুষকে ফাঁকি দিচ্ছেন!

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাই কাকে কি বলছেন?
যে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মডেল, তাকে বলছেন জাতির জন্য বিপদ।
যাকে এক নজর দেখার জন্য, একটু কথা শুনার জন্য বিশ্বের সবাই তাকিয়ে থাকে। তাকে বলছেন সে বিশ্বের সাথে ফাকি দিচ্ছে।

আপনারা পারেনও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.