নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়িটি যখন বিল গেটসের

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১



মোট ৮১৫০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তির অধিকারী, মাইক্রোসফ্ট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এই মুহূর্তে আমেরিকার সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তি। সাত বছর এবং ৬.৩ কোটি ডলার খরচ করে তৈরি তার বাড়িতে প্রযুক্তি ও ঐশ্বর্যের তাক লাগানো মিশেল।

১৯৮৮ সালে ২০ লাখ ডলারের বিনিময়ে ওয়াশিংটন এস্টেট কেনেন গেটস। এরপর দীর্ঘ সাত বছর ধরে একটু একটু করে গড়ে ওঠে তার স্বপ্নের বাসভবন। ‘সিটিজেন কেন’ ছবির নায়ক চার্লস ফস্টার কেন-এর বাড়ির আদলে গেটস তার আস্তানার নাম রেখেছেন ‘জানাডু ২.০’। কেবল বিত্তের আস্ফালন নয়। বিল গেটস-এর বাড়ির আপাদমস্তক ছেয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চমক।

গেটস-এর বাড়ির তাক লাগানো কিছু বৈশিষ্ট্য :

১) মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বাড়ির বর্তমান মূল্য ১২.৩৫৪ কোটি ডলার। ১৯৮৮ সালে বাড়িটি কেনা হয় ২০ লাখ ডলারে। বছরে মোট ১০ লাখ ডলার সম্পত্তি কর দেন গেটস।

২) ৬৬,০০০ বর্গ ফিটের বাড়ি তৈরি হয়েছে ৩০০ নির্মাণ শ্রমিকের সাহায্যে। এদের মধ্যে ২০০ জন বিদ্যুৎকর্মী। বাড়ি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০০ বর্গ ফিট কাঠ। বাড়ি লাগোয়া হ্রদের তীরের সৌন্দর্য বাড়াতে বসানো হয়েছে ৫০০ বছরের প্রাচীন ‘ডগলাস ফার’ গাছের সারি। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে বার্জে ভাসিয়ে আনা হয়েছে বালি, যা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে জলাশয়ের পাড়।

৩) জানাডু ২.০-র প্রতি ঘরে হাই-টেক সেন্সরের সাহায্যে পছন্দসই তাপমাত্রা এবং আলো সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বাড়িতে থাকতে এলে অতিথিদের নিজস্ব পিন নম্বর দেয়াই ‘জানাডু ২.০’-এর দস্তুর। নম্বর উল্লেখ করলেই মেলে অত্যাধুনিক পরিষেবা। ঘরের ওয়ালপেপারের পিছনে লুকোন স্পিকার থেকে বাড়ির সর্বত্র পছন্দ অনুযায়ী গান শোনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

৪) এই বাড়ির পারিপার্শ্বিক প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দূষণহীন পরিবেশের ভারসাম্য এখানে বজায় থাকে স্বাভাবিক উপায়ে।

৫) গেটসের বাড়ির দেয়ালের ছবি ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করার ব্যবস্থা হয়েছে। কেবল একটি বোতামে চাপ দিলেই বদলে যাবে ছবি। এজন্য বাড়ির আনাচে-কানাচে মোট ৮০,০০০ ডলার অর্থমূল্যের কম্পিউটার স্ক্রিন বসানো হয়েছে। কয়েক হাজার কোটি ছবি রাখতে ব্যবহার করা হয় দেড় লাখ ডলার মূল্যের স্টোরেজ ডিভাইস।

৬) বাড়ির ৬০ ফিট লম্বা সুইমিং পুলটি তৈরি করা হয়েছে এক সম্পূর্ণ পৃথক ভবনে যার মোট আয়তন ৩,৯০০ বর্গ ফিট। পুলে পানির নিচে গান শোনার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। একটি কাচের দেয়ালের তলা দিয়ে সাঁতরে পুলের বাইরে চলে আসা যায়। রয়েছে একটি অত্যাধুনিক লকার রুম, ৪টি শাওয়ার এবং ২টি স্বয়ং সম্পূর্ণ শৌচাগার।


বাড়ির অন্দরমহল

৭) শরীরচর্চা করার জন্য বিল গেটসের বাড়িতে যে জায়গাটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে তার মোট আয়তন ২,৫০০ বর্গ ফিট। পুরুষ ও নারীদের পৃথক লকার রুম ছাড়াও রয়েছে স্টিম ও সাওনা বাথের আলাদা ব্যবস্থা।

৮) জানাডু ২.০-এর রিসেপশন হলটির আয়তন ২,৩০০ বর্গ ফিট। এখানে ২০০ জনের ককটেল পার্টি এবং ১৫০ জনের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। হলঘরের একদিকে রয়েছে লাইমস্টোনের তৈরি ৬ ফিট চওড়া ফায়ারপ্লেস। উল্টোদিকের দেয়ালে রয়েছে ২২ ফিট চওড়া ভিডিও স্ক্রিন।

৯) ডোটা বাড়িজুড়ে রয়েছে ২৪টি শৌচাগার। এর মধ্যে ১০টি অভিনব পরিষেবাযুক্ত।

১০) বাড়িতে রয়েছে মোট ৬টি রসুইঘর। বাড়ির বিভিন্ন প্রান্তে এগুলি তৈরি করা হয়েছে, যাতে ইচ্ছে অনুযায়ী বিশাল প্রাসাদের যেকোনো অংশে খানাপিনার ব্যবস্থা করা যায়।

১১) বিল গেটসের বইয়ের নেশা সর্বজন বিদিত। তার ২১০০ বর্গ ফিট গ্রন্থাগারের সিলিংটি গম্বুজাকৃতির। এতে রয়েছে দুটি গোপন বুক কেস। এর মধ্যে একটি আসলে গুপ্ত বার। বইয়ের আড়ালে লুকোনো রয়েছে বিশ্বের বিরল ও দুর্মূল্য মদিরার সম্ভার। গ্রন্থাগারে সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা এবং বিষয়বস্তুও ঈর্ষণীয়। মাইক্রোসফ্ট সহ-প্রতিষ্ঠাতার সংগ্রহে রয়েছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির পাণ্ডুলিপি সুবিখ্যাত ‘কোডেক্স লিসেস্টার’। ১৯৯৪ সালে যা নিলামঘর থেকে ৩ কোটি ৮ লাখ ডলারের বিনিময়ে কিনে নেন গেটস।

১২) জানাডু ২.০-এর নিজস্ব মুভি থিয়েটারে ২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। অতিথিদের বসার জন্য রয়েছে অত্যন্ত আরামদায়ক কাউচ ও আরামকেদারা। এখানে ছবি দেখতে দেখতে মুখ চালাবার জন্য রাখা হয়েছে একটি পপকর্ন তৈরির যন্ত্র।

১৩) এখন যেখানে গেটসের নিজস্ব গল্ফ কোর্স, স্পোর্টস কোর্ট ও বোটিং ডক রয়েছে, সেখানে আগে একটি বাড়ি ছিল। বার্জে চাপিয়ে তা অন্যত্র সরিয়ে ফেলে গোটা এলাকা সংস্কার করা হয়েছে।

১৪) মোট ২৩টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এই বাড়ির বিভিন্ন গ্যারাজে। এর মধ্যে রয়েছে স্টেনলেস স্টিল ও কংক্রিটের তৈরি একটি কৃত্রিম গুহা। সেখানে ১০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে।

১৫) বিল গেটস বৃক্ষপ্রেমী। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় গাছ একটি ৪০ বছরের প্রাচীন মেপল গাছ। বাড়ির ড্রাইভওয়ের পাশে দাঁড়ানো এই গাছের উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। কখনো সামান্য রুক্ষ হয়ে উঠলেই তার শরীর ভিজিয়ে দেয় শীতল ফোয়ারার পানি।

১৬) বাড়ির একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মিষ্টি পানির নালা। সেখানে বসবাস করে স্যামন ও কাটথ্রোট ট্রাউট মাছের ঝাঁক। গৃহস্বামী অথবা অতিথিদের ইচ্ছে হলে, মেনুতে জায়গা করে নেয় এই সমস্ত টাটকা মাছ।

১৭) বিল গেটসের বাড়িতে অতিথি হতে গেলে অংশগ্রহণ করতে হবে মাইক্রোসফটের বাৎসরিক নিলামে। তথ্য বলছে, একদা জানাডু ২.০-এর অতিথি হতে এক মাইক্রোসফ্ট কর্মী খরচ করেছিলেন ৩৫,০০০ ডলার। নিলামের যাবতীয় অর্থ জমা পড়ে সংস্থার ত্রাণ তহবিলে।


বিল গেটস পরিবার


বিল গেটস এর কন্যা

বিলগেটস এর বাড়ির একটা ভিডিও

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সবচেয়ে কম পরিশ্রমে এই বাড়ীর মালিক কিভাবে হবেন ? B-) B-) B-)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: সবচেয়ে কম পরিশ্রমে কল্পনাতে এই বাড়ির মালিক হতে পারেন।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, এই তথ্যগুলো ইন্টারনেটের কোন সাইট থেকে সংগ্রহ করেছেন তা যদি উল্লেখ করে দিতেন, তাহলে খুব ভাল হতো। :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আসলেই এইগুলি একেবারেই কমন তথ্য তাই ইচ্ছে করেই লিংক শেয়ার করিনি

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

ডি মুন বলেছেন: +++++

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপনাকেও প্লাস

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আর বর্ণনাসহ একটা তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট, ভাল লাগল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: +++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপনাকেও প্লাস সময় করে পড়া এবং কমেন্ট করার জন্য

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :D :D :D

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না, কল্পনাতে না। এতটা সহজও না। রাজকন্যাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে! সো বাকিটা আশা করি বুঝে নিয়েছেন।

আর যা বললেন, কমন তথ্য, ব্যাপারটায় একটু দ্বিমত আছে। এই বিষয়ে কালের কন্ঠে সম্প্রতি একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল, যার সাথে আপনার এই লেখাটির বেশ মিল রয়েছে, তারা অবশ্য লেখাটিকে লিখেছে বিজনেস ইনসাইডার থেকে অনুপ্রানিত হয়ে! :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: রাজকন্যার দিকে নজর দেওয়ার পূর্বে হাজার ভোল্টের চশমা কিনে নিতে হবে, তবে অসম্ভব বলতে কিছুই নাই।
একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন, যদি পেয়ে যান।

আর হ্যা, লেখাটা আমি কপি করেছি তবে কালেরকন্ঠ থেকে না।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: নয়া দিগন্ত ১০ নভেম্বরে এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করে । Click This Link থেকে হুবহু কপি করেও কেন সোর্স দেন না সেটা জানতে ইচ্ছে করে ভাই । অবশ্যই কমন তথ্য । দুনিয়ার সবকিছুই কমন তথ্য ! নির্ভর করে আপনার জানার পরিধির উপরে । যে এটা জানে না তার কাছে আপনার এই পোস্টও অনেক কমন তথ্য না !

মজার ব্যাপার হল নয়া দিগন্ত , এই সময় দুনিয়ার ৯ নভেম্বরের পোস্ট থেকে কপি করেছে Click This Link কিন্তু হায় ! তারাও কার্টেসি দেয় নাই । এই লিঙ্কের এরাও কপি করেছে Click This Link কিন্তু তারাও সোর্স উল্লেখ করে নাই । সবই এক কিসিমের পাবলিক !

তবে আপনার নয়া দিগন্তের লিঙ্ক এ কারনেই উল্লেখ করা উচিৎ ছিল এই কারনেই যে , সেটার সাথে আপনার শিরোনামের পর্যন্ত মিল , পোষ্টের ছবির মিল । আপনি শুধু বিল গেটসের কন্যার ছবি জুড়ে দিয়েছেন ।

হ্যাপি ব্লগিং !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.