নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখতে দেখতে আমি আকাশে উড়াল দিলাম কিন্তু কইন্যাটা রয়ে গেল বুকের বামপাশে, ঠিক হৃদয়ের মাঝখানে........................

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬



একটা মেয়ে এত সুন্দর হতে পারে, না দেখতে বিশ্বাসই হতনা।
মানুষের কল্পনার সব কিছু যেখানে শেষ, মেয়েটার সুন্দর্য সেখান থেকে শুরু। যত বিশ্ব সুন্দরির ছবি দেখলাম সবাই এই মেয়েটার একটা ঠোটের সমান সুন্দরও হবেন, দুইটা ঠোটের কথা না হয় বাদই দিলাম।
ঢাকা এয়ারপোর্টে অব্যবস্থাপনা নতুন কিছু না, তার উপর ইমিগ্রেশন অফিসারদের অত্যাচার একেবারে অতিষ্ট করে তুলে। নতুন নতুন কিছু ফর্ম হাতে দড়িয়ে দিয়ে পুরন করতে বলে, যারা সাধারন শ্রমিক হিসাবে দেশ ত্যাগ করে তারা জানে এই ফরম পুরন করা কত কষ্টের।
তারউপর অনেকেই সাথে কলম নিয়ে আসেনা, এয়ারপর্টেও কলম রাখা নেই। কি করে ফর্ম পুরন করবে এই বিষয়টা কারো মাথায় থাকে না।
এইটুকুন বয়সে অন্তত ৬টা দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়েছি, কোথাও এমন আজগুবি কাগজ দড়িয়ে দেয়না। এই ফর্ম পুরন করা আর আগেকার দিনের প্রেমপত্র লেখা একই কথা।
এয়ারপোর্টে মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই, ব্যাগের এবং শরীর স্ক্যান করার নামে এক লম্বা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হল। এমন ভাবে চেক করার পরেও দুইদিন পূর্বে একটা নিউজ দেখলাম এক ব্যবসায়ি ১৭ রাউন্ড গুলি সহ সিকিউরিটি গেইর পার হয়ে গেছেন যা কিনা সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে দরা পরেছে এবং বিশ্ব মিডিয়াতে এই খবরটা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
শালারা কি চেক করে নাকি মেশিন অন করে ঘুমিয়ে পরে তাই বুঝিনা, নতুবা ১৭ রাউন্ড গুলি সহ ঐ ভদ্রলোক কি করে এয়ারপোর্ট ক্রস করে? এই একটা ঘটনার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টের স্ক্যানিং এ বাংলাদেশ থেকে আগত সবাইকে কোমরের বেল্ট পর্যন্ত খুলে ক্রস করতে হয়, দুই তিনটা সমুন্ধির পুলার জন্য সারা বিশ্বের কাছে আমাদের লজ্জা পেতে হয়।
স্ক্যান শেষ করে মনিটরের দিকে তাকাতেই একটা শক খেলাম, একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাতে ফ্লাইট সিডিউল দেওয়া। বিদেশি যাত্রীরা মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে, চেষ্টা করছে এয়ারপোর্টর স্টাফদের কাছ থেকে জানতে, কিন্তু আমাদের এয়ারপর্টের বেশিরভাগ ষ্টাফই উনাদের কথা বুঝতে পারছেনা। যতক্ষন এই মনিটরের পাশে ছিলাম চেষ্টা করেছি উনাদের ইনফরমেশন জানাতে, একজন ভদ্র লোকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম আজকে নাকি উনাদের সিসটেমে কি এক সমস্যা তাই শুধু বাংলাতেই ডিসপ্লে করছে অন্য সময় বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই ডিসপ্লে হয়।
যয়হোক এইসব আমার বিষয়না, আমি ছোটলাম কাউন্টারে বুকিং সম্পন্ন করার জন্য। সি লাইনের একেবারে পশ্চিমের কাউন্টারে গেলাম, কোন লোকজন নেই তাই একটু তারাতারির জন্য ঐ কাউন্টারে গেলাম।
কাউন্টারের সামনে দাড়াতেই বুকের ভিতরে কেমন একটা কাপনি উঠে গেল, এত সুন্দর কোন মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহে থাকতে পারে আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। বোকার মত প্রশ্ন করে বসলাম "আপনি কি মানুষ?"
মেয়েটা কেমন চমকিয়ে উঠে আমাকে প্রশ্ন করল "কেন?"
না, মানে। শুনেছি মানুষের মাঝেই নাকি পরীরা বসবাস করে, আপনি তাদের মধ্যে কেও নইতো?
মেয়েটা হেসে উঠে বল্ল - নাহ, আমি পরীনা, এই পৃথিবী নামক গ্রহেরই একজন।
কথাটা বলা শেষ না হতেই অতিরূপবতি মেয়েটার মুখটা কেমন কাল হয়ে গেল, একটু চিন্তিত হয়ে পরলাম। প্রশ্ন করতেই জানতে পারলাম সিসটেমে সমস্যা আমাকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, আমি একটা হাসি দিয়ে বল্লাম "এই একটা কারনে এমন মুখ গম্ভির করতে হবেনা, আমার ফ্লাইট ২টায় সুতরাং আরো ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারব। আপনি সামনে থাকলে ফ্লাইট মিস করেও দাড়িয়ে থাকতে পারব"
মেয়েটা কেমন লজ্জাময় একটা হাসি দিল, আমার বুকের ভিতরের কাপনিটা আরো বেরে গেল। শুনেছি অনেক ফ্লাইটের সিডিউল পরিবর্তন হয়, ইস্য আজকে যদি ২/৪ ঘন্টা আমাদের ফ্লাইট দেড়ি হত আর এই মেশিনের সমস্যাটাও ঠিক করতে এই সময়টা লাগতো।
একটু আধটু কথা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় টেকনিশিয়াল বল্ল ম্যাডাম আপনার মেশিন ঠিক হয়ে গেছে। অন্য সময় হলে হয়তো টিকনিশিয়ানের উপর অনেক খুশি হতাম কিন্তু আজ কেমন জানি একটা রাগ উঠল, বেটা ২/৩ ঘন্টা সময় নিয়ে ঠিক করলে কি সমস্যা হত। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এরি মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট সময় হয়েগেছে। দোয়া করছিলাম আবার যেন মেশিনে কোন সমস্যা হয়, কিন্তু নাহ ২ মিনিটের মধ্যেই কইন্যা আমার হাতে একটা বুকিং কার্ড দড়িয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বল্ল আবার দেখা হবে।
ভাঙ্গা একটা হৃদয় নিয়ে কাপা কাপা পায়ে ছুটলাম ইমিগ্রেশনের দিকে, গেইটের মধ্যে একটা কাগজ দেখিয়ে বল্ল এইটা লিখে আনছেন? আমি যতই বল্লাম আমার কাছে সিঙ্গাপুরের পাশ আছে তারপরও এরা ঐ ফর্ম পুরন করার জন্য ফেরত পাঠাল, কলম যে ব্যাগে ছিল সেই ব্যাগ বুকিং দিয়ে ফেলেছি তাই এবার একটা কলমের খুজ করতে শুরু করলাম। হঠাৎই মনে হল, কইন্যার কাছে গেলেইতো কলম পাই। এই কথা মনে হতেই পুলিশ বেটাকে একটা বড় করে ধন্যবাদ দিয়ে ছুটলাম কইন্যার কাছে।
আমাকে দেখেই কইন্যা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠল, একটা কলমের জন্যও আমার কাছে আসতে হয়?
আমি বল্লাম - যদি কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হয় তাখলেও আপনার কাছে আসব, আপনি ছাড়া অন্য কাওকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে ভাল লাগেনা।
যায়হোক ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানের জন্য অপেক্ষা করছি, এরি মধ্যে কিছুটা সময় নিয়ে ডিউটি ফ্রী দোকান থেকে কিছু উপহার সামগ্রী কিনে নিলাম কোম্পানির বসের জন্য। এই লোকটা আমাকে কত ভালবাসে তা বলে শেষ করা যাবেনা, এখন উনার দুই ছেলেও অফিসে বসে। বেছে বেছে ৩টা গিফট কিনলাম, আর বসের ওয়াইফের জন্য মা একটা ব্যাগ দিয়ে ছিল। আমাকে যদি কেও প্রশ্ন করে বাবা মায়ের পরে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কোনটি, আমি কোন প্রকার চিন্তা না করেই বলে দিতে পারব সে আমার বস। এই ৭ বছর সার্ভিসে কতবার যে রিজাইন দিয়েছি এডমিন ম্যানেজারের কাছে কিন্তু বসে সামনা সামনি হলেই থমকে যায় ফিরিয়ে নিয়ে আসি আমার লেটার। মানুষটা আসলেই একটা মহামানুষ।
ঘড়িতে সময় ১২.৪৫ মিনিট, মনিটরে দেখতে পেলাম আমাদের গেইট ১৬এ। আস্তে আস্তে গেইটের দিকে হাটা শুরু করলাম, ১ নাম্বার গেইট থেকে ১৬এ নাম্বার গেইট বলতে গেলে এয়ারপোর্টের দক্ষিন প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্ত।
যেই মাত্র গেইটের কাছে আসলাম সাথে সাথে একটা চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম, "আরে আপনি?" এইতো সেই কইন্যা যারে পরী মনে করে ছিলাম।
এইবার মেয়েটা কেমন স্বাভাবিক ভাবেই বল্ল, "তখন আপনাকে বলেছিলাম না আবার দেখা হবে"
দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কষ্ট টা এক প্রকার ভুলিয়ে দিচ্ছে পরীর মত দেখতে এই মিষ্টি মেয়েটা, কত সুন্দর হতে পারে একটা মানুষ। এক কথায় কল্পনারও উর্ধে।
রিজেন্ট এয়ারের অফিসিয়াল ড্রেসকোড লাল ব্লাউজ আর লাল হলুদ মিশ্রিত একটা শাড়ি পরে আছে, আচলটা খুব সুন্দর বাজ করে পিছনে ফেলেছে। উপরে নেভিব্লু একটা ব্লেজার পরা আছে, ব্লেজারটা মনে হয় শীতের জন্য পরা নতুবা পারমানান্ট হলে নিশ্চয় নেইম প্লেইট কোর্টের উপরে লাগানো থাকতো। চোলগুলি কেমন করে ফুলিয়ে রেখেছে, ঠোটে লাল লিপিষ্টিক আর গালে কেমন একটা মেকাপ দিয়েছে। চোখের উপরে ঝিলমিল ঝিলমিল করছে কি যেন লাগিয়েছে। আমি অবাক নয়নে মেয়েটাকে দেখছি, অনেক চেষ্টা করছি মেয়েটার নামটা দেখার জন্য কিন্তু ব্লেজারের জন্য নেইম প্লেইট দেখতে পারছিলাম না। অনেক লোকচুরি করে আইডি কার্ড থেকে মেয়ের আইডি নাম্বারটা দেখলাম, চার ডিজিটের একটা সুন্দর নাম্বার সাথে সাথেই মোবাইলে সেইভ করে নিলাম। ভাবলাম এইডি নাম্বার থাকলে হয়তো কোন না কোন উপায়ে উনাকে খুজে পাব।
বসা অবস্থায় মেয়েটাকে দেখতে যতটুকু সুন্দর লেগেছিল তারচেয়ে হাজার গুন বেশি সুন্দর লাগছে।
এবার মেয়েটা হেসে বলে উঠল - এখানেও কিন্তু কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে, সবাই দুপুরের খাবার খাবে নামাজ পরবে তারপর কাজ শুরু করবে। বলতে গেলে ১.৩০ মিনিটে কাজ শুরু হবে।
চোখের কোনে একটা হাসি দিয়ে মেয়েটাকে বল্লাম, আরে দেড়টা কেন আড়াইটাতে শুরু করতে বলেন। আমার সমস্যা নাই।
- আপনার সমস্যা না থাকলেও অন্যদের নিশ্চয় সমস্যা আছে?
- আরে বাধ দেন অন্যদের কথা, আমি যখন সবার প্রথমে আছি সুতরাং আমি কিছু না বল্লে অন্য কেও কিছুই বলবেনা। শুধু আপনি আমার সামনে থাকলেই হবে, বেদনা মধুর হয়ে যাবে।
কি মনে করে হঠাৎ করে বলে উঠলাম "আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিবেন?"
- কেন?
- মাঝে মাঝে আপনার সাথে কথা বলতে।
- আমি আপনার এমন কোন পরিচিত কেও কি, যার সাথে ফোনে কথা বলতে হবে?
আমি কিছুটা আচমকা হয়ে গেলাম, এই কথা সাথে যায় এমন কোন কথা আর বলতে পারলাম না। প্রসঙ্গ চেইন্জ করে অন্য কথায় চলে গেলাম, হাসাহাসি এই গল্প সেই গল্প হঠাৎ করেই গ্রীন লাইট জ্বালীয়ে ফাইনাল সিকিউরিটি চেকের জন্য কল করা হল। মনটা খারাপ করে চলে যেতে লাগলাম, মেয়েটা কেমন একটা রহস্যময় ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
সব চেকিং শেষ করে বিমানের গেইটের সামনে প্রথম চেয়ারটিতে গিয়ে বসলাম, আর ভাবলাম ইস্য এমন একটা মেয়ে যদি বউ হত তাখলে জীবনটার মানে হত অন্য রকম।
২.৩০ মিনিট বিমানের গেইট খুলা হল, লাইনে দাড়িয়ে বিমানে উঠতে যাব এমন সময় মেয়েটা সামনে দাড়িয়ে বল্ল - মোবাইল নাম্বার না শেয়ার করলে বুঝি নামটাও জানতে নেই?
আমি লজ্জিত হয়ে বল্লাম - "প্লিজ যদি নামটা বলতেন"
- ইসমিকা
আমার একটা কার্ড মেয়টার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে কিছু বলতে যাব এমন সময় কেবিন ক্রু বিমানে উঠার জন্য অনুরোধ করে বসল, কোন রকম কার্ডটা কইন্যার হাতে দিয়ে বিমানে পা রাখলাম।
এয়ারপোর্টের সময় এত দ্রুত চলে যায় আজকেই প্রথম অনুভব করতে পারলাম, চোখের সামনে থেকে কইন্যাটা কেমন হারিয়ে যেতে লাগল। দেখতে দেখতে আমি আকাশে উড়াল দিলাম কিন্তু কইন্যাটা রয়ে গেল বুকের বামপাশে ঠিক হৃদয়ের মাঝখানে........................

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: কি আর বলবো ভাইজান আপনার কইন্যটা কথা শুনে,আমার কইন্যাটার কথা মনে পড়ে গেলো সেই যে নিউইয়র্ক চলে গেলো এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ পেলাম না।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৮

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আপানর কইন্যা নিউইয়ার্ক চলে গেছে আর আমি কইন্যারে ছাইড়া সিঙ্গাপুরে চলে আসলাম.............

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

আজিজার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৮

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আহারে! এই কইন্যারে একবার চোখে না দেখলে জীবন খুর্মা! চরম লাগল লেখাটা| উপভোগ করেছি|
বানানের সমস্যা আছে লেখাটায় অনেক| এডিট করে নিন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২১

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাই ঢাকা এয়ারপোর্টে রিজেন্ট এয়ার এর কাউন্টারে চলে যান, ইসমিকা নামটা দেখে খুজে নিবেন।
আমার বানানে অনেক ভুল হয়, কিছুটা টাইপু ইরর আবার কিছুটা না জানার কারনে। পরবর্তিতে বানানের দিকে ভাল খেয়াল দেব, ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন: এখানে কি আছেন
এখানে কি আছেন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: নাহ ভাই, এখানে নাই। উনিতো ফ্লাইট এসিসটেন্ট তাই বিমানে থাকেনা..............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.