নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবস হোক আর যে দিবস ই হোক আমার কাছে ভালবাসা দিবস ই মনে হয়, তবে সেই ভালবাসাটা একটু ভিন্ন। স্রোতের তালে পরে সবার সাথে মিশে আমিও পালন করি এই দিনটা খুব সুন্দর ভাবে, বরাবরের মতই সম্পূর্ণ ভিন্ন।
লিটনের ফ্ল্যাটের কথা বলছেন? আমাদের মত পারিবারিক শাসন থেকে উঠে আসা ছেলে মেয়েরা এই নাম শুনলেও হাজার বার ডানে বামে তাকাবে কেও শুনল কিনা, আমার মতে পরিবারের শাসনই পারে একজন সঠিক মানুষ হিসাবে তৈরী করতে। সেখানে যে ধর্মই থাকুক।
আমার ভালবাসা দিবস বলতে বাবা মা ভাই বোন কিছু খুব নিকটের বন্ধু বান্ধবী, এদের সবাইকে নিয়েই আমার ভালবাসার পৃথিবী।
কাওকে কিছু বুঝতে না দিয়ে হঠাৎ করেই যখন কোন একট গিফট পাঠিয়ে দেই তখন এদের মনের অনুভূতিটার কথা ভেবে খুব ভাললাগে।
২০১১ সালে আমার খুব নিকটের একটা মেয়ের বিয়ে হয়, বিয়ের পরের প্রথম ভালবাসা দিবসে কক্সবাজার ট্রুরের একটা প্যাকেজ পাঠিয়ে দেই কিন্তু প্রেরকের কোন নাম দেইনি। মেয়ে ছেলে দুই জনই আশ্চর্য হয়ে যায়, রাতে যখন আমি ফোন করি তখন এরা বল্ল আজ একটা ঘটনা ঘটে গেছে "কে যেন ভুলে কক্সবাজার ট্রুরের দুই জনের একটা প্যাকেজ আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে"
অনেকক্ষন গল্প করার পর যখন দেখলাম এরা যাবেনা তখন বল্লাম এইটা আমি পাঠিয়েছে, কেমন যেন একটা নিরবতা কাজ করছিল ফোনের অপর পাশে। এই নিরবতাটার মানেই হইতো "ভালবাসা"
ছোট্ট বোনকে একটা চকলেটের প্যাকেট পাঠালে আনন্দের অশ্রু নিয়ে যখন বলে " ভাইয়া এই ভালবাসার দিনটাওকি তুই আমাদের জন্য রেখে দিয়েছিস" তখন মনে হয় বোনের চোখে আনন্দ অশ্রুরটার নামই "ভালবাসা"
বড়বোনের বাসায় গিফট পৌছতেই বুঝতে পারে পাগল ভাইটা এই কাজ করেছে, তখন ফোনে যখন বলে "তুই আমাদের ছোট, কেন গিফট পাঠাস?" এই প্রশ্নটার মাঝে যা খুজে পাই তার নামই "ভালবাসা"
আমার অনেক মেয়ে বন্ধু আছে যাদের সাথে আমার অনেক ভাল সম্পর্ক, কিছু না বলেই হুট করে এদের বাসায় চলে আসি। ওদের ছেলে মেয়েরাও আমাকে ঠিক মামার মতই দেখে, মাঝে মাঝে ওদের আপন মামা আমার সাথে ঐ বাসায় আসলেও আমার ভালবাসটা বাচ্চা গুলির কাছে সবচেয়ে বেশি থাকে। হয়তো এই কাছের মানুষ থেকেও আমাকে কাছে নিয়ে আসার নামই "ভালবাসা"
ভালবাসার মানে ভালবাসা, যারা মোড়ের ফার্মেসী বা মুদি দোকান থেকে কনডম কিনে প্রেয়সীকে নিয়ে লিটনের ফ্ল্যাটে যায় তার নাম "নষ্টামী" এটা কিছুতেই ভালবাসার কাতারে পরেনা।
আমাদের এমন কালচারের জন্যই আজ সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে "ভেলেন্টাইন্স-ডে বলে কিছু নাই, সব কনডম বিক্রীর ধান্দা"
পৃথিবীর সব দেশেই ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস হিসাবে পালন করে আমাদের বাঙ্গালীদের মত "লিটনের ফ্ল্যাট" দিবস হিসাবে পালন করেনা, দিবসের দুষ দিয়ে লাভ নেই "লিটনের ফ্ল্যাটে" যাতায়াত এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।
আগে লিটনের ফ্ল্যাটের বিরোদ্ধে দাড়ান, দেখবেন ভালবাসা দিবসটা অনেক সুন্দর হয়ে যাবে.........
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
বিজন রয় বলেছেন: ++
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
শেষ বেলা বলেছেন: দারুন লিখেছেন, এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। আমাদের আগত ভবিষ্যৎ কি জানি না। ভালবাসা মানে লিটনের ফ্লাট না, শারীরিক এই অসুস্থ মনোভাব থেকে আমাদের বের হতে হবে। ভালবাসা নিদিষ্ট কোনো দিনের জন্য না। এই ভালবাসা মায়ের, বাবার জন্য, ভাই-বোন, বন্ধুদের জন্য, শুভ কামনা রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালবাসার মানে ভালবাসা, যারা মোড়ের ফার্মেসী বা মুদি দোকান থেকে কনডম কিনে প্রেয়সীকে নিয়ে লিটনের ফ্ল্যাটে যায় তার নাম "নষ্টামী" এটা কিছুতেই ভালবাসার কাতারে পরেনা।
ভালোবাসা থাকুক প্রতিদিন। মানুষের জন্য মানুষের।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
T2 বলেছেন: ছোট্ট বোনকে একটা চকলেটের প্যাকেট পাঠালে আনন্দের অশ্রু নিয়ে যখন বলে " ভাইয়া এই ভালবাসার দিনটাওকি তুই আমাদের জন্য রেখে দিয়েছিস" তখন মনে হয় বোনের চোখে আনন্দ অশ্রুরটার নামই "ভালবাসা"
বড়বোনের বাসায় গিফট পৌছতেই বুঝতে পারে পাগল ভাইটা এই কাজ করেছে, তখন ফোনে যখন বলে "তুই আমাদের ছোট, কেন গিফট পাঠাস?" এই প্রশ্নটার মাঝে যা খুজে পাই তার নামই "ভালবাসা"