নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি

১৮ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩




উচ্চশিক্ষা শেষ করেছেন। অন্যের অধীনে চাকরি করার ইচ্ছা নেই আপনার। নিজে ব্যবসা করবেন-এ স্বপ্ন বহুকালের। সরকারি কিংবা বেসরকারি ভালো চাকরি পেতে হলে যেমন নিজেকে প্রস্তুত করা চাই, তেমনি যে কোনো ধরনের স্বনির্ভর উদ্যোগ গড়তে হলেও চাই মানসিক ও আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি। জানতে হবে কী কী ধাপে কীভাবে এগোতে হবে। ধাপগুলো জানাচ্ছেন আমিনুল-ই-শান্ত
ব্যবসা হল পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বেশি অর্থলগ্নি করা প্রতিষ্ঠান। ব্যবসার প্রথমেই দরকার মূলধন এবং তার সুষ্ঠু ব্যবহার। কোন প্রতিষ্ঠান বছরে কত লাভ বা ক্ষতি করল তার ওপরই নির্ভর করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব। ব্যবসার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ পণ্য। সব ব্যবসায়ীই চান তার পণ্যটির বাজার কাটতি ভালো হোক এবং উত্পাদন ব্যয় বাদ দিয়ে মুনাফা থাকুক। আর এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে ব্যবসার মূল রসায়ন। ব্যবসার সফলতা প্রসঙ্গে মাইডাস ফিন্যান্সিং লিমিটেডের ডিজিএম শফিকুর রহমান খান বলেন, উদ্যোক্তাদের অবশ্যই ব্যবসায়িক কমিটমেন্ট রক্ষা করতে হবে। শ্রমিকের বেতন-ভাতা এবং ব্যাংক লোনের কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পারলে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়গুলো ঠিক রেখে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি ও ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে ব্যবসায় সাফল্য সম্ভব।

ব্যবসা শুরুর আগে : কী ধরনের ব্যবসা করবেন বিষয়টি নির্ভর করে বিনিয়োগের ওপর। উদ্যোক্তার ওপরই নির্ভর করে ব্যবসার ধরন। তবে নতুন যিনি ব্যবসায় নামবেন তাকে কিন্তু নিজস্ব ইউনিট গড়ে তোলার আগেই কয়েকটি বিষয়ে চিন্তা করে নিতে হবে। যেমন-কাজের অভিজ্ঞতা। নির্দিষ্ট যে ব্যবসা করবেন সে বিষয়টি তার কতটা ভালো লাগে বা এ ব্যাপারে তার আগ্রহ কতটুকু। শিক্ষাগত, কারিগরি যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ আছে কি না। উত্পাদিত সামগ্রী বা পরিসেবার চাহিদা বাজারে যথেষ্ট কি না। কাঁচামাল ও অন্যান্য উপাদান সহজেই মিলবে কি না। কারিগরি উত্পাদন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান আছে কি না। অন্য উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে মুনাফা কতটুকু করা সম্ভব এবং উত্পাদনের গুণগতমান বজায় রাখতে পারবেন কি না।

ব্যবসার প্রাথমিক শর্ত ও ধরন : ব্যবসার প্রাথমিক শর্ত হল উত্পাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য পুঁজি, অর্থ এবং মেধা। ব্যবসার লগ্নি হল ক্রেতা এবং বিশ্বস্ততা। এই দুই লগ্নির এক লগ্নি মান কিংবা অভিমান করলে সে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে নির্ঘাত। তাই ব্যবসায় নামার আগে এ দুটি বিষয়ে সতর্ক হোন। ব্যবসা নানা ধরনের হতে পারে। তবে সম্পদের বিবেচনায় ব্যবসার শ্রেণীবিভাগ দু’ভাবে করা যেতে পারে। এক, মেধাভিত্তিক ব্যবসা। দুই, সম্পদ সংক্রান্ত ব্যবসা। আপনার মূলধন বা নগদ অর্থকড়ি না থাকলে বা কম থাকলে মেধাভিত্তিক ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন বড় বড় ফার্মের আইডিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ডিল করতে পারেন।
এ জন্য দরকার পরিচিতি। আপনার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে দাঁড় করাতে পারেন এ ধরনের ব্যবসা। আর পুঁজি ঘাটতি না থাকলে নিজেই দাঁড় করাতে পারেন নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান।

আইনি প্রক্রিয়া : ব্যবসা করার জন্য দুই ধরনের আইনি সহায়তা প্রয়োজন। এক, ট্রেড লাইসেন্স। দুই, এগ্রিমেন্ট বা কন্ট্রাক্ট। ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়। আর লাভজনক প্রতিষ্ঠানের জন্য জয়েন্ট স্টক লাইসেন্স করা যায়। পার্টনারশিপে ব্যবসার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধিমালা রয়েছে। বিধিমালা অনুসরণ করে ট্রেড লাইসেন্স বা অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করলেই আপনি ব্যবসার বৈধতা পাবেন।

মূলধন সংগ্রহ : কাঁচামাল সংগ্রহ, আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ক্রয়, পণ্য মজুদ করা, কর্মীদের সন্মানী দেওয়া এবং উত্পাদন পরিচালনাসহ অন্যান্য খরচের জন্য প্রয়োজন হয় কার্যকরী মূলধনের। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ধরন এবং পরিধি বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটিডের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার সালাহ্উদ্দীন আহমেদ বলেন, শুধু বড় ব্যবসায়ীদের জন্যই নয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্যও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ৩ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। ব্যবসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে আপনিও ব্যাংক ঋণ সংগ্রহ করতে পারেন। এ ছাড়াও দেশে বিভিন্ন কনসালটেন্সি ফার্মের সহায়তায় ব্যাংক ঋণ পাবেন আপনি। এসএমই ফাউন্ডেশনের এক তথ্য অনুযায়ী ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯ শতাংশ সুদে ৫০ হাজার থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ পাওয়া যায়।

বিপণন : পণ্য কতটা বিক্রি করতে পারবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে। বিক্রি বাড়ানোর জন্য সরাসরি বা পরোক্ষ বিক্রি বাড়াতে হবে। সরাসরি বিক্রি বাড়ানোর উপায় হল বিজ্ঞাপন দেওয়া, বিভিন্ন উপায়ে প্রচারের ব্যাবস্থা করা, মডেল তৈরি করা, বিশেষ ঘটনা, দিন, বিষয় উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে বিক্রির বন্দোবস্ত করা। অন্যদিকে পরোক্ষ বিক্রি বাড়ানোর উপায় হল ব্যাপকভাবে জনসংযোগ করে গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা, পণ্যের সুন্দর নকশা বা প্যাকেজিং এবং বাজারে পণ্যের ভাবমূর্তি তৈরি করা। ব্যবসায়ীদের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মন জয় করতে সব রকম চেষ্টা করতে হবে। ব্যবসার শুরুতে শুধু পাইকারি বিক্রির আশা করা ঠিক নয়।

পরামর্শ : নতুন যারা ব্যবসা করার চিন্তা করছেন তারা আরও বিশদভাবে জানতে কনসালটেন্সি ফর্মে যোগাযোগ করতে পারেন। যেমন-
মাইডাস ফিনান্সিং লিমিটেড
বাড়ি-৪৩, রোড-১৬, ধানমণ্ডি, ঢাকা।
ফোন : ৮১১৬০৯৪, ৮১১৬১৮৬-৭
এসএমই ফাউন্ডেশন
রয়েল টাওয়ার, ৪, পান্থপথ, ঢাকা।
ফোন : ৮১৪২৯৮৩, ৯১৪২৯০৭
http://www.smef.org.bd

ব্যবসায়ীর শর্ত
প্রথমত উদ্যোমী এবং দূরদর্শী হতে হবে। ব্যবসার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোতে হবে।
হতে হবে সুযোগ সন্ধানী। কারণ বাজার সব সময় এক রকম থাকবে না। সব দিক বিবেচনা করে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ক্ষতি হলে উদ্যম না হারিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হবে। ব্যবসার গতি পথ সচল রাখতে হবে। ধাপে ধাপে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্রেতার মন জয়ের চেষ্টা করতে হবে। প্রথমে লাভ কম
করে বিক্রি বেশি করার চেষ্টা করতে হবে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাকি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

মজির বংশ সামু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সাহস সঞ্চয়কারী লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.