নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
আপনারা সবাই হয়তো চিনে থাকেবেন জাকের পার্টি নামক একটা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে আছে আর মোস্তফা আমির ফয়সল এই দলের চেয়ারম্যান, উনার বড় ভাই সর্বোচ্চ নেতা এবং উনাদের দুইছেলে কো-চেয়ারম্যান।
ফয়সাল মিয়ার বাবা একজন মহান মানুষ ছিলেন এবং বুজর্গ পীর হিসাবেই সবেই চেনে, বাবার লক্ষাদিক মুরিদ আছে আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে চতুর ফয়সাল। বাবার পরিচয় কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা দুবাই পাচার করছে যা সবার কল্পনারও বাহিরে।
যেহেতু বাবা মুরিদেরাই উনার দলের কর্মী সুতরাং এদের কিছু কিছু অংশ দেশের বাহিরে অবস্থান করছে, সেই সুবাধে অন্য দেশ থেকে দুবাই সহজেই টাকা পাচার করা যাচ্ছে। জানিনা সরকারের নিয়মের মধ্যে কোন নিয়ম আছে কিনা প্রবাসীদের আয় ফরসাল সাহেব নিজের দুবাইর একাউন্টর নিয়ে গেলে কি শাস্তি হতে পারে। এই টাকাগুলি বাংলাদেশে আসতো কিন্তু উনি সবাইকে হুকুম করে টাকা পাঠাচ্ছেন দুবাইর একাউন্টে, নিশ্চিত করেই বলা যায় এটা টাকা পাচার। আর এই পাচারের শাস্তি মানি ল্যান্ডিং আইনে স্পষ্ট বলা আছে। উপর মহলের কেও যদি এই ব্লগে থাকেন তাখলে বিষয়টা দেখার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকল।
নাম - মোস্তফা আমির ফয়সল
ব্যাংক - Emirates NBD Bank, Dubai UAE
একাউন্ট নাম্বার - AE890260001014683918301
হয়তো বলবেন মানুষ যে উনার দুবাইর একাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছে তার কি প্রমাণ আছে, আমি প্রমান ছাড়া এতবড় রাগব বোয়ালের বিরোদ্ধে কিছু বলছিনা। শুধু এই প্রমানটার জন্য আমি সিঙ্গাপুর জাকের পার্টির সভাপতির পাঠানো টাকার দুইটা রিসিট দিলাম।
সভাপতির নাম কাওসার এবং উনার মোবাইল নাম্বার (+৬৫) ৯৭২২৩৬৬২, বিশেষ প্রয়োজনে যে কেও জেনে নিতে পারেন।
এখানে দুইটা কাগজ এড করা আছে, যা আমি অনেক কষ্টে সংগ্রহ করেছি আরো এমন অনেক কাগজ আছে যা সংগ্রহ করা যায়নি। তবে পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশ থেকে প্রতিমাসেই উনার একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য, আর উনার বিদেশি বিষয় গুলি দেখাশুনা করেন দুবাই অবস্থানরত হায়দার নামক এক ভদ্র লোক, জাকের পার্টিতে যার পদবি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারি সম্পাদক।
গত ফেব্রুয়ারিতে কাওসার সিঙ্গাপুরে না থাকায় মনির নামের এক জনের মাধ্যমে টাকাটা দুবাইর একাউন্টে পাঠানো হয় তার রশিদও সংযুক্ত করে দেয়া হল।
এখানে আমার সংগ্রহে থাকা সিঙ্গাপুরের রিসিট সংযুক্ত করলাম, পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকেই উনার এই একাউন্টে টাকা যাচ্ছে যা কেও জানেওনা।
সরকার পরে আছে বিএনপি আর জামাত নিয়ে অথচ এই পীরগুলি দেশের বারটা বাজাচ্ছে তারদিকে কারো কোন নজর নেই, অশিক্ষিত বিদেশে অবস্থানরত শ্রমীক গুলিকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে প্রশাসনের চোখে ফাকি দিয়ে ফয়সালরা ঠিকই দেশের বাহিরে টাকা নিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি।
দেশ থেকে বিদেশে টকা গেলে প্রাচার হয় ১২/১৪ বছরের মামলা হয় কিন্তু প্রবাসীদের টাকা যদি সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয় তাখলে কেন পাচার হিসাবে গন্য হবেনা? সরকার ছোট্ট একটা তদন্ত করতেই পারে কেন উনি দুবাই টাকা জমাচ্ছেন? ঐখানে উনার কি আছে? কেন কোটি কোটি টাকা উনার দেশের বাহিরে জমানো হচ্ছে?
এমনতো হতে পারে উনাদের দেশে বাহিরের এই কোটি কোটি টাকা দেশে জঙ্গি উৎসে ব্যব হার করা হচ্ছে, যেভাবেই ব্যব হার করোক একটু তদন্ত করতে সমস্যা কি?
ফয়সাল ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩য় বিভাগে বিএ পাশ করে, লেখা পড়ায় খারাপ থাকলেও চাটুকারিতা আর প্রতারনায় ১ নাম্বার অবস্থান তৈরী করেছে।
ফয়সাল সাহেবের ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় দেখায় যায় উনার নামে ১৭টাল শ্রমীকের মুজুরি না দেয়ার জন্য মামলা আছে যা পরবর্তিতে মুজুরি পরিশোধে আপস হয়। মামলার বিবরন এইখানে দেয়া আছে -
যে নিজেকে পীর দাবী করে অথচ সে নিজেই শ্রমীকের মুজুরি দেইনা তাখলে সে কিসের পীর একবার চিন্তা করে দেখুন ।
উনার বাবার শেষ বয়সে একটা বই লিখেছেন যেখানে উল্লেখ করা আছে উনার সমস্থ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উনার মুরিদের নামে উইল করে গেছেন কিন্তু ফয়সাল এত হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন কি করে?
নির্বাচনি হলফনামাতে উনার অস্থাবর সম্পত্তি -
স্থাবর সম্পত্তি -
উনার বাৎসরিক আয় ব্যায়ের বিবরণী -
ভাঙ্গা কুড়ে গড় থেকে যাদের যাত্রা তারা আজ অশিক্ষিত সরল মানুষগুলিকে বুলিয়ে বালিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্বসাত করছে অথচ রাষ্টের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কে নিশ্চয়তা দেবে জঙ্গিবাদে এদের টাকা ব্যব হার করা হচ্ছেনা?
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: এই লোক অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজ করেন না। অথচ কয়েকদিন আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। ঢাকার সব নামি দামী হোট্রলে ছয় সাত দিন ধরে অনুষ্ঠান হয়েছে, আটটি হেলিকপ্টার নিয়ে আটরশিতে গিয়েছেন। ভারতীয় ডিজাইনার মানিশ মালহত্রা পাত্রীর বিয়ের পোষাক ডিজাইন করেছেন- দাম ৫০লক্ষ টাকা।
আমাদের আয়কর বিভাগ কি করেন?;
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৫
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: tax vat dept. works only 4 poor people
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: এই খাজাবাবারা মানুষদের ঠকায়। আমার প্রশ্ন মানুষ কেন এত বেকুব হয়। সবচেয়ে অবাক বিষয় হচ্ছে জন্মদাতা নয় অথচ বাবা ডাকে। গৌরবের সাথে মাথা উঁচিয়ে পরিচয় দেয় অমুক ভান্ডারী, তমুক বাগী।
ব্যবসা করলে নাম দেয় খাজাবাবা ট্রেডিং করপোরেশন, গাড়ীর নাম রাখে খাজাবাবা পরিবহন। এমন কি আমি আমার জীবনে অসংখ্য মসজিদ দেখেছি 'মসজিদে খাজবাবা' নামে। প্রভাবশালীদের সাথে এদের যোগাযোগ থেকে আপনি অনুমান করতে বাধ্য হবেন যে এসব ভন্ডপীরদের অনেকেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে রিক্রুটেড। ইনু বাবাজি আজীবন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। শেষ জীবনে তাওবা করতে ফার্মগেটের বাবা কুতুববাগীর দরবারে ধরণা দিচ্ছেন।
বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ পড়েছিলাম, এরশাদ এবং তার সাবেক মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে এক টেবিলে আলোচনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বাবা কুতুববাগী, স্বয়ং তার পাক দরবার শরীফে। এই ক্যারিশমা তো শেখ হাসিনাও দেখাতে পারে নাই।