নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
দেশে অভাব চলছে, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। চাল ডাল পিয়াজ, সব কিছুর দাম আকাশ ছোয়া............
এতই যদি সমস্যা হয়, তাহলে রেষ্টুরেন্টে এত ভিড় কেন? ঢাকা কক্সবাজার ট্রেনের টিকেট মাত্র ৫ মিনিটেই শেষ হয়ে যাচ্ছে কেন? যে ট্যুর কোম্পানি গুলি বিদেশ ট্যুরের প্যাকেজ নিয়ে কাজ করে তারা কাজ করতে করতে হাপিয়ে উঠছে কেন?
.
আচ্ছা বলেনতো লাষ্ট কবে রেষ্টুরেন্টে গিয়েই বসার জন্য সিট পেয়েছেন? আমিতো কখনোই ২০/৩০ মিনিট না দাড়িয়ে থেকে বসতে পারিনি। এতই যদি সমস্যা থাকে তাহলে এই লাইনে থাকা মানুষগুলি কারা? এরাই রেষ্টুরেন্টে ৩ হাজার টাকা বিল দিয়ে ২শত টাকা টিপস দিয়ে গলির মোর থেকে পিয়াজ কিনে ফেইসবুকে লেখে "আর পারছিনা ভাই"
.
ঢাকা কক্সবাজার ট্রেনের টিকেট কিনার জন্য অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখছি কিন্তু নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই কিনতে পারছেনা। বিমানের টিকেটেরও একি অবস্থা, আপনি এক সপ্তাহের কোন টিকেটই পাবেন না। হোটেল গুলিতে রুম নেই, যে মানের হোটেলই হোক না কেন।
ভাবতে পারেন, রয়েল টিউলিপের একটা রুমের ভাড়া ৮০ হাজার টাকা অথচ এই রুমে থাকলে হলে আপনাকে মিনিমাম এক মাস আগে বুকিং করতে হবে!
যারা কক্সবাজার সাজের থেকে ঘুরে এসে ১০/১৫ হাজার বা তারও বেশি টাকা খরচ করেছে, তারাই ঘুরা ফেরার ছবি শেয়ার করার শেষে ছোট্ট করে একটু হতাশ হয়ে বলে "আলুর দাম ৮০ টাকা"
.
বছরে কয়েকবার বিদেশ ট্রুর দেয়া মানুষটাও কাচা মরিচের বাজার নিয়ে কথা বলে হাই হুতাশ করে, ভাইরে বিদেশ ঘুরতে গিয়ে ৫০ হাজার খরচ করতে পারলে বাজার নিয়ে এত হতাশার কি আছে? ফালতু খরচ না করলেইতো বছর শেষে কিছু টাকা সেভিংস থাকতো যা দিয়ে আরাম করে পরের বছরটা শেষ করে দেয়া যেতো।
.
আমরা রেষ্টুরেন্টে সপ্তাহে কম করে হলেও একদিন খাবো, দেশের ভিতরে কম করে হলেও ২ মাসে একবার ট্যুর দেবো, বছরের শেষের দিকে বিদেশে বেড়াতে যাবো। আবার প্রতিদিন "সব শেষ বলে চিল্লা ফাল্লাও করমু"
.
আপনি মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড ঘুরতে গেলে মনেই হবেনা দেশের বাহিরে আছেন, ঠিক যেনো ঢাকার বাহিরে কোন শহরে আছেন মনে হবে। এতএত বেশি পরিমান বাংলাদেশি এইসব দেশে ঘুরতে যায়।
ইন্ডিয়ার কথা বাধই দিলাম, কলকাতাতো লোকাল লোকের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি পর্যটক।
ইউরোপের ফ্লাইটগুলিতে খুজ নেন, কম করে হলেও ২০% যাত্রী শুধুই ঘুরতে যাচ্ছে। আইফেল টাওয়ারের আসেপাশে অনেক বাংলাদেশি পর্যটক দেখেছি যারা শুধুই ঘুরতে গেছে দেশ থেকে। সুইজারল্যান্ড নেদারল্যান্ড সব যায়গাতে একই অবস্থা।
.
যারা নিত্য পন্যের দাম বাড়ার জন্য চিল্লা ফাল্লা করতেছে তাদের ফেইসবুকে স্ক্রল করে দেখেন, বেশিরভাগই উপরের লিষ্টের মানুষ। এরা শুধুই এটেনশনের জন্য এইসব করে বেড়াচ্ছে।
.
তারমানে কি দেশের মানুষ খারাপ নেই? অবশ্যই খারাপ আছে, বাস্তব চিত্র অনেক বেশি খারাপ। তবে যারা কষ্টে আছে তাদের না আছে স্মার্টফোন না আছে ফেইসবুক আইডি, এই মানুষগুলি শুধুই আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে। এমন প্রতিবাদের ভাষা আমি আপনি না বুজলেও এমন এজন বুজে নিচ্ছে যার কাছে কোন কিছু মুখ খুলে বলতে হয়না। এমন নিরব অভিযোগের পরিনতি অনেক খারাপ ভয়াবহ রকমের খারাপ।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: তারা ইচ্ছামতো প্রতি মাসে ভোগ্য পন্য ও অন্যান্য জিনিষের দাম বাড়ায়।
কারো কিছু করার নেই।
সব সরকারি লোক।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩
প্রামানিক বলেছেন: বেঙ্গালোরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি ৮০% বাংলাদেশি লোক
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২
এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: All of us are busy to our own business. No more time to think about the people suffering allot. Actually we are too selfish
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
দেশে দুই শ্রেণীর মানুষের বসবাস, ধনী ও দরিদ্র।
পোষ্টে উল্লেখিত বিষয়গুলো ধনীদের জীবন যেটা সমস্যার সাবজেক্ট না।
তাই সেই উদাহরণগুলো এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না।
দরিদ্রদের সংখ্যা বেশি এবং তারা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
লাস্ট প্যারাটাই বাস্তবতা।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্টুডেন্ট ভাড়ার প্রসঙ্গ মনে পড়ল। অনেকে ৫ টাকা ভাড়া নিয়ে রিকশাওয়ালা-হেল্পারদের সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে আবার রেস্তোরাঁয় গিয়ে ঠিকই ১০০-২০০ টাকা টিপস অনায়াসেই দিয়ে দেয়। সিগারেট বা অন্য কিছু খেয়ে টাকা অপচয়ের কথা নাই বা বললাম।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমাদের দেশের বেশির ভাগ নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মানুষেরাই অনলাইনমুখী বেশি মনে হয়।
গরীবেরা ফেসবুক, ব্লগে নাই। বড়লোকদের সার্কেল আলাদা, পোস্টের বিষয়ও আলাদা।
এক্ষেত্রে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ক্যাটাগরিটাই আসলে কনফিউজিং। এদের হাতে হয়ত ৩০-৪০ হাজার টাকার স্মার্টফোন আছে, আবার বাজারে গিয়ে চিংড়ির কেজি ৭০০ শুনে, মাথায় হাত। চালের কেজি ৮০-৯০ এ কষ্ট হয়।
ঘুরতে যাওয়া কিংবা রেস্টুরেন্টে যাওয়াটা এদের বিনোদনের অংশ। বছরে এক দুইবার কোথাও ঘুরতে যায়, দুই তিন মাসে একবার রেস্টুরেন্টে। তার জন্য আলাদা বাজেট রাখে। হুট করে বললেই এরা সাজেক গিয়ে ঘুরে আসতে পারবে না, সপ্তাহে একবার করে বা প্রতিদিন রেস্টুরেন্টেও খেতে পারবে না। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তাদের প্রতিদিনই প্রয়োজন হয়। সেসবের হিসাব মাথায় আসবেই।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কথা সত্য। কিন্তু কেউ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। এটাও সত্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: দেশের মানুষ খুব কষ্টে আছে।
দেশের টাকা সব ৫ টি গ্রুপ অফ কোম্পানীর কাছে।