নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা কি আতিথেয়তা গ্রহণ?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫১



১৯৭১ থেকে ২০১২। মেহেরপুরের আম্রকানন থেকে ঢাকার সংসদ ভবন। বর্ষপুঞ্জির এই দিনে জাতীর বিজয় দিবসের বয়স বেড়ে পদার্পণ করল ৪১ বছরে। ইংরেজী ক্যালেন্ডারের বিদায়ী মাসটা বাঙালী জাতির জন্য বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ প্রকাশের মাস। এই মাস এলেই এ দেশের রাজনীতিবিদদের মাঝে আছড়ে পড়ে স্বাধীনতায় আত্মত্যাগীদের জন্য নির্লজ্জ দরদ। পালিত হয় স্বাধীনতা দরদী নানান কর্মসূচী।

স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পরিচালনায় এ দেশের রাজনীতি শিকার হয় নানান ষড়যন্ত্রের। ফলে রাষ্ট্র স্বাধীনতার মূল চেতনায় পরিচালিত হতে পারেনি বলেই স্বাধীনতার মূল সম্পদগুলো অবহেলিত হতে হতে আজ অস্তিত্বের সংকটে। মুক্তিযোদ্ধারা আজও রাস্তায় ভিক্ষা করে। অপরদিকে স্বাধীনতাবিরোধীরা লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে বীরদর্পে অংশীদারিত্বে শাসন করে স্বাধীন এ দেশ।

এ চিত্র যে কোন স্বাধীন জাতির জন্য অবশ্যই লজ্জার। দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে চলমান দেশীয় এমন নোংরা রাজনীতির যাঁতাকলে দেশ পরিচালিত হওয়ায় যে চিত্রটি আজ জাতির সামনে ফুটে উঠেছে তা বড়ই উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার মূল চেতনা প্রশ্নে আজ দ্বিধা বিভক্ত। কালের যাত্রায় স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতি রাষ্ট্রের দীর্ঘ পৃষ্ঠপোষকতার কারণে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি অনুপাত বেড়েছে, কমেছে স্বাধীনতার পক্ষশক্তি।বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘সীমান্ত পাড়ি দিলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না।’ বেগম জিয়া বুধবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম জিয়ার এ ধরনের বক্তব্য দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষুব্ধ করবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা জাতি কখনই বিস্মৃত হবে না। দুঃসময়ের বন্ধুর ঋণ স্বীকার করতে গ্লানি নেই; বরং তা গৌরবের। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের সংঘটিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সময় ভারত মুক্তিকামী মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। সে সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধাই ভারতে প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন; ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একই সঙ্গে তাঁদের আশ্রয় ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের এই সহায়তায় বাংলাদেশে স্বীকৃত; একে লুকোনোর মতো কিছু নেই। সে সময় পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের কাছে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ জীবন বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। বেগম জিয়া কি এইসব কথা বিস্মৃত হতে চান?

মুক্তিযুদ্ধকালে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়াকে কটাক্ষ করেই বেগম জিয়া যে মন্তব্য করেছেন, তাতে তাঁর ভারতবিরোধিতার স্বরূপই প্রকাশ হয়। এটা এক ধরনের বিদ্বেষ যা বিএনপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূল ভিত্তি। এই সাম্প্রদায়িকতাকে কেন্দ্র করেই বিএনপি-জামায়াত জোট গড়ে উঠেছে। তারা জনসমর্থন লাভের আশায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে।

আবার আর্থিক বা রাজনৈতিক সুবিধা লাভের আশায় স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধতে তাদের বাধে না।



১৯৭১ সালে যাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গিয়েছিল, তাঁদের সবাই ছিলেন আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক। বেগম জিয়া তাঁর ভাষণে সীমান্ত অতিক্রমের প্রসঙ্গ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে কটাক্ষ করেছেন তা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের উৎসাহ যোগাতে পারে-এর বেশি কিছু নয়।

পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে থেকে কিভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেন। পাকিস্তানিদের আতিথেয়তা গ্রহণ করে তিনি কেমন মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৫

শয়তান ২০০০ বলেছেন: uni bironggona

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: well said

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০১

আহমেদ রশীদ বলেছেন: ভাই আপনার টাইটেল এর বানান ঠিক করেন প্লিস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.