নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনূস : আপনি কি তেমন কোন সুযোগ নিতে চান?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫



ড. ইউনুস ইদানীং তার 'ইউনূস সেন্টারে' নামসর্বস্ব বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তাদের অ্যাপয়েনমেন্ট দিচ্ছেন। আর মিডিয়ায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। এমনি এক আলোচনায় বলা হয়েছে সরকার চাইলে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আলোচনা করতে রাজি আছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমার কাছে আসছে। আমি কারো কাছে যাচ্ছি না। সেক্ষেত্রে সরকার যদি চায়, তাহলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেভাবে আলোচনায় বসেছি, সেভাবেই সরকারের সঙ্গে বসতেও রাজি আছি।



মিডিয়াগুলো বলছে ওই বৈঠকে তিনি বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশে অশান্তি কমবে। নির্বাচনকালীন অশান্তির চেয়ে আমার কাছে প্রধান নির্বাচন উত্তর অশান্তি। আগামী প্রজন্মের কাছে কোন বাংলাদেশ দেব, তা নির্ভর করছে এর ওপরেই। ইউনূস বলেন, দেশের অর্ধেকই তরুণ। এ তরুণদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। তাদের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবেন না।' তিনি আরও বলেন, 'যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে শান্তি নিশ্চিত হয় সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায় দেশের মানুষ। এ নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগের যত দেরি হবে অশান্তি তত বাড়বে।



তিনি ওয়ান-ইলেভেনের পরে গড়ে ওঠা কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে ২২ আগস্ট কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও ৭ জুলাই বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত ২৭ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ওই একই মাসে খালেদা জিয়ার অভিনন্দনপত্র নিয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে।



সাক্ষাতের এই বহর দেখে বোঝা যাচ্ছে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস আসলে কি চাচ্ছেন। আর তার এ চাওয়ার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে নোবেল বিজযী ড. মুহাম্মদ ইউনূস মধ্যস্থতার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্দলীয় সরকার ইস্যুতে বিএনপি সংলাপ করতে প্রস্তুত আছে। তবে সে ব্যাপারে সরকারি দলকে রাজি হতে হবে। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। বায়বীয় প্রস্তাবের সুযোগ নেই। সংলাপের জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।



আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব এটা আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু একটি মীমাংসিত বিষয়ে সংলাপ নিয়ে ড. ইউনূসের অতি উৎসাহ ও মির্জা ফখরুলের তাতে স্বাগত জানানোয় দেশবাসীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। কারণ, ড. ইউনূসের সংলাপ কী হবে তা দেশবাসী জানে। কারণ তার অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংক দখলের থেকে মুক্তির সময়ে এই বিএনপিই বলেছিল তারা ড. ইউনূসের পাশে আছেন থাকবেন। এখন শোনা যায়, বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই ইউনূসের পরামর্শেই চলছেন। কারণ মার্কিন লবির জন্য বিখ্যাত ড. ইউনূসের মার্কিন প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী যেমন ক্ষমতা দখলের চিন্তায় মগ্ন তেমনি ইউনূস হতে চান রাষ্ট্রপতি। কিন্তু তারা এদেশের নির্বাচন পদ্ধতি এবং জনগণের ক্ষমতায়নের কথা ভুলে গেছেন। কারণ, এদেশের মালিক জনগণ। তারা ভোট না দিলে কোন বিদেশি প্রভুরা ব্যালট বাক্স ভরে দিয়ে যেতে পারবেন না। আর এ জন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন।



এবার আসি ইউনূসের সমঝোতায় 'রাজি' হওয়া প্রসঙ্গে। সাধারণত কেউ কাউকে কোন উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করলে কিংবা কোন দায়িত্ব দিলে তা গ্রহণ বা রাজি হওয়ার একটি বিষয় থাকে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এ পর্যন্ত কি কেউ ইউনূসের কাছে গিয়েছে যে, আপনি এমন একটি উদ্যোগ নেন, নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এমন কোন প্রস্তাব নিয়ে? উপরন্তু আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন সংলাপের দরকার নেই। তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তাকে ?দূতিয়ালির দায়িত্ব কেউ দেননি। তাহলে তার এই অতি উৎসাহ ও আগ্রহের কারণ কী? দেশবাসীকে তা অনুধাবন করতে হবে। সময় এসেছে এসব সুযোগ সন্ধানীদের রুখে দেয়ার। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে তৃতীয় শক্তির মদদ যোগায়, নিজে রাজনৈতিক দল গঠনে ব্যর্থ হয়ে এদেশের সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় মসনদে বসতে চায়। তাদের এখনই প্রতিহত করতে হবে।



রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলে তারা নিজেরা বসে সমাধান করবে, সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগেও এদেশে সংলাপ হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের জন্য কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেন এদেশে এসেছিলেন। দরকার হলে সংলাপ হবে। কিন্তু তার জন্য এদেশের ড. ইউনূসকে কেন উদ্যোগ নিতে হবে। তার কাছে কে ?উদ্যোগের জন্য গিয়েছে? তার অতি উৎসাহেরও বা কারণ কী?



এর আগে 'ড. ইউনূস শাহবাগেও নেই সাভারেও নেই আছেন সমকামীদের সঙ্গে' শিরোনামে আমার লেখা নিয়ে অনলাইনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশের ৩৭ লাখ ফেসবুক ইউজারদের একটি বড় অংশ এবং নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি বা এনআরবি প্রায় ৫০ লাখ ফেসবুক ইউজারদের বড় অংশ আমার লেখা পড়েছেন। দেশ-বিদেশ থেকে আমি নানা ফোন পেয়েছি। যেখানে আমি নোবেল পাওয়া এবং এর যথার্থতা নিয়ে আলোচনা করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করেছি। কিন্তু তার নোবেল প্রাপ্তি এবং পরবর্তী কর্মকা- নিয়ে আমার শ্রদ্ধেয় লেখক শাহরিয়ার কবিরের একটি লেখা আমার দৃষ্টি কেড়েছে।



নোবেল পুরস্কার এবং পরবর্তী ডকুমেন্টারি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের পর শ্রদ্ধেয় লেখক শাহরিয়ার কবিরের উত্থাপিত কিছু প্রসঙ্গ আমি আবারও পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই। তিনি লিখেছিলেন, 'ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৬ সালে। তিনি আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে শুরু থেকে পুরস্কারদাতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে। ১৯০৬ সালে এই পুরস্কার যখন চালু হলো এবং দেয়া হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টকে তখন থেকেই সমালোচনা আরম্ভ হয়েছে। রুজভেল্টকে পুরস্কৃত করা হযয়েছিল ১৯০৫ সালে রাশিয়া ও জাপানের যুদ্ধাবসানের ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য। সমালোচকরা বলেছেন, রুজভেল্টের মতো একজন যুদ্ধবাজকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কারণ তিনি সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। খোদ আমেরিকার প্রধান দৈনিক 'নিউইয়র্ক টাইমস' তখন লিখেছে, 'বিশ্বের মুখম-লে এক বিস্তৃত হাসি ফুটে উঠেছিল যখন পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে আমেরিকার সবচেয়ে যুদ্ধপ্রিয় নাগরিককে।'



অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের জনক মহাত্মা গান্ধীর নাম পাঁচবার প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু তাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়নি। অনেক পরে নোবেল পুরস্কার কমিটি স্বীকার করেছে ১০৫ বছরের পুরস্কারের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। গান্ধীকে নোবেল পুরস্কার না দেয়ায় তার মর্যাদা কমেনি, নোবেল পুরস্কার মর্যাদা হারিয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে রাজনীতি ও কলঙ্কের অন্ত নেই। এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে গণহত্যাকারী, যুদ্ধবাজ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার, ইসরাইলের যুদ্ধবাজ নেতা শিমন পেরেজ, আইজাক রাবিন ও মেনাচেম বেগিনকে। কিসিঞ্জারকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য কমিটির দু'জন সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন, উত্তর ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লে ডাক থো-কেও ১৯৭৩ সালে কিসিঞ্জারের সঙ্গে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কিন্তু থো ঘৃণাভরে এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার তখন থেকেই প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বশান্তি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শান্তির জন্য যখন নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেলেন? অনেক নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ড. ইউনূসও এর মৃদু সমালোচনা করেছেন।



নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ঢাকার নাগরিক সংবর্ধনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ইউনূস বলেছেন, তিনি নাকি এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠে গেছেন। এরকম আদেখলেপনা শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে আর কেউ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ইউনূসের মতো আর কেউ উড়োজাহাজ চার্টার করে ৮৭ জনের বিশাল বাহিনী নিয়ে পুরস্কার আনার জন্য অতীতে কখনো অসলো যাননি। পুরস্কারদাতারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মাত্র দু'জনকে, যেমনটি তাদের রীতি। অকল্পনীয় এ পুরস্কার পেয়ে ড. ইউনূস এমনই আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন যে কোন রকম শিষ্টাচারের তোয়াক্কা করেননি। ৮৭ জনের বহরে ৪০ জন ছিলেন তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। ঢাকা থেকে তিনি চার্টার বিমানে অসলো গেছেন, সেখান থেকে গেছেন প্যারিস, তারপর লন্ডন সমালোচকদের মতে পুরস্কারের টাকার অঙ্কের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে তার এ রাজকীয় সফরে। আমরা আজও জানি না কারা এ বিশাল ব্যয়ভার বহন করেছে। কোন বহুজাতিক কোম্পানি, নাকি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক সুফিয়া, জরিমনরা! তবে এটুকু হিসেব করতে পারি এ টাকায় বাংলাদেশের ৩০-৪০ হাজার অতি দরিদ্র মানুষকে সাময়িকভাবে হলেও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেয়া যেত।



নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক এর গুরুত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে টাকার অঙ্ক। ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক এ পুরস্কার বাবদ যৌথভাবে পেয়েছেন ১.৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় দশ কোটি টাকা)। পৃথিবীতে নোবেল পুরস্কারের চেয়েও দামি পুরস্কার আছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃক প্রবর্তিত 'জায়েদ ফিউচার এনার্জি পুরস্কার' তার ভেতর একটি, যার অর্থমান ১.৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সোয়া দশ কোটি টাকা)। এ পুরস্কারটি প্রথমবারের মতো দেয়া হয়েছে ২০০৯ সালে। প্রথমবারই পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরস্কার বিজয়ী দিপালচন্দ্র বড়ুয়া ড. ইউনূসেরই ছাত্র, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গ্রামীণ শক্তির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্য অনেকের মতো দিপাল বড়ুয়াকে গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি এখন সৌরশক্তি নিয়ে কাজ করছেন, 'ব্রাইট গ্রীন এনার্জি ফাউন্ডেশনে'র চেয়ারম্যান। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ইউনূস হিমালয় পর্বতের চূড়ায় উঠে গিয়েছিলেন। টাকার অঙ্কে নোবেলের চেয়ে দামি পুরস্কার পাওয়ার পরও দিপাল বড়ুয়াকে আমরা বলতে শুনিনি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা দূরে থাক বান্দরবনের তাজিংডং বা সাকা হাফংয়ের চূড়ায় উঠতে।



বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ নোবেল পুরস্কার না পেলেও বিলেতের নাইটহুড পেয়েছেন। তার আন্তর্জাতিক পুরস্কারের সংখ্যা ইউনূসের চেয়ে খুব একটা কম হবে না। স্যার উপাধি পেয়েও আবেদ বা তার প্রতিষ্ঠান এতটুকু অহং করেনি। নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন বছরে দুই তিনবার বাংলাদেশে আসেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিতে, সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্যরা জানতেও পারেন না। ভারতে বোধহয় ছয়-সাতজন নোবেল বিজয়ী আছেন, সবার নামও আমরা জানি না। সরকার ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে শুধু বাদ দিয়েছে, তিনি তার গ্রামীণ সাম্রাজ্যে আরও কয়েক ডজন সংস্থার এমডি কিংবা চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন, অথচ সামান্য একটি পদ হারাবার বেদনায় তিনি ত্রিভুবন চষে বেড়াচ্ছেন।



ইদানীং তার ইউনূস সেন্টার যেসব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন দেখা করে, মতবিনিময় করে তা দেখলে আমার হাসি পায়। সংলাপের মধ্যস্থতার কথা তিনি বলেছিলেন সৈয়দ ইব্রাহিমের কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে। কে এ সৈয়দ ইব্রাহিম সেটা না হয় না-ই বললাম। ওয়ান-ইলেভেনের পরে কিংস পার্টি গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নিজের খায়েশের কথা জানান ইউনূস। এর চেয়ে বড়ো লজ্জা আর হাস্যকর বিষয় কী হতে পারে? এদেশে আবার ওয়ান-ইলেভেনের চক্রান্তে যারা লিপ্ত তাদের দিয়ে আর যাই হোক গণতন্ত্রের সেবা হবে না। নোবেল বিজয়ী হলেও ড. ইউনুস যদি তেমন কোন অগণতান্ত্রিক ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চান, তবে তা দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে। সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

তারেক রহমান বলেছেন: ড. ইউনুস বাংলাদেশে রাজনীতির অযোগ্য, কারন সে "ধর মার কাট" Principal অনুসরন করে না।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আমাদের রাজনিতীবিদদের নোংরা খেলার সৃষ্টি হল ইউনুস সাহেব

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

ডাক্তার আমি বলেছেন: ইউনুস সাহেব বাংলাদেশের কেউ না .......... তিনি আমেরিকার এজেন্ট। এই সত্যটা যত তাড়াতাড়ি বুঝব আমাদের ততই মঙ্গল।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

ভুদাই আমি বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে তো কতো দেশী এজেন্ট দেখলাম। এখনওতো দেখছি।

এদেশের অনেক অনেক এজেন্টগুলো বিদেশের বাবা-খালুদের ব্যাংকগুলোতে কোটি কোটি টাকার পাচার করার নজির চোখ কান খোলা রাখলে প্রায়ই দেখা যায়।


বর্তমানে আমাদের অবস্থা এমন যে একদিকে সাগর আর এক দিকে বাঘ। বিকল্প কিছু ভাবাটা কি অন্যায়?

ইউনুস সাহেব যদি চান তবে তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.