নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বির্তকিত নেতাদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের কমিটিসহ সব স্থানীয় কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ব্যাপারে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফিও সম্মতি দিয়েছেন। এছাড়া চলতি মাসে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রামের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন থেকেই মাঠ পর্যায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে হেফাজত। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে একটি সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে হেফাজত পুনর্গঠিত হচ্ছে।
জানা যায়, হেফাজতের কয়েকজন বিতর্কিত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার পরামর্শ অনুযায়ী নানান কর্মসূচি দিতে গিয়ে সরকারের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান সৃষ্টি হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে হেফাজতে ইসলাম। সর্বশেষ গত ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিতে যৌথ বাহিনীর অ্যাকশনের পর সৃষ্ট বিতর্কে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর পরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতের আঁতাতের কথা প্রকাশ হয়ে পড়ে। হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার ব্যাপারে হেফাজতের কতিপয় স্বার্থান্ধ নেতা গোপনে লেনদেন ও দেন-দরবার করে গেলেও এসব ব্যাপাওে হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কিছুই জানতেন না বলে তারা দাবি করেছেন। হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার পর হেফাজতের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গোপন আঁতাত সম্পর্কে এবং এ বিষয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহায়ত্বের কথাও প্রকাশ হয়ে পড়ে। এছাড়া ইউটিউবে হেফাজতের আমিরের বিতর্কিত বক্তব্য 'তেঁতুল তত্ত্ব' প্রকাশ হলে সেটা নিয়েও দেশের বিভিন্ন মহলে তুমুল সমালোচনা হয়। সব কিছু মিলিয়ে রাজনৈতিকভাবে হেফাজত কোনঠাসা হয়ে পড়ে। আর এসব কথা বিবেচনায় রেখে অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসছে পরিবর্তন। যেকোন সময় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ আলেমদের নিয়ে গঠন করা হবে ২১ সদস্যের মজলিসে শূরা। এই মাসে চট্টগ্রামে উলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন হবে। এই সম্মেলন থেকেই মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি ঘোষণার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া গত ৫ মে শাপলা চত্বরে যৌথবাহিনীর অপারেশনে বিপর্যস্ত হওয়ার পরও সংগঠনটির কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ না থেকে জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে শতকরা ৯০ ভাগ কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করছে সংগঠনটি। পবিত্র রমজানের পরপর কর্মসূচি আসার কথা থাকলেও কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলার কারণে কোন কর্মসূচি আসেনি বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতে ইসলামের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দলটির বিপর্যস্ত অবস্থার জন্য হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও সহকারী যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহিকে বিশেষভাবে দায়ী করা হচ্ছে। উচ্চাভিলাসী এই দুই নেতা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে মন্ত্রী হওয়ার লোভেই হেফাজতকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। আর তাই কমিটি পুনর্গঠিত হলে এই দুই নেতাকে প্রথমেই বাদ দেয়া হতে পারে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবিতে হেফাজতের বিরাট ভূমিকা ছিল বলে দাবি করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তাই সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে হেফাজতে ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে তারা মনে করেন। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই আবার বিভিন্ন ইসলামী দলের সিনিয়র নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এসব রাজনৈতিক দলের নেতারা স্ব-স্ব দলের ব্যানারে নির্বাচন করার জন্য জনসমর্থন আদায়ে বিরামহীন চেষ্টায় থাকবে।
সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও মহাসচিব সরাসরি দলীয় কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও এই সংগঠনে ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলামী বাংলাদেশ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের নেতারা নায়েবে আমির, যুগ্ম মহাসচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বরাবরই সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। এসব ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে জড়িতরা হেফাজতের কর্মসূচির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। বিগত সময়ে বিরোধীদল কিংবা তার শরিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে বিপাকে ফেলতে না পারলেও অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানাওে হেফাজতে ইসলাম সরকারকে অনেকটাই কোনঠাসা করে ফেলেছিল। তাই হেফাজতের নতুন সাংগঠনিক কর্মসূচি কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে সব জায়গায়।
এদিকে হেফাজতের কমিটি পুনর্গঠনের ব্যাপারে কিংবা মাঠ পর্যায়ে জোরদার কর্মসূচির ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে চাইছেন না সিনিয়র নেতারা। হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে হেফাজতের যেকোন সিদ্ধান্ত বা কর্মসূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সুত্র
হফাজতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি
হাইকমিশনারের রুদ্ধদ্বার বৈঠক
মাসুদুল হক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনার টিম ব্র“টিনের সঙ্গে রুদ্ধধার বৈঠক করেছেন হেফাজত নেতারা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়Ñ কওমী মাদ্রাসা পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি। রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় হেফাজত নিয়ন্ত্রিত জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বৈঠক শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান নদভী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে বিকাল ৪টায় অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনার মাদ্রাসায় আসেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক চলে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক ইলিয়াস ওসমানী প্রমুখ। বিকাল সাড়ে ৫টায় ডেপুটি হাইকমিশনার মাদ্রাসা ত্যাগ করলেও সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। পরে ওবায়দুর রহমান নদভী সাংবাদিকদের জানান, নগরীর চাঁন্দগাঁও এলাকায় একটি মাদ্রাসা পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি। ওই মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান ছিল। তিনি সে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। ডেপুটি হাইকমিশনার কওমী মাদ্রাসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন এবং পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলেন। এছাড়া আগামী নির্বাচন, শাপলা চত্বরের ঘটনাসহ রাজনৈতিক কোনো আলাপ তার সঙ্গে হয়নি বলে জানান তিনি। সুত্র
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: ভাই আপনি কি জয় ভাইয়ের সাইবার আর্মিত সদস্য নাকি
যাহা বলিবেন সত্য বলিবেন কিন্তু যেসব লিঙ্ক দিবেন সেসব লিঙ্ক কি সত্য বলার ওয়াদা করেছে naki
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
তালপাতারসেপাই বলেছেন: গোয়েন্দাপ্রধান গোয়েন্দা রিপোর্ট দিন
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
rafiq buet বলেছেন: বাংলাদেশী তালেবান ...