নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার তুলনামূলক চিত্র

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭



১৯৯৭ সালে বলিউড থেকে ‘বর্ডার’ নামে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি নির্মিত হয়েছিল ‘ব্যাটল অব লংগেওয়ালা’-এর কাহিনীর ওপর। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় রাজস্থান সীমান্তে লংগেওয়ালা-বিএসএফ সীমান্ত চৌকিতে ৪ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ভারতীয় ১২০ জন সৈন্যের বিপরীতে পাকিস্তানের ২০০০ সৈন্যের একটি ম্যাকানাইজড ব্রিগেড এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। যুদ্ধের ফলাফল ভারতের অনুকূলে ছিল। এ যুদ্ধে সর্বপ্রথম ভারতীয় বিএসএফ একটি প্রত্যক্ষ কনভেনশনাল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। রাজপুত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। বিএসএফ’র জন্ম ১৯৬৫ সালের ১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ জন্মের ৬ বছরের মাথায় বিএসএফ একটি কনভেনশনাল যুদ্ধজয়ের মাধ্যমে নতুন করে তাদের যাত্রা শুরু করে।

অন্যদিকে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগে ১৯২০ সালে জন্ম নেয়া ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসকে পুনর্গঠন করে ইপিআর বা ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের আত্মপ্রকাশ ঘটে। কলকাতা মেট্রোপলিটন আর্মড পুলিশের একটি দল, কিছু সংখ্যক বাঙালি এবং সে সময়ের পশ্চিম পাকিস্তানের এক হাজার প্রাক্তন সৈনিক সমন্বয়ে এই ইপিআর’র সৃষ্টি। দক্ষ নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী থেকে অফিসার নিয়োগ করা হয়।

১৯৭১ সাল ইপিআর’র জন্য একটি মাইলফলক। জন্মের ২৪ বছরের মাথায় ইপিআর আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ১১টি সেক্টরে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ, গেরিলা যুদ্ধ ও শত্রুঘাঁটি নিশ্চিহ্ন করতে আত্মঘাতী আক্রমণসহ অসংখ্য দুর্ধর্ষ অপারেশন পরিচালনা করে। মুক্তিযুদ্ধে ইপিআর’র ৮১৭ জন সৈনিক শহীদ হন। আরো আছে ২ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৮ জন বীর উত্তম, ৩২ জন বীর বিক্রম এবং ৭৮ জন বীর প্রতীক।

ইপিআর’র এ বীরত্বগাঁথা এখানেই শেষ হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ ইপিআর’র নুতন নাম হয় বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল সংগঠিত সিলেটের ‘ব্যাটল অব পদুয়া’ এবং একই সালের ১৮ এপ্রিল সংগঠিত কুড়িগ্রামের ‘ব্যাটল অব রৌমারী’ বিডিআর’র ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে।

তবে প্রকারান্তরে বিএসএফ তাদের ফোর্স কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করেছে। সীমান্ত নিরাপত্তার কাজে প্রাথমিকভাবে নিয়োজিত থাকলেও ১৯৮৯ সালের দিকে বিএসএফকে সন্ত্রাসদমন কাজেও নিয়োজিত করা হয়। জম্মু ও কাশ্মিরে সন্ত্রাসদমন কাজে বিএসএফ’র সফলতা রয়েছে।

সংখ্যার দিক দিয়ে বিএসএফ অনেকাংশে এগিয়ে। বিএসএফ সদর দপ্তর ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থিত। বিএসএফ’র প্রধানকে বলা হয় ডাইরেক্টর জেনারেল (ডিজি); যিনি রাজ্য পুলিশ ফোর্সের ডিজি এবং সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার। বিএসএফকে অপারেশনের সুবিধার্থে ২টি থিয়েটারে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হল পূর্বাঞ্চল থিয়েটার, যার সদর দপ্তর কলকাতায় আর অন্যটি হলো পশ্চিমাঞ্চল থিয়েটার, যার সদর দপ্তর চন্ডিগড়ে। প্রতিটি থিয়েটারের কমান্ডে রয়েছেন একজন স্পেশাল ডিজি। তিনিও সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার। প্রতিটি থিয়েটারকে আবার কয়েকটি ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তরে ভাগ করা হয়েছে, যার কমান্ডে আছেন একজন আইজিপি, যিনি সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার। পশ্চিমাঞ্চল থিয়েটারে ৫টি ও পূর্বাঞ্চল থিয়েটারে ৭টি ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তর মিলে সর্বমোট ১২টি ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তর রয়েছে বিএসএফ’র ।

প্রতিটি ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তরকে আবার কয়েকটি সেক্টর সদর দপ্তরে ভাগ করা হয়েছে, যার কমান্ডে আছেন একজন ডিআইজিপি, যিনি সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার অফিসার। বিএসএফ’র সর্বমোট ৩১টি এমন সেক্টর সদর দপ্তর আছে।

প্রতিটি সেক্টর সদর দপ্তরের অধীনে ৪ থেকে ৫টি বিএসএফ ব্যাটালিয়ন রয়েছে, যার কমান্ডে রয়েছেন একজন কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার। এছাড়া প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রয়েছে একজন লে. কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার (এসপি/ডিসিপি)। সুতরাং প্রতিটি কোম্পানি পর্যায়ে একজন অফিসার রয়েছেন, যেটা বিজিবিতে নেই।

বিএসএফ একটি কেন্দ্রীয় আর্মড পুলিশ ফোর্স। সর্বমোট ব্যাটালিয়নের সংখ্যা ১৮৬টি এবং সর্বমোট সৈন্য সংখ্যা ২৪০,০০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) এর মতো; যা পৃথিবীর বৃহত্তম সীমান্তরক্ষীদের একটি। বিএসএফই একমাত্র কেন্দ্রীয় আর্মড পুলিশ ফোর্স; যার নিজস্ব এয়ার উইং, ম্যারিন উইং ও গোলন্দাজ রেজিমেন্ট রয়েছে। যেগুলো তাদের সীমান্তে মোতায়েন ব্যাটালিয়নগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে। বিএসএফ’র নিজস্ব কুকুর স্কোয়াড রয়েছে, যেগুলো তাদেরকে টহল, বিস্কোরক চিহ্নিতকরণ ও রাস্তা চিনতে সাহায্য করে। বিএসএফ’র রয়েছে টিয়ার গ্যাস ইউনিট, যা কাঁদানে গ্যাস প্র¯ুÍত করে। তাছাড়া বিএসএফ’র অস্ত্র ভা-ারে রয়েছে ৫.৫৬ মি.মি. মেশিনগান, রকেট প্রপেল্ড গ্রেনেড, রিকয়লেস রাইফেল ও ৩ ইঞ্চি মর্টার।

বিএসএফ’র নিজস্ব বিমান বিধ্বংসী এয়ার ডিফেন্স মিসাইল রয়েছে। তন্মধ্যে এসএ-১৬ গিমলেট ও এসএ-৭ গ্রেইল অন্যতম। বিএসএফ’র রয়েছে এলিট কমান্ডো ফোর্স, যার নাম ‘ক্র্যাক ক্রোকোডাইল’। এর সদস্য সংখ্যায় রয়েছে প্রায় ৪২ জন কমান্ডো। তাছাড়া হালে বিএসএফকে মাইন চিহ্নিতকরণ গাড়িও প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ-এ একটি নারী ব্যাটালিয়নও যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশের বিপরীতে বিএসএফ’র প্রায় ৫টি ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তর রয়েছে। এগুলো হলো : ১. সাউথ বেঙ্গল ২. মালদা ৩. নর্থ বেঙ্গল ৪. মেঘালয় ও ৫. ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার। এই ৫টি ফ্রন্টিয়ারের অধীনে প্রায় ১৫টি সেক্টর সদর দপ্তর রয়েছে। প্রতিটি সেক্টর সদর দপ্তরের অধীনে ৪ থেকে ৫টি ব্যাটালিয়ন হিসাবে বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফ’র প্রায় ৬০ থেকে ৭৫টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন রয়েছে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার ল্যান্ড বর্ডার রয়েছে। যে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে সেগুলো হলো : পশ্চিম বাংলা (২২১৬.৭০ কি.মি.), আসাম (২৬৩ কি.মি), মেঘালয় (৪৪৩ কি.মি), ত্রিপুরা (৮৫৬ কি.মি) ও মিজোরাম (৩১৮ কি.মি)। প্রতিটি বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীনে অনেকগুলো বর্ডার আউট পোস্ট বা বিওপি রয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ’র সমগ্র বাংলাদেশ সীমান্তব্যাপী ৮০২টি বিওপি আছে। সে হিসাবে বিওপি থেকে বিওপি দূরত্ব¡ হলো ৫ কিলোমিটার। বিএসএফ চাচ্ছে তাদের বিওপি থেকে বিওপি দূরত্ব ৩.৫ কিলোমিটারে নামিয়ে আনতে। সে জন্য ভারত সরকার পশ্চিম বাংলায় ৪১০টি থেকে ৭০৩টি বিওপি, মেঘালয়ে বর্তমানে ১০৮টি বিওপি থেকে ১২৫টি, আসামে ৮৫টি বিওপি থেকে ৯১টি, ত্রিপুরা সীমান্তে ১৮১টি বিওপি থেকে ২৪৫টি এবং মিজোরামে ১৮টি বিওপি থেকে বাড়িয়ে ৯১টি বিওপি বানানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালের মধ্যে এসব বিওপি অপারেশনাল করা হবে।

ভারত সরকার বাংলাদেশ-ভারত পুরো সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তন্মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া হবে ৩৪৩৬ কিলোমিটার, আর রাস্তা হবে ৪৪২৬ কিলোমিটার। এরই মধ্যে ২৭৬০ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ৩৬০৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ শেষ হয়েছে।

ভারত সরকার সীমান্তজুড়ে ফ্লাডলাইটিং-এর ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে পশ্চিম বাংলায় ২৭০ কিলোমিটার এলাকায় ফ্লাডলাইটিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলে ২৮৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফ্লাডলাইটিং করা হবে। তন্মধ্যে ৭৭৫ কিলোমিটার শেষ হয়েছে এবং ৭৫০ কিলোমিটারের কাজ চলছে। ভারতের বিএসএফ’র বর্তমান ডিজি সুভাষ যোশী, যিনি ১৯৭৬ ব্যাচ-এর আইপিএস অফিসার, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করার কথা ব্যক্ত করেছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরা সফরে এসে তিনি এমনটি বলেছেন।

বিএসএফ’র রয়েছে ৪৮ বৎসরের ইতিহাস। বিএসএফ’র মূল্যবোধ বা ইথোজ ‘অহু ঃধংশ, ধহু ঃরসব, ধহু যিবৎব’ আর আদর্শবাণী বা মোটো হলো ‘উঁঃু টহঃড় উবধঃয’। এ সম্পর্কে একটি চমৎকার ইউটিউব প্রকাশ করেছে বিএসএফ।

তবে বিএসএফ’র দুইটি বড় সমস্যা রয়েছে। তা হলো ঔড়ন ফরংংধঃরংভধপঃরড়হ, আর অন্যটি হলো নিচু মনোবল। তারা তাদের বাড়ি থেকে হাজার মাইল দূরে চাকরি করে। গত ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে প্রকাশিত মেইল অনলাইন ইন্ডিয়াতে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিএসএফ’র ব্যক্তিগত অস্ত্রগুলোও আধুনিক নয়। পুরানো আমলের এসএলআর (১৯৫৪) এবং ৩ ইঞ্চি মর্টার বিএসএফ ব্যবহার করে।

অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি প্যারা মিলিটারী ফোর্স; যার যাত্রা ২৩ জানুয়ারি ২০১১। পুরানো বিডিআর’র অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে বিজিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিজিবি সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানাতে অবস্থিত। এর রয়েছে ৪টি রিজিয়ন সদর দপ্তর এবং রিজিয়ন সদর দপ্তরের অধীনে রয়েছে সর্বমোট ১২টি সেক্টর সদর দপ্তর। ভবিষ্যতে আরও ৩টি রিজিয়ন সদর দপ্তর গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে।

বিজিবি’র ডিজি একজন মেজর জেনারেল পদবির অফিসার, রিজিয়ন সদর দপ্তরের অধিনায়কগণ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির, সেক্টর সদরের অধিনায়কগণ কর্নেল পদবির এবং ব্যাটালিয়নের অধিনায়কগণ লে. কর্নেল পদবির সামরিক কর্মকর্তা।

বিজিবি’র বর্তমান জনবল ৬৭ হাজারেরও বেশি। বিজিবিতে প্রায় ৬১টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। বিওপির সংখ্যা প্রায় ৪৬০টির মতো।

ভারি অস্ত্র হিসাবে বিজিবি’র রয়েছে ৭.৬২ মি.মি. মেশিন গান, ৪০ মি.মি. ও ৮১ মি.মি. মর্টার। বিজিবি’র ব্যক্তিগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় ৭.৬২ মি.মি. চাইনিজ রাইফেল ও এসএমজি। সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের সমপর্যায়ের ক্ষমতা একটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের রয়েছে।

বিজিবি’র প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে : ১. সীমান্ত এলাকায় অনুন্নত রাস্তা। ২. বিওপি থেকে বিওপি দূরত্ব অনেক বেশি ৩. সীমান্ত এলাকা থেকে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের বেশি দূরত্ব হওয়ার ফলে মোতায়েন সময় বেশি লাগে। ৪. বিওপি’র জনবল কম।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারত সরকার তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৫৯,২৪১ কোটি রুপি বাজেট বরাদ্দ করেছে। তন্মধ্যে বিএসএফ’র জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯,৮১১.৪৬ কোটি রুপি, যা গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ছিল ৯,১৫৪.৯৮ কোটি রুপি। বিএসএফ’র জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত মোট বাজেটের ১৭% এবং গত অর্থবছরের বাজেট থেকে ৬৫৬.৪৮ কোটি টাকা বেশি। প্রতিরক্ষাখাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত অত্যন্ত আন্তরিক।

অন্যদিকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট ধরা হয়েছে ৮৪৮ কোটি টাকার মতো। এর সবই স্থাপনা নির্মাণের জন্য ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি সাইক্লোন সেন্টার টাইপ বিওপি। রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সীমান্ত এলাকার অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি। বিশেষ করে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরগুলোকে সীমান্তের মোটামোটি ৪৫ মিনিটের দূরত্বে নিয়ে আসা উচিত।

সীমান্ত এলাকায় এখন সামগ্রিক বিবেচনায় বিজিবি’র জনবল বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। ব্যাটালিয়নের সংখ্যা বৃদ্ধি করে বিওপি থেকে বিওপি’র দূরত্ব অনেক কমাতে হবে। বর্তমানে দূরত্ব প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার। বিজিবিতে আধুনিক অস্ত্র যেমন কাঁধে বহনকৃত বিমান বিধ্বংসী মিসাইল ও গোলন্দাজ বাহিনী সংযোজন জরুরি। টহল গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা জরুরি। বর্তমানে ফেনসিডিল ও ইয়াবার মতো মাদকদ্রব্য প্রবেশ বন্ধ করতে হলে সীমান্তে অবশ্যই জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। বিজিবিতে নারী সৈন্যের প্রবর্তন করা যেতে পারে।

বিজিবি’র মনোবল চাঙ্গা করার জন্য ‘বর্ডার’ কিংবা ‘উঁঃু টহঃড় ফবধঃয’ খ্যাত কোনো ছবি কিংবা ইউটিউব নির্মাণ করা যেতে পারে। কেননা বিজিবি’রও রয়েছে গৌরবগাঁথা সাফল্য। সেক্ষেত্রে ‘ব্যাটল অব রৌমারী’, ‘ব্যাটল অব পদুয়া’ কিংবা ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত কোনো ছবি কিংবা ইউটিউব হতে পারে। সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

নিম গাছ বলেছেন: বিডিআর কে নাম দিয়েছিল? আর কার নেতৃত্বে সেটি ধ্বংস করা হলো? বিজিবি কার দেয়া নাম ইত্যাদি তুলে ধরা দরকার।


অবস্থা দেখে মনে হয়, কপি পেষ্ট। তাই কি?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

তালপাতারসেপাই বলেছেন: "দেখে মনে হয়, কপি পেষ্ট।" আপনার দেখা্য় সমস্যাআছে... মনে হ্ওয়ার কোন অবকাশ নেই পুরাই...:)

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ‘ব্যাটল অব রৌমারী’, ‘ব্যাটল অব পদুয়া’ কিংবা ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ নামে ছবি খুবই জরুরী...

দেশপ্রেম মূলক ছবি ভারতে মাসে ২টা করে মিনিমাম হলেও আমাদের ১২ মাসেও ২টা হয় না!!!

নির্মাতারা এগিয়ে আসুন।

দেশপ্রেম এবং বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য নির্ভর ছবি বানান। সরকারও অনুদান দেবার ক্ষেত্রে এই সেক্টর গুলো প্রায়োরিটিতে রাখতে পারেন!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: আপনে ভাল ধান্দা বাইর করছেন। ষুভ কামনা রইল B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.