নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় তালেবান জঙ্গিরা ১৫ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী মালালার মাথায় ও মুখে গুলি করে।
এরপর পাকিস্তান ও পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ডাক্তাররা সার্জারি করে মালালাকে বাঁচাতে সক্ষম হন।
বর্তমানে মালালা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং নারী শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছেন। তালেবান কর্তৃক মালালার প্রতি গুলি করার বিষয়টি বিশ্বগণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত হয়। এ বছর শান্তিতে নোবেল তালিকায় মালালার নামও ছিলো শীর্ষে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ডন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মালালা ইউসুফজাইয়ের এ ঘটনাকে পশ্চিমা বিশ্বের সাজানো নাটক বলে দাবি করেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মালালার এ ঘটনা যা সারা বিশ্ব জানছে তা একটি আংশিক গল্প। পুরো ব্যাপারটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে সেদিন যে মালালাকে গুলি করা হয়েছিল তা পশ্চিমাদের মিডিয়ার সাজানো নাটক।
ডন ডটকম দাবি করে বলছে, মালালার বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে এ বছরের এপ্রিল মাসে তাদের একটি দক্ষ টিম পাকিস্তানের সোয়াত এলাকায় পাঁচ মাসের অনুসন্ধানী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
তাদের দাবি মালালা সম্পর্কে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যগুলো প্রমাণসহ সারা বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মত।
ডন ডটকমের দেওয়া তথ্যগুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো-
মালালা সোয়াতে জন্মগ্রহণ করেনি এমনকি তিনি একজন পুশতুন না। সোয়াতের বেসরকারি এক হাসপাতালের চিকিৎসক ইমতিয়াজ আলী খানজাই ডনের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তার কাছে ডিএনএ আছে যা প্রমাণ করে মালালা পুশতুন না।
একটি রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি জানান, তিনি মালালার ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। সে সময় মালালা শিশু ছিল। তখন তিনি ওই ক্লিনিকে কানের সমস্যা নিয়ে তার বাব-মায়ের সাথে এসেছিলেন।
Dr. Khanzai’s DNA extraction kit
ডাক্তার তার নমুনা থেকে ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে জানান, মালালা একজন কওকেশিয়ান। তারা সম্ভবত পোল্যান্ড থেকে আগত।
এ তথ্য উৎঘাটনের পর ডাক্তার মালালার বাবাকে ডেকে পাঠান ও মালালার ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করলে মালালার বাবা স্তম্ভিত হয়ে পড়েন এবং তোতলাতে শুরু করেন।
মালালার বাবা সে ডাক্তারকে বলেন, “মালালার প্রকৃত নাম জেইন। এবং ১৯৯৭ সালে সে হাঙ্গেরিতে জন্মপগ্রহণ করে।”
তার প্রকৃত বাবা-মা খ্রিষ্টান মিশনারি ছিল যারা ২০০২ সালে সোয়াতে বেড়াতে এসেছিল এবং মালালাকে উপহার হিসেবে তার বর্তমান বাবা-মায়ের কাছে রেখে যায় যখন তারা গোপনে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন।
যখন ডনের প্রতিবেদক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন সে মালালার আসল পরিচয় এখন প্রকাশ করছেন, তখন ডাক্তার বলেন, “তিনি মনে করেন মালালাকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাঁড়াতে পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হয়েছিল।”
ডাক্তার বলেন, “ আমার কাছে মালালার কর্ণমলিও আছে। আমি প্রমাণ দেখাতে পারবো মালালাকে যে যুবক গুলি করেছেন তিনি পুশতুন ছিলেন না।
গুলিবর্ষণকারীর ডিএনএ পরীক্ষা করে ডাক্তার আবিষ্কার করেন, সে মূলত ইটালি থেকে এসেছে।
The fake gunman moments before taking a flight to Pakistan.
ডাক্তার বলেন, “আমি ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়গুলো জানিয়ে ইমেইল করি।”
এর কয়েক দিন পর তার ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান চালায়। তিনি তখন সৌদি আরবে সেখানকার রাজ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের কর্ণমল সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন। তার কয়েকজন কর্মচারী সে সময় পুলিশের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছিলেন। কারণ তারা জানতে চেয়েছিলেন তিনি কর্ণমলের নমুনাগুলো কোথায় রেখেছিলেন।
এ বছরের জুন মাসে ডাক্তার আইএসআইয়ের একজন তরুণ অফিসারের কাছে গিয়েছিলেন এবং ওই অফিসার পুলিশি অভিযানের জন্য তার কাছে ক্ষমা চান।
অফিসার ডাক্তারকে বলেন, “আইএসআই মালালার আসল পরিচয়ের ব্যাপারে সতর্ক আছে। অনেক অনুরোধের পর ডাক্তার ওই আইএসআই অফিসারের মোবাইল ফোনের নাম্বার দিয়ে দেন।”
এরপর সেই ডাক্তার আইএসআই এর অফিসারের নাম্বার দেন ডনের প্রতিবেদককে। ডনের প্রতিবেদকের সাথে অফিসার দেখা করেন সোয়াতের একটি পরিত্যক্ত স্কুলে।
আইএসআই এর সেই অফিসার এবার আসল ঘটনা ফাঁস করে দেন। তিনি ডনের প্রতিবেদককে জানান, মালালার ওপর হামলার ঘটনা পাতানো হয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পথ পরিষ্কার করতে পুরো ঘটনাটি পাকিস্তান ও মার্কিন এজেন্সির মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল।
অফিসার জানান, “এটা একটা নাটক। পাকিস্তান সেনাবাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তান আক্রমণের একটি অজুহাত দাঁড় করাতে এটি মঞ্চস্থ করা হয়েছিল।"
মার্কিন ও পাকিস্তানি এজেন্সির মাধ্যমে যে মালালাকে গুলি করা হয়েছে তার প্রমাণ কী ডনের প্রতিবেদক জানলে চাইলে আইএসআই এর অফিসার প্রতিবেদককে ‘টিসুনামি মোমি’ নামে একটি পাণ্ডুলিপি দেন।
সিআইএর এজেন্ট লিভ ফিস ও লাহোরভিত্তিক আইএসআই এর এজেন্ট ওয়েল গুল মালালার বিষয় ও অভিযান নিয়ে টুইটারে যে সাংকেতিক আলোচনা করেছেন তার স্ক্রিনশর্ট নিয়ে অনুবাদ করেছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত ভাষাবিদ মুনতানসার হোসেন তারার। কথোপকথনের তথ্য নিয়ে টিসুনামির পাণ্ডুলিপি করা হয়েছে বলে ডন প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
Twitter exchange between Lib Fish and Oil Gul that was provided to us by the officer:
@LibFish Yo, @OilGul, how goes life?
@OilGul Life’s kool, mate.
@LibFish @OilGul Any chance of visiting Qatar soon?
@OilGul @LibFish Haha. Soon after I’m done with my O level exams. They suck.
@LibFish @OilGul Haha. Yea, they do, don’t they?
The officer told us that Tsunami Mommy jumped in after he realised what was taking place:
@Tsunami_Mommy Agents! I know what you two do. Anti-Islam anti-Pakistan bastaaas. @OilGul @LibFish
@OilGul Dude, who are you? Why are you trolling us?
@Tsunami_Mommy Shup ut fake liberalz fascist agents IK is best you bastaaas NA250 rigging 1 billion fake liberalz votes anti-Pakistan anti-Islam inshallah Nya Bakistan tabdeeli …
পাণ্ডুলিপির তথ্যমতে,
“অক্টোবর ১, ১৯৯৭ : হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে হাঙ্গেরিয়ান বাবা-মায়ের ঘরে মালামা জন্ম গ্রহণ করেন। তার নাম জেইন।
অক্টোবর, ৪, ২০০২: তার বাবা-মা সিআইয়ের সাথে যুক্ত হন। এবং তাদের একটি সংক্ষিপ্ত সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
অক্টোবর, ৭, ২০০৩: তারা পাকিস্তানে ঢুকেন এবং সোয়াতে একটি এনজিওতে কাজ শুরু করেন। সে সময় তারা আইএসআইয়ের একজন লো-লেভেল এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তিনি পুরো পরিবারকে খ্রীষ্টীয় ধর্মে ধর্মান্তারিত করেন। তারা জেইনকে তার কাছে রেখে যান। পরবর্তীতে ওই এজেন্ট জেইনের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মালালা।
অক্টোবর ৩০, ২০০৭: মালালা ব্লগে লেখা শুরু করেন এবং সেখানে তিনি সোয়াতের চরম্পন্থীদের অস্ত্র থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
অক্টোবর ২১, ২০১১: চরমপন্থীরা তাকে আনুরোধ করেন এ ধরনের ব্লগ না লিখতে।
অক্টোবর ১, ২০১২: সিআইএ নিউ-ইউর্কে বসবাসকারী ইটালিয়ান-আমেরিকান বংশদ্ভূত রবার্ট নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে। তাকে গুলি চালানোর ওপর স্বল্পমেয়াদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অক্টোবর ৭ ২০১২: সিআইএ মালালার ওপর মিথ্যা গুলিবর্ষণের জন্য আইএসআইয়ের সাথে পরিকল্পনা শেয়ার করে এবং এ ব্যাপারে মালালা ও তার পরিবারকে ব্রিফ করা হয়।
অক্টোবর ১১, ২০১২: ইটালিয়ান-আমেরিকান এ ব্যক্তি সোয়াতে প্রবেশ করে একজন উজবেক হিসেবে।
অক্টোবর ১২, ২০১২: রবার্ট নামের ওই ব্যক্তিকে একটি বন্দুক সরবারহ করা হয় যার মধ্যে কোন গুলি ছিল না। বন্দুকধারী মালালার স্কুলে মিছেমিছি গুলি চালায়। এ সময় মালালা নিজেকে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ভান করে। মালালার কাছে আগে থেকে টমেটোর সস রাখা ছিলো যা সে শরীর ও মুখে মেখে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে পৌঁছায় এবং মালালাকে নিয়ে যায়। এরপর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সারাবিশ্বে প্রচার করে মালালাকে তালেবানরা গুলি করেছে।
The girl that the media was shown in the hospital was not Malala. The officer shared with us some photographs to prove this. He first showed us a video (on his iPhone) that he shot hours after the shooting. It shows Malala joyfully bungee jumping on the hills near River Swat.
Malala bungee jumping hours after she was allegedly ‘shot.’
Then the officer informed us that the doctor had the earwax samples of the girl in the hospital. When we contacted the doctor again and asked what the samples proved he said that the DNA he extracted from the sample suggests that the girl in the hospital was not a girl at all. It was a pillow.
He said he had managed to sneak into the operating room (posing as a postman) and while he was secretly drawing out earwax from the girl’s ears, he managed to take a picture of the girl with his Nokia phone.
‘I came back and was shocked when I enlarged the picture,’ he said.
He then gave us a printout of the picture …
সুত্রঃ Malala: The real story (with evidence) - NADEEM F. PARACHA পাকিস্তানে কলামিস্ট নাদিম পার্চা যিনি কট্টর জামাতের আদর্শবিরোধী একজন লিবারেল বুদ্ধিজীবি হিসাবে জনপ্রিয় ।
তিনি ইংরেজি পত্রিকা ডনে তালেবান সমর্থকদের কন্সপেরিসি থিয়োরিকে ব্যঙ্গ করে মতিকণ্ঠ ধরনের একটা স্যাটায়ার লিখেছেন ।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
তিক্তভাষী বলেছেন: ডনের লেখাটা স্যাটায়ার! দেখবেন ওপরে লেখা আছে-
DISCLAIMER: The following article is a work of satire and fiction and in no way attempts to depict events in real life.
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: লাইফটাও satire
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
গোলক ধাঁধা বলেছেন: কানের ময়লা তাও আবার সংগ্রহ করে রাখা ওয়াক থু :-& গাজাখুড়ি কাহিনী দেইখা বুজা গেল গাজার দাম সস্থাই ওইখানে।যত্তসব অখাদ্য
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫০
তালপাতারসেপাই বলেছেন: এর জন্য নাম তার ফাক স্থান
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাকিরা নিজেরাই বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃনিত জাতী।
তারা বলে -
লাদেন আম্রিকার সাজানো লোক।
তালেবান সাজানো
৯-১১ সাজানো ঘটনা
গলায়-পেটে গুলি করার পরও বলে মালালা পশ্চিমাদের সাজানো।
লাদেন হত্যাও বলে সাজানো ঘটনা!
আবার সাকিল আফ্রিদিকে গ্রেফতার করে বলে - মহান লাদেন হত্যায় টিকা দেয়ার নামে লাদেন হত্যায় সহযোগিতা করেছে সাকিল আফ্রিদি!
আবাল মাকরানি পাকিরা কি বলে এইসব কানে নিবেন না, কানের খৈলও নিয়েন না।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: কঠিন স্যাটায়ার ! দারুন।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: কঠিন স্যাটায়ার ! দারুন।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
আল ইফরান বলেছেন: আমিতো প্রথমে ধরতেই পারি নাই
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
আল ইফরান বলেছেন: :#>
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩১
বাগসবানি বলেছেন: বেল পাকলে কাকের কি?