নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তাঁর" পাপের দায় নিতে বন্ধু আর কেউ হবে কি?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

তারেক বেকসুর খালাস পেলেও সেই অর্থপাচার মামলায় বন্ধু মামুনের সাত বছর জেল, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে।



সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলা ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে। এর বেশির ভাগই সেনা সমর্থিত গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে করা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারাধীন রয়েছে। এ দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রেনেড হামলার মামলা দুটির অধিকতর তদন্ত হয়। পুলিশের অপরাধী তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ দুটি মামলায় অভিযোগপত্রে তারেককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অভিযোগ করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ওই গ্রেনেড হামলা চালায়। আর তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলা ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায়ও তারেককে আসামি করা হয়।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তারেক রহমানকে ওই বছরের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ তারেক রহমান, তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে এ সরকার ১২টি মামলা করে। এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণের অভিযোগেও একটি মামলা হয়। এসব মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। একটি মামলা সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

২০০৭ সালের ৮ মার্চ তারেক রহমান ও তাঁর একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে গুলশানের উদয় টাওয়ারের মালিক ও ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভুঁইয়া এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় তালিকাভুক্ত করা হয়। এর অভিযোগগুলো চাঁদাবাজির মামলা হিসেবে দণ্ডবিধিতে না নিয়ে দ্রুত বিচার আইনে তালিকাভুক্ত করায় মামলাটি হাইকোর্টের আদেশে ওই বছরই স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগও স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।

গুলশানের ব্যবসায়ী ও রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় এক কোটি ৩২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ দিয়ে জানান, তারেক রহমানের নির্দেশেই তিনি ওই চাঁদাবাজি করেছেন। এর পর তারেককে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মামুন ও তাঁর সহযোগীরা চার লাখ ৮৯ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায়ও মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে তারেকের নাম বলেন।

১ এপ্রিল ব্যবসায়ী মীর জাহির হোসেন ধানমণ্ডি থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তাঁর ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। ৯ এপ্রিল শাহবাগ থানায় আবদুল মোমেন লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাসার ব্যবসায়ী মামুনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারেক রহমানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন কাফরুল থানায় আরেকটি মামলা করেন। ১৬ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামুন ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলায়ও মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারেককে আসামি করা হয়।

গুলশান থানায় পঞ্চগড়ের জাজ ডিস্টিলারির স্বত্বাধিকারী হারুন ফেরদৌসী ২৭ মার্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ধানমণ্ডি থানায় মামুনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেন। মামুনের স্বীকারোক্তির পর তারেককে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

জাপান বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের কাছ থেকে যৌথভাবে কম্পানি গড়ার নামে আট কোটি ৪০ লাখ টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন মামুন- এই অভিযোগে ২০০৭ এর ৫ জুন শাহবাগ থানায় মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। এ ঘটনায়ও তারেকের ইন্ধন রয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করেন মামুন। এ মামলায়ও তারেককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

চীনের হারবিন পাওয়ার কম্পানির স্থানীয় প্রকল্প প্রতিনিধি খাদিজা ইয়াসমিন পাঁচ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামুনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামুন স্বীকারোক্তিতে বলেন, তারেকের হয়ে তিনি চাঁদা চেয়েছিলেন। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ থানার এক গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।

অবৈধ উপায়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানকেও আসামি করা হয়। এ মামলাও হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।

এ ছাড়া কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট ঢাকার বিশেষ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এনবিআর। এ মামলাটিও স্থগিত রয়েছে।

সুত্র



এক মমুনের কাধে বন্দুক রেখে এক মামলা পার হলেন। স্থগিত মামলা গুলি চালু হলে আর কত মামুনকে কে "তাঁর" স্বার্থে বলী হতে হবে, এক আল্লাহ পাকই জানেন। বিএনপি তে বলীর পাঠা আর কে কে হবেন সময় তা বলে দিবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.