নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
চতুর্মুখী সংকটে জামায়াত!
দলের নিবন্ধন হাইকোর্টের রায়ে অবৈধ ঘোষণা, যুদ্ধাপরাধের দায়ে শীর্ষ নেতাদের সাজা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারা, আন্দোলনে বিএনপিকে পাশে না পাওয়াসহ নানামুখী সংকটে দিশেহারা জামায়াত। দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে দলের করণীয় ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা।
তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, জামায়াতকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেবে না সরকার, এমন আশঙ্কায় আগে থেকেই বিকল্প পদ্ধতি সেট করে রাখা আছে দলটির। তবে দলের গোপনীয়তার স্বার্থে পদ্ধতিটির রূপরেখা এখনই প্রকাশ করতে নারাজ সূত্রটি।
এমন বাস্তবতায় দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চাপা এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।
জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের শেষ সময় এসে দলের নিবন্ধন বাতিল দলটিকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। এ অবস্থায় যদি ১৮ দল নির্বাচনেও যায়, তাহলেও দলীয় ব্যানার ও নিজের প্রতীক (দাঁড়িপাল্লা) নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না জামায়াত।
সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের চেয়েও এই ইস্যুটি বর্তমানে দলকে বেশি বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের করণীয় ঠিক করতে ও আন্দোলন ইস্যুতে কয়েক দফা নীতিনির্ধারণী বৈঠক করেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দলটি। রাজপথে থেকেই এর সমাধান খুঁজতে চায় জামায়াত, এমন ইঙ্গিত ছিল দলের শীর্ষ নেতাদের মুখে। তবে এজন্য সবার আগে দরকার জোট সঙ্গী বিএনপিকে পাশে পাওয়া।
শীর্ষ কয়েকজন নেতার ধারণা, যে রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট দলের নিবন্ধন বাতিল করেছেন, তা আপিল বিভাগে গিয়ে টিকবে না। তবে দলটির অপর একটি অংশ মনে করে, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের দিকে না তাকিয়ে দল নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করা দরকার। এরকম মনে করার কারণ হিসেবে অংশটি বলছে, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ব্যাপারেও দলের এ রকম ভাবনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুদণ্ডই দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জামায়াত-শিবিরের নেতারা জানিয়েছেন, দলটি ইতিহাসে এ রকম চতুর্মুখী সংকটে পড়ার অভিজ্ঞতা এটিই প্রথম।
দলটির সূত্র বলছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন নেতাদের নিয়ে যতোটা না উদ্বিগ্ন জামায়াত, বর্তমানে তার চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হাইকোর্টের রায়ে দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়া নিয়ে। কার্যত এ বিষয়টিই দলটিকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না জামায়াত। এ অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনে গেলে স্বতন্ত্রভাবে কিংবা বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে দলটির নেতাদের। আর এ বিষয়টিই বেশি ভাবাচ্ছে তাদের।
এ অবস্থায় ১৮ দল নির্বাচনে চলে গেলে জামায়াত নেতাদের স্বতন্ত্রভাবে কিংবা বিএনপির সঙ্গে মিশে গিয়ে নির্বাচন করতে হবে। আর তাই যদি করতে হয় সেক্ষেত্রে জোটের দর কষাকষিতে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান কিংবা দলীয় স্বাতন্ত্র দু’টোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের।
তবে দলটির অভিযোগ, একটি দেশের ইন্ধনে সরকার জামায়াতকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তবে সব কিছু মোকাবেলা করে দল আবারো ঘুরে দাঁড়াবে এমন আশাবাদও উঠে এসেছে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার মুখে। তাদের বিশ্বাস, নির্বাচন কেন্দ্রিক একটি কোনো সমাধান বেরিয়ে এলেই দলের এসব সমস্যা খুব বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
Click This Link
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১
নিজাম বলেছেন: ইসলাম ধর্ম নিয়ে এতদিন ব্যবসা করার পর এবার বুঝি আল্লাহর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
সাদা পাখি বলেছেন: বাংলাদেশে জামাত কোন অধিকারে রাজনীতি করে !!!