নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত কন্ডে জড়িত বিএনপি ও জামাতের এক ডজন নেতা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের তা-বের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর তদন্ত নতুন করে শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এসব মামলার তদন্ত করছে। এ পর্যন্ত তদন্তে ও গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে তা-বের নেপথ্যে ইন্ধন ও অর্থ জোগানে বিএনপি-জামাতের ডজন খানেক নেতা জড়িত বলে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপির চার শীর্ষ নেতা। বাকীরা জামাতের। এরা মূলত হেফাজতকে সামনে রেখে সরকার পতন আন্দোলনের পথ খুঁজছিল। তবে ঘটনার ৮ মাস পার হলেও এখনো সেই ৪৪ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।



তদন্ত সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, রাতের অন্ধকারে ঘটে যাওয়া ওই তা-বের পেছনে অনেকগুলো চক্র কাজ করেছে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সবকটি মামলার অভিযোগপত্র তৈরি করা হবে। অভিযোগপত্রে বিএনপি-জামাতের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নামও থাকতে পারে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক ডিবি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত বছরের ৫ মে মতিঝিল ও আশপাশ এলাকায় তাদের তা-বে প্রাণহানি ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটে। ঢাকায় পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জে বিজিবি সদস্য নিহত হন।

গত বছরের ৫ ও ৬ মে ঢাকায় তা-বের ঘটনায় মতিঝিল, রমনা, পল্টন ও শাহাবাগ থানায় ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায়ও একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে আরো ১৮টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে এই ৪৪টি মামলার তদন্ত এতোদিন থেমে ছিল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ডিবি পুলিশ এসব মামলা নিয়ে নতুন করে মাঠে নেমেছে। পদস্থ কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন।

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় নায়েবে আমির মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় হেফাজত ও জামাতের শীর্ষ ৩৩ নেতার নাম উল্লেখ রয়েছে।

হেফাজতের অনেক নেতা ১২ থেকে ১৩টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

মামলাগুলোর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। মতিঝিল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলা দুটির (১৩ ও ১৪ নম্বর, তারিখ ৬-৫-২০১৩) বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও এসআই হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া পল্টন থানায় দায়ের করা একই তারিখের হত্যা মামলাটির (৭ নম্বর) বাদী রেজাউল করিম নামে এক ব্যবসায়ী।



ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে অনেক রাজনৈতিক নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য মিলেছে। যাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলবে তারাই অভিযোগপত্রে আসামি হবেন।



ডিসি (ডিবি) কৃষ্ণ পদ রায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জানান, সবকটি মামলার তদন্ত ডিবির হাতে রয়েছে। প্রতিটি মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের নাম রয়েছে। এর বাইরে শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকশ ব্যক্তি আসামি। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক যে জবানবন্দি দিয়েছেন তাতে ওই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ও অর্থায়নের ইঙ্গিত রয়েছে। সবকিছু মিলিয়েই তদন্ত চলছে। সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

মিতক্ষরা বলেছেন: আরো কত কি যে শোনাবে!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: খালেদার শিরক এইডা দেখেন Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.