নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গর্জন সিং’, জবাব চায় ২২০৬!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০০



০ মির্জা ফখরুলের দাবি ১৮ দলীয় নেতাকর্মী মারা গেছে ২৯৪ জন যদিও এর সপক্ষে কোন তথ্য নেই

০ মির্জার ২৯৪ জন বাদ দিলেও জামায়াত ও বিএনপির হাতে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিজিবি, সংখ্যালঘুসহ নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২শ’ ৬ জন

০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য জামায়াত-বিএনপির হাতে আহত আড়াই হাজারের বেশি

রাজন ভট্টাচার্য ॥ মির্জা ফখরুল ইসলাম, প্রখ্যাত লেখক মুনতাসীর মামুন যাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘গর্জন সিং।’ তারেক রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী মাস দুয়েক তিনি হাইড এ্যান্ড সিক খেলেছেন। খেলা শেষে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আবার একটু আধটু গর্জন করতে শুরু করেছেন। এখনও মূল বয়ানে আসেননি। প্রাথমিক

বয়ান দিয়েছেন একটি। তাতে বলেছেন, সরকার নাকি জামায়াত-বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ২৯৪ জন নেতাকর্মী হত্যা করেছে।

মির্জা ফখরুলের গর্জিত কোন বয়ানই কখনও সত্য হয় না। যার ফলে মির্জা ফখরুল টাইটেলও তিনি পেয়েছিলেন। তার পরও যদি ধরে নেয়া হয় ২৯৪ জন ১৮ দলীয় নেতাকর্মী মারা গেছেন। তবে প্রকৃত হিসাব হলো যুদ্ধাপরাধী বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবধি মারা গেছে আড়াই হাজার। তাই মির্জা ফখরুলের ২৯৪ জনকে বাদ দিলেও জামায়াত-শিবির ও বিএনপির হাতে মারা গেছেন দুই হাজার ২শ’ ৬ জন। এই দুই হাজার দুই শ’ ৬ জনের আত্মা নিশ্চয় কৈফিয়ত চাইতে পারে হিসাবের খাতা থেকে তাঁদের এভাবে খারিজ করে দেয়ার জন্য। সত্যের মুখোমুখি তো একদিন না একদিন হতেই হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে আড়াই হাজার মানুষ। এর মধ্যে মির্জা ফখরুলের দাবি অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলের নেতাকর্মী ২৯৪ জন। বাদবাকি দুই হাজার ২শ’ ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাধারণ মানুষ। বাস্তবতা এমন ছিল যে, স্বাধীনতার পর এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ, লোমহর্ষক হত্যাকা-, বর্বরতা দেশবাসী আর দেখেনি। পিটিয়ে, গলা কেটে, বোমা মেরে, রগ কেটে, কুপিয়ে, পেট্রোল ঢেলে বা গুলি করে নৃশংস হত্যার দৃশ্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে হতবাক করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যাঁরা সাক্ষী দিয়েছেন, তাঁদের অনেকে হত্যা ও হামলার শিকার হয়েছেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে শুরু করে জাতীয় পতাকা পোড়ানো, শহীদ মিনার ভাংচুরসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা চালায় স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। একের পর এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিত হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা এখন চলছে। জামায়াত-শিবিরসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী ও বিএনপিসহ ১৮ দলের নেতাকর্মীরা এসব হত্যাকা- ও হামলার সঙ্গে যুক্ত। দেশী-বিদেশী পৃষ্ঠপোষকতায় পৈশাচিক হত্যকা- ও হামলার সঙ্গে বিদেশী নাগরিকরাও জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে।

গেল বছরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মিলিয়ে জামায়াত-শিবিরের হাতে নিহতের সংখ্যা ১৭ জন। আড়াই হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে ৫০ জন পরিবহন শ্রমিক। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ মারা গেছেন ২৩ জন। ২৫ নবেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সহিংসতায় মারা গেছেন ১২৫ জন মানুষ। ২০১৩ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মন্দিরে সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। নতুন বছর মিলিয়ে এই হামলার সংখ্যা অন্তত দেড় হাজার। নির্বাচনের দিন থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর শুরু হয় স্মরণকালের বর্বরোচিত হামলা। শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জামায়াত-শিবিরসহ মৌলবাদী গোষ্ঠী। ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ’৭১-এর ঘাতক সাঈদীর রায়ের দিন সহিংসতায় মারা গেছে প্রায় ৮০ জন। এ বছরের ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর রামু, উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি গোষ্ঠী।

সাঈদীর রায় ও অতপর ...॥ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালে প্রায় আড়াই হাজারের মতো মানুষ রাজনৈতিক সংহিসতার বলি হয়েছে। পিটিয়ে, কুপিয়ে বা গলা কেটে বর্বরভাবে হত্যার সঙ্গে যোগ হয় জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনেক দিন ধরে চলে আসা হিংসার রাজনীতির সঙ্গে এ বছর যুক্ত হয় জামায়াতে ইসলামীর হিংস্রতা। ৫ ফেব্রুয়ারি ‘৭১-এর ঘাতক কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ-ের প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের যাত্রা শুরু হয়। তরুণদের এ আন্দোলনকে দমাতে উঠে পড়ে লাগে জামায়াত-শিবির। আন্দোলনের বিরুদ্ধে তোলে নাস্তিকতার অপবাদ। প্রজন্মসেনা রাজিবসহ কয়েকজনকে হত্যা করে জামায়াত-শিবির।

২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর জামায়াত দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা চালায়। সারাদেশে একযোগে এত সহিংসতার খবর হয়ত আর আসেনি। পুরোদেশ সহিংস তা-বে থমকে দাঁড়ায়। ২৮ ফেব্রয়ারি অন্তত ১৮ জেলায় জামায়াতের সহিংসতায় মারা যায় প্রায় ৮০ জন। তবে আইন সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৭ জনের কথা। এর আগে ২৯ জানুয়ারি সাঈদীর মামলার কার্যক্রম শেষ হওয়ার দিন সহিংসতায় পুলিশসহ মারা যায় ৩ জন। হিংসার আগুনে পুড়ে কয়লা হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এরই মধ্যে ১৩ দফা দাবি নিয়ে ভয়ঙ্করভাবে দৃশ্যপটে আসে হেফাজতে ইসলাম। ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করে। শাপলা চত্বরের এ কর্মসূচী ঘিরে হেফাজত নারকীয় তা-ব চালায়। এ সময় পুলিশ জামায়াতসহ বেশ কয়েকজন মারা যায়। চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আসে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি। ১০ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করে, চলে কয়েক দিন ধরে। ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়। এর আগে থেকেই তত্ত্বাবধায়ক ও নির্বাচন ইস্যুতে একের পর এক চলে হরতাল আর অবরোধ। পাল্লা দিয়ে চলে রাজনৈতিক সহিংসতা। সারাদেশে মৃত্যু আতঙ্ক তৈরি হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় জাতীয় পতাকা। শহীদ মিনার, স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙ্গে দেয়া হয়।

পেট্রোলবোমায় মৃত্যুর মিছিল ॥ পেট্রোলবোমা কিংবা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। ঢাকাসহ সারাদেশে বোমা আতঙ্ক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াতসহ নির্বাচনবিরোধীদের প্রধান টার্গেট ছিল সাধারণ মানুষ হত্যা করা। পেট্রোলবোমায় যেমন মারা গেছে বাসের চালক, হেলপার তেমনি সাধারণ যাত্রীরাও এ নৃশংস সহিংসতা থেকে বাদ যায়নি। একের পর এক সহিংসতার কারণে বিপর্যয় নেমে আসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে। স্বজন হারিয়ে পথে বসে অনেক পরিবার। বছরের শেষ সময়ে দফায় দফায় টানা অবরোধের সময় মৎস ভবনের সামনে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিদগ্ধ হন ১৯ জন। তাঁদের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ৫ জন। গাজীপুরে চলন্ত ওয়াগনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুজন মারা যায়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি বিআরটিসি বাসে আগুন দেয়া হলে অনেকেই অগ্নিদগ্ধ হন। পরিবহন মালিক সমিতি বলছেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছে ৫০ জন পরিবহন চালক ও হেলপার। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৩ জন। শতাধিক মানুষ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও চিকিসাধীন আছেন ৩৬ জন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।

সহিংসতার পরিসংখ্যান ॥ পুলিশ সদর দফতর ও আইন সালিশ কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ৪৯৬ জন মানুষ। সারাদেশে ৮৩১টি রাজনেতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহতের সংখ্যা ২২ হাজার। আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক মানুষ। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২২ জন। বিদায়ী বছরে বিভিন্নভাবে খুন হয়েছে চার হাজার মানুষ। ২৫ নবেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সহিংসতায় মারা গেছে ১২৫ জন মানুষ। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ ৪৬, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ২৫, বিএনপি সমর্থক ১৭, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ২৫, অন্যান্য ১৪। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, হরতাল- অবরোধে সারাদেশে নিহত হয়েছেন ১৫ পুলিশ সদস্য। আহত আড়াই হাজার। নারায়ণগঞ্জে মারা গেছেন দুই বিজিবি সদস্য। নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, যশোরের কনস্টেবল কাজী জহুরুল হক, গাইবান্ধার বাবুল মিয়া, হযরত আলী, তোজাম্মেল হোসেন, নীলফামারীতে খাজা নাজিমউদ্দিন আকন, চট্টগ্রামে আবু তারেক, ছিনাইদহে জিএম ওমর ফারুক, রংপুরে মোজাহার আলী, রাজশাহীতে সিদ্ধার্থ রায়, খুলনায় মফিজুর রহমান, রাজশাহীতে হেফাজতের হামলায় মারা যান এসআই শাজাহান, গোপালগঞ্জের ফিরোজ খান, জাকারিয়াসহ প্রমুখ। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পিটিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় জামায়াতসহ হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটে অসংখ্য। ২০১৩ সালে সংখ্যালঘুদের ২৭৮টি বাড়িঘর, ২০৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ৪৯৫টি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

নির্বাচন, হত্যা ও অগ্নিদগ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ... ॥ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালায় বিএনপিসহ জামায়াত-শিবির। হরতাল অবরোধের পাশাপাশি সারাদেশে সহিংস তা-ব শুরু হয়। তাদের ধ্বংসলীলা থেকে বাদ পড়েনি পশুও। অর্থাৎ পেট্রোলবোমা দিয়ে পশু পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজপথে জামায়াতের হিংস্রতা দেখে ঘর থেকে মানুষ বের হতেও সাহস পাচ্ছিলেন না। নির্বাচনী সহিংসতায় ৫৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যা ৪১৯টি। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পর এত বিপর্যয় আর আসেনি। এখানেই শেষ নয়। পাঁচ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছে ২৬ জন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছে দেড় শতাধিক মানুষ। আহতের সংখ্যা ১০ হাজার। ২৬ নবেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মারা গেছে ১২২ জন মানুষ।

ইতিহাসের কালো অধ্যায় ২০১২ সালের ডিসেম্বর ॥ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে শুরু থেকেই তৎপর ছিল উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী। এরই ধারাবাহিকতায় বিচারের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে পরিকল্পিত নাশকতা। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ, বর্বরতা অনেকেই দেখেননি। জানা যায়, রামুর উত্তম বড়ুয়া নামে জনৈক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরান অবমাননাকর অপপ্রচার চালিয়ে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামু উপজেলার বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে হামলার ঘটনা ঘটে কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে। এ সময় রামুর ১২টি বৌদ্ধ মন্দির ও ৩০টি বাড়িতে, উখিয়া ও টেকনাফে ৪টি বিহারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ধর্মীয় উপসনালয়সহ, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দেখা দেয় মানবিক বিপর্যয়। এলাকার মানুষ এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ, সন্ত্রাসী কর্মকা- জীবনেও দেখেননি। তাই সহিংস তা-বের বিস্ময়ে হতবাক সবাই। কী হলো? এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। বৌদ্ধ পুরাকীর্তির তিন শ’ বছরের ইতিহাস ধ্বংস হয় অল্প সময়ের মধ্যেই। কক্সবাজারের রামুসহ বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনায় মোট ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে রামু থানায় দায়ের করা হয় ৮টি মামলা। এ ছাড়া কক্সবাজার সদর থানায় ২টি, টেকনাফে ২টি এবং উখিয়া থানায় ৭টি মামলা। সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.