নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ফেরার’ হলেও দেশে ফিরবেন না তারেক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪



বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফেরার হলেও দেশে ফিরবেন না। অসুস্থতার কারণে বিদেশে থাকলেও মূলত পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তিনি দেশে ফিরছেন না। অপেক্ষা করছেন অনুকূল পরিস্থিতির। বিভিন্ন দিক থেকে জানতে পেরেছেন সহসা পরিস্থিতি তার অনুকূলে আসছে না। ইতোমধ্যেই তাকে ফেরারি ঘোষণা ও দেশে ফিরিয়ে আনার সব ধরনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিস্থিতি অনুকূলে না আসার আগে কোনোভাবেই তিনি দেশে ফিরবেন না। তার ঘনিষ্ঠ একজন বিএনপি নেতা ও তার আইনজীবী বলেন, উৎকোচ গ্রহণ ও বিদেশে অর্থ পাচারের দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানকে নিু আদালত থেকে বেকসুর খালাসের রায় দেন বিচারক। এ রায়ের পর দুদক ওই মামলায় আপিল করে। আপিল গ্রহণও করে আদালত। আদালত তাকে আÍসমর্পণ করতে বলেছেন। আÍসমর্পণ না করলে তিনি জামিনের আবেদন করলেও তা বিবেচনায় নেবে না আদালত। এ অবস্থায় তারেক রহমানকে নতুন করে জামিন নিতে হলে দেশে ফিরতে হবে। আর তা না করলে আদেশ অমান্য করার কারণে আদালত প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে। আইনমন্ত্রীও এমনটাই বলেছেন।

এদিকে তারেক রহমানের আইনজীবী আহমেদ আজম খান বলেছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। যে কোনোভাবে তাকে একবার দেশে আনা সম্ভব হলে সরকারের পরিকল্পনা সফল হবে। তিনি দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করবে। তারেক রহমান এখন দেশে ফিরে কারাগারে যেতে চাইছেন না। তাছাড়া তিনি এখনও সুস্থ হননি। তার সুস্থ হতে সময় লাগবে। এই জন্য চিকিৎসকরাও তাকে দেশে আসার অনুমতি দিচ্ছেন না। তাদের আশঙ্কা তিনি দেশে ফিরে আটক হলে চিকিৎসা ব্যাহত হবে। চিকিৎসা ব্যাহত হলে সমস্যা জটিল হবে। এতদিনের চিকিৎসায় যতখানি নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে তাও ধরে রাখা যাবে না। এ কারণে ফেরার ব্যাপারে অনুমতি দেবেন না। তারেককে সিডিউল অনুযায়ী থেরাপি নিতে হচ্ছে। এ কারণে সহসাই তিনি দেশে ফিরছেন না এটা চূড়ান্ত।

আদালতের আদেশ মেনে জামিন না নিলে আবারও ইন্টারপোলের সহায়তা নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আদালত। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তা করতে পারে। এর আগেও তারা তাই করেছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ইন্টারপোল পুরো ঘটনা জানে। এ জন্য তারা সরকারকে সহায়তা করবে না। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য সরকারকেও পুরো বিষয়গুলো জানিয়ে রাখা হয়েছে।

বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, তার দেশে ফেরার ব্যাপারে প্রথমত হচ্ছে চিকৎসকদের অনুমতি। দ্বিতীয় হচ্ছে ফিরে আসার ব্যাপারে অনুকুল পরিস্থিতি। এ দুটোর কোনোটি এখন নেই এবং সময় হয়নি। এ কারণে সরকার তার বিরুদ্ধে যত ধরনের ব্যবস্থাই নিক, যত কৌশলই করুক না কেন, দেশে ফিরছেন না তারেক। আগামী রাজনীতি তিনি লন্ডন বসেই করবেন। এরপর যখন ফেরার সময় হবে তখনই ফিরবেন।

এদিকে তারেক রহমান আগামী দিনে বিএনপিকে এগিয়ে নিতে এবং নতুন করে আন্দোলন গড়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনা করছেন। ২৯ জানুয়ারির পর নতুন কর্মসূচির কথাও ভাবছেন। এব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২-১ দিনের মধ্যেই দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সূত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

তালপাতারসেপাই বলেছেন:
তারেক রহমানের বিলেতের দিনকাল জানতে হলে

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

নিজাম বলেছেন: এভাবে আর কতকাল? জেল জুলুমের ভয় করলে তো নেতা হওয়া যায় না। দেশে এসে পরিস্থিতির মোকাবেলা করাই উত্তম। নতুবা শুধু অনুকূল পরিবেশে হালুয়া-রুটির ভাগ বসাতে দেশে ফিরে আসলে জনগণ কী মনে করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.