নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি মাত্র পার হলো। এবার একুশ কি ৮ ফাল্গুন ছিল? ১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন। বাঙালি এতোকাল একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ৮ ফাল্গুন পালন করে এসেছে। কিন্তু এবার ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৯ ফাল্গুন। শুধু এবার নয়, হিসাব করলে দেখা যাবে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলা ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করার পর ২১ ফেব্রুয়ারি ৯ ফাল্গুন হয়ে গেছে। বঙ্গ ভাষার প্রতি আমাদের এতোটাই প্রেম যে, আমরা একুশে পালন করি, কিন্তু ৮ ফাল্গুন পালন করি না। স্বৈরাচারী এরশাদের অনেক অপকর্মের মধ্যে এটি একটি।
ঢাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ‘দেশপ্রেমিক জনগণের মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠনের ই-মেইল বার্তায় এ বিষয়টি মগজে ঢুকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারা একটি সেমিনার ও উন্মুক্ত আলোচনার ডাক দেয়, যার আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘প্রচলিত বাংলা ক্যালেন্ডার পুনরুদ্বার।’ স্বৈরাচারী এক শাসক এক কলমের খোঁচায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বাংলা সন পরিবর্তন করে দিলো, আর পুরো জাতি কিছু না ভেবেই তা মেনে নিলো। বাংলা সন যারা প্রবর্তন করেছিলেন তারা নিশ্চয় এরশাদ থেকে বুদ্ধিমান ছিলেন, তাই এতোকাল বাঙালি (এটা ১৪২০) সেটা ধরে রেখেছে। হঠাৎ কবি (!) এরশাদ কারো কুপরামর্শে বাংলার প্রতি দরদী হয়ে উঠলেন। আশির দশকে যখন তিনি এটি করে তখনো কোনো প্রতিবাদ শুনিনি, এখনো নয়। ঢাকায় ওই সময় আমার অন্তত মনে হযেছে, এরশাদ বাংলা পঞ্জিকা পরিবর্তন করে এর ‘মুসলমানী’ করলেন। ভাবটা এই যে, এর আগে বাংলা সনটা হিন্দুর সম্পত্তি ছিল, উনি তা উদ্ধার করলেন! উনি যে এ অপকর্মটি করে বাঙালির মধ্যে নতুন করে সাম্প্রদায়িক বীজ রোপণ করলেন তা আমরা বুঝিনি। বাঙালিদের দুটি অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান হচ্ছে, পহেলা বৈশাখ এবং মহান একুশ। এরশাদ এই দুটির মধ্যেই ভেজাল ঢুকিয়ে দিয়েছেন। পহেলা বৈশাখ আগে সবাই পালন করতো ১৫ এপ্রিল। এখন বাংলাদেশে তা পালিত হয় ১৪ এপ্রিল; কলকাতায় ১৫ এপ্রিল, আমার জানামতে বাংলাদেশের বহু পরিবার এখনো ১৪ এপ্রিল ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ পালন করে। এরশাদ এই ইস্যুতে একটি স্পষ্ট বিভাজন টানতে পেরেছেন। অন্যদিকে মহান একুশ মানে শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি তাই নয়; ৮ ফাল্গুনও। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ হলে মহান একুশ হয় ৯ ফাল্গুন। এরশাদ এখানেও একটি গোলমাল পাকিয়ে রেখেছেন।
এরশাদ ভালো ভেলকি দেখাতে পারেন, যেমন এবারকার নির্বাচনে তার ভেলকিতে পড়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে এখন দিশাহারা এবং তার পতœী ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী।’ এরশাদের অষ্টম সংশোধনীর বিপাকে জাতি আজো বিভ্রান্ত। এরশাদ যে অপকর্মটি করেছেন তা থেকে মুক্তির উপায় কি? খুব সোজা। এরশাদ নির্বাহী নির্দেশে এ কাজটি করেছেন; আর একটি নির্বাহী নির্দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে এ থেকে উদ্ধার করতে পারেন।
প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচন সুসম্পন্ন হয়েছে। এটাই নির্বাচন, মানুষ ভোট দিয়েছে। রেজাল্ট কী হলো তা নিয়ে মাথাব্যথার দরকার নেই। নির্বাচন হচ্ছে ‘খেলা।’ খেলায় জয়-পরাজয়-ড্র থাকে। প্রথম দফায় জনগণ জিতেছে। খেলা শেষ হলে চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে হিসাব-নিকাশ হতে পারে। পত্রিকায় দেখলাম, কাদের সিদ্দিকী উপনির্বাচনে লড়বেন। খুব ভালো সংবাদ। বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় থেকে তো কিছু হচ্ছে না, সংসদে এসে কিছু হয় কিনা দেখা যাক! তবে তিনি গামছা না ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন তা বুঝতে পারছি না। বলছিলাম কি, গামছা দিয়ে তো আর ধানের শীষ বাঁধা যাবে না, তা ধানের শীষের মধ্যে গামছা ঢুকে গেলে কেমন হয়? শুধু শুধু আর রাখ-ঢাকের দরকারটা কি? কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন : ‘সকলের অন্তরেই এমন একটা কিছু আছে যা মিথ্যা সইতে পারে না; তা নিজেরই হোক বা অন্যের হোক। সেটাকে হয়তো জেদের বশে সব সময় স্বীকার করি না, কিন্তু নিজেকে তো আর ফাঁকি দেয়া যায় না।’ বঙ্গবীর আর নিজেকে বা জাতিকে ফাঁকি নাইবা দিলেন। পঁচাত্তরের পর বঙ্গবীরকে কিছুটা জানার সুযোগ হয়েছিল; সেই সুবাদে তার কাছ থেকে ‘নুরু হত্যা’-এর বিষয়ে জানার আগ্রহ আজো আছে।
যাহোক, এবার চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরীর প্রসঙ্গে আসি। এ যাত্রায় তিনি বেঁচে গেছেন, তার ফাঁড়া কেটেছে। ধারণা করি সরকারেরও একটা ফাঁড়া কেটেছে। মৃদুল চৌধুরী উদ্ধার না হলে, ব্যবসায়ীদের হরতাল হলে পরিস্থিতি অন্য মোড় নিতে পারতো। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা আসলে মৃদুলের জীবন বাঁচিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। ব্যবসায়ী মৃদুলকে নিয়ে কি হয়েছে তা বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়। এ ধরনের ঘটনা একটি সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে। সুখের বিষয়, সরকার সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন। একে বলে ‘ডেমেজ কন্ট্রোল।’ বর্তমান সরকারের একটি ডেমেজ কন্ট্রোল শক্ত টিম থাকা দরকার।
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরের দরকার কি?’ Ñএটি আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি। অবশ্য কারণও আছে : আগে আসলেই আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর লাগতো না, এখন লাগে। ইউক্রেনের কিয়েভ শহরে সরকার বিরোধী প্রচ- বিক্ষোভ হয়েছে এবং তাতে অর্ধ শতাধিকের বেশি মানুষ মারা গেছে। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে অন্তত দুদফায় চুক্তি হয়েছে এবং ভেঙেছে। একদিন আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইউক্রেন সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করতে। হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানকোভিচের বাহিনী মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছে। বেশ কড়া স্টেটমেন্ট। ভাবছিলাম, বাংলাদেশে যখন বিএনপি-জামাত সরকার বিরোধী কর্মসূচি পালন করেছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র এমন কড়া মন্তব্য না করার কারণ কি? কারণ হলো, বিরোধীদের বিক্ষোভ ছিল সন্ত্রাসযুক্ত; যেটা সবার অপছন্দের। দেরিতে হলেও বিএনপি হয়তো এখন তা বুঝতে পারছে, তাই এবারকার উপজেলা নির্বাচন ছিলো যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ। এমনকি, ছিটেফোঁটা দুএকটি ঘটনা ছাড়া হিন্দুদের ওপরও হামলার ঘটনা চোখে পড়েনি। আর একটি বিষয় হচ্ছে, ইউক্রেনে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে চুক্তি হচ্ছে, ভাঙছে; আমাদের দেশে তো এমন ঘটনা নেই! এর কারণ, আমাদের দেশে সরকারবিরোধী দল চোখে চোখে তাকায় না। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে চায়। সবাই চায় অন্যকে ল্যাং মারতে। সরকার ইতোমধ্যে ল্যাং মেরে বিএনপির ঠ্যাং ভেঙে দিয়েছেন। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে ভাঙা ঠ্যাং জোড়া লাগতে খুব বেশি সময় লাগে না। বিএনপির ভাঙা পা জোড়া লাগতে শুরু করেছে। ভারতের নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির পক্ষে গেলে তা ম্যাডামের জন্য টনিকের কাজ করবে এবং বিএনপি হয়তো আবার দুপায়ে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে। তাই আপাতত শান্তি, শান্তি, শান্তি। সুত্র
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২২
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আমি এত পারি নাকি? ছোট মানুষ!
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
বনসাই বলেছেন: যত দোষ নন্দ ঘোষ!
নিউ ইয়র্ক বসে কে কী লিখলো তাই নিয়ে অযথা গোল পাকানো কেন? মূল লেখকের পরিচয় পরিস্কার নয়, তিনি কি ইতিহাসের ছাত্র? বাংলা সনের বিষয়টির ভেতর এরশাদকে টেনে আনার হেতু কি?
কোনো ভুলই হয় নি যে শেখ হাসিনাকে তা সংশোধন করতে হবে। বাংলা পঞ্জিকাকে বিজ্ঞান ভিত্তিক করা হয়েছিল ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে। তৎকালীন সরকার কেবল তা বাস্তবায়ন করেছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি কেন আটই ফাল্গুন নয়- এই প্রশ্ন এ মাসেই সামনে আসে।
আজ বাংলা কত তারিখ তা কি জানেন? আমি জানি না। কারণ শহরে-সমাজে বাংলা তারিখের প্রচলন এই ভূখন্ডে বেশ সীমিত।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আজ বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৪ ফাল্গুন ১৪২০, ২৫ রবিউস সানি ১৪৩৫
তাহলে কেলেন্ডার পরিবর্তনের দরকার হলো কেন?
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
বনসাই বলেছেন: এখানে বিস্তারিত পড়তে পাবেন। সারণী দিয়ে দেখানো হয়েছে কেন বাংলাদেশের অনুসৃত পঞ্জিকা সহজ ও সরল।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ঠিক এই নামে উইকিপিডিয়ায় কোনো নিবন্ধ নেই। দয়া করে বিভ্রান্ত করবেন না।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
মুদ্দাকির বলেছেন: ঠিক একই কারনে আমার জন্মদিনটা ২ মাঘ থেকে ৩ মাঘ হয়ে গেছে !!!!!!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২
তালপাতারসেপাই বলেছেন:
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২২
বনসাই বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখিত লিঙ্কটি কার্যকর না হওয়ার জন্য। গুগল এ "বাংলা বছর" লিখে সার্চ দেন। ১ম উইকিপিডিয়া লিঙ্কে ক্লিক করলে যাবতীয় ভ্রান্তি দূর হবে আশা করি।
এরপর কেউ আর আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ২১ একুশ করে সবাই কিন্তু ৮ আট তো কেউ করেনা। আপনে এক কাজ করেন কলমের এক খোঁচা দিয়ে বদলে দিন।
হাসিনা যেমন এরশাদকে দিয়ে লাগ ভেলকি লাগ খেলছে তেমনি আপনিও শুরু করুন।