নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
যার সয়সম্পত্তি নেই, চাকরি-বাকরি ও ব্যবসা নেই অথবা থাকলেও অত্যন্ত নড়বড়ে সাধারণভাবে তাকে গরিব বলা হয়। এ রকম লোকের জীবনধারণ কষ্টকর বললেও কম বলা হয়। এদের প্রাথমিক সমস্যা খিদে মেটানো। এ রকম লোকের থাকা-পরা চিকিৎসা ও সন্তানাদির শিক্ষার কথা বলা অবান্তর। এ রকম হতভাগ্যদের সংখ্যা সারা পৃথিবীতে ৭০০ কোটির মধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি। অর্থনীতিবিদ অথবা পরিসংখ্যানবিদদের পরিভাষায় এদের বলা হয় দারিদ্র্য রেখার নিচের লোক। সাধারণ মানুষের ভাষায় হতদরিদ্র। হতদরিদ্র লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে দেড় দু'কোটির মতো হতে পারে। এদের সঠিক সংখ্যা পাওয়া কঠিন যেহেতু বাংলাদেশে লোক গণনাকারীরা এবং পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের কর্মচারীরা নিজ নিজ কাজে মোটে আন্তরিক ও দায়িত্বশীল নন; এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘরে বসে মাঠের কষ্টসাধ্য কাজটি সারেন! মাঠকর্মীদের ওপর ওপরের কর্তাদের তদারকি প্রায় না থাকার জন্যই এ রকমটা হয় এবং এদের তৈরি মনগড়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই সচিবালয়ের কর্তারা দারিদ্র্যদূরীকরণ অথবা দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প তৈরি করেন। মন্ত্রিসভা সেটা অনুমোদন করে বাস্তবায়নের জন্য আবার ওই রকম দায়িত্ব পালনে অভ্যস্ত মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পাঠান। সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের এ যে ভঙ্গুরদশা এটাও একটি দারিদ্র্য। প্রশাসনের এ দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চতুর এ দেশীয় কর্মকর্তারা এ দেশ থেকে এ দেশের রাজ কর্মচারীদের সাহায্যে টাকা তুলে সেই টাকার একটি অংশ তাদের ঘুষ দিয়ে (তখন ঘুষকে বলা হতো নজরানা এবং এ নজরানা গ্রহণ দুর্নীতি তো নয়ই একে মর্যাদা এ আভিজাত্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে ভাবা হতো) এ দেশ দখল করে নেয়।
ইংরেজ ভারত থেকে তোলা টাকা মোগল প্রশাসনের প্রায় সব স্তরে নজরানা হিসেবে প্রদান করে পুরো হিন্দুস্তান দখল করে নেয়। দখলে নিয়ে ভারতবর্ষের মতো বিশাল উপমহাদেশের বাজার থেকে একচেটিয়াভাবে মুনাফা লুটতে ভারতে যে বৃটিশ লোকবল নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন গড়ে তোলে তার সদস্যদের এত উচ্চ বেতন নির্ধারণ করে যে ভারত থেকে তোলা পুরো রাজস্বই সরকারি কর্মচারীদের বেতন জোগাতে লেগে যায়। সরকারি কর্মচারীদের উচ্চতর পদ ও ক্যাডারের প্রায় সব অফিসার ছিল বৃটিশ। উচ্চ বেতন ছাড়াও তাদের বাড়ি-গাড়ি চাকর আয়া বাবুর্চি মালি ইত্যাদি সব ছিল ফ্রি। তাদের বেতনের প্রায় পুরোটাই বাঁচিয়ে তারা দেশে পাঠাতে পারত। ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও বেশ ভালো ছিল। তারা সুখে ভাসাভাসি করে সংসার চালিয়ে দেশে জমাজমি করেও শহরে পাকা বাড়ি করতে পারত।
বৃটিশের এভাবে ভারতবর্ষের প্রশাসন অতি উচ্চ বেতন কাঠামো দিয়ে সাজানোর উদ্দেশ্য একটাই ছিল। আর তা হলো মোগল আমলের নজরানা প্রথা বন্ধ করা এবং নজরানা ব্যতিরেকে বৃটিশ প্রভুদের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন ও নিখাঁদ আনুগত্য পাওয়া নিশ্চিত করা। ইংরেজের ভারতীয়দের চরিত্র বিচার করে প্রশাসন সাজানোর কৌশলটি যে যথার্থ ছিল ইতিহাস তা প্রমাণ করেছে। ইংরেজ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভারতীয় কর্মচারী দিয়ে ধরে এনে যে ফাঁসিতে ঝুলাতে পারত তা ভারতীয় কর্মচারীদের বৃটিশের প্রতি নির্ভেজাল আনুগত্যের কারণে। বৃটিশ আমলে সরকারি পদ পাওয়া মানেই ছিল হাতে চাঁদ পাওয়া কিংবা তারও অধিক। ৪৭ সালের মধ্য আগস্টে সম্মুখ দরজা দিয়ে বৃটিশে চলে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে তাদের সঙ্গে সঙ্গে অনুপ্রবেশ সম্ভব হয় এ দেশের শাসক শ্রেণীর মধ্যে মোগল আমলের নজরানার অভ্যাস ফের ফিরে আসায়। বৃটিশ সরকার ২০০ বছর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের যে বেতন নির্ধারণ করেছিল, বৃটিশ ইন্ডিয়ায় বাজার অর্থনীতি চালু থাকায় টাকার দাম বছর বছর পড়ে যেতে থাকায়, প্রকৃত বেতন বছর বছর হ্রাস পাচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ করে ভারতীয় কর্মচারীদের বেতন দিয়ে সংসারের নূ্যনতম ব্যয় মেটানোই তখন কঠিন হয়ে পড়ল। বৃটিশ সরকার মূল্য বৃদ্ধি ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স) প্রচলন করে সরকারি কর্মচারীদের কষ্ট লাঘবের যে চেষ্টা করল তা ছিল অপ্রতুল। এ ভাতা টাকা ছাপিয়ে দেয়ায় মূল্যস্ফীতি আরো বেড়ে গেল। সরকারি কর্মচারীদের কষ্ট কিছুই কমল না। তখন বাধ্য হয়ে তারা মোগল আমলের নজরানা প্রথার প্রতি ঝুঁকে পড়ল। নজরানার একালের নামকরণ হলো ঘুষ। ইংরেজ তখন ভারত ছেড়ে দৃশ্যত চলে যাচ্ছিল বলে তারা ঘুষ বন্ধের জন্য একটা অ্যান্টি করাপশন (যার আজকের উত্তরসূরি দুদক) ডিপার্টমেন্ট পুলিশ পরিদপ্তরের মধ্যে তৈরি করে তাদের কর্তব্য শেষ করল।
ঘুষ বন্ধের জন্য অ্যান্টি করাপশন ডিপার্টমেন্ট পাকিস্তান সরকার ও পরে বাংলাদেশ সরকারও রেখে দেয়। তাতে দুর্নীতি না কমে বহু গুণ বেড়ে গেলে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু নজরানা গ্রহণ প্রথা এত ব্যাপক আকারে এ দেশের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত ফিরে এসেছে যে নজরানা প্রয়োগ করে এ দেশে যে কোনো অপকর্ম করিয়ে নেয়া যায়। এসব অপকর্মের মধ্যে প্রধানটি হলো দেশের অস্তিত্ব বিক্রি করে নিজে ধনী হওয়া।
লাগাতার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে প্রচুর রক্তের বিনিময়ে এবং কল্পনাকে হার মানানো অবমাননা ও নির্যাতনের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করে এ দেশের মানুষ নিষ্ঠুর ও বর্বর পাকিস্তানি দুঃশাসক চক্রের হাত গুঁড়িয়ে দিয়ে দেশ দৃশ্যত স্বাধীন করেছিল (১৯৭১)। কিন্তু নজরানার সুষ্ঠু প্রয়োগ করে স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে দেশ যাদের হাতে আগে ছিল তাদের হাতে ফের চলে যায়। তারা কখনো সরাসরি (জিয়া এবং এরশাদ) কখনো নেপথ্যে থেকে (মঈন ইউ) বাংলাদেশকে পাকিস্তান করে ফেলার চেষ্টা চালায়। বাংলাদেশের একজন মানুষেরও সম্মতি না নিয়ে তারা গণতান্ত্রিক ও ইহজাগতিক সংবিধানটিকে রাতারাতি বহুধর্মীয় দেশে একটিমাত্র ধর্মের অধীন করে। এ দেশের মানুষ এ দুই পাকিস্তানের সামরিক আদর্শ ভক্ত ভ- ইসলামপন্থী সশস্ত্র ব্যক্তিকে স্বৈরাচার বলে। কিন্তু তাদের এ কর্মটি ছিল একটি চরম জবরদস্তি যা স্বৈরাচার বললে তার আসল রূপটি ধরা পড়ে না। কেন পড়ে না তার ব্যাখ্যা পাওয়া এতদিন অনেকটা পাঠ্যপুস্তকীয় সূত্রকেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি স্বাধীনতা যুদ্ধকালে করা হত্যা, ধর্ষণ, অস্ত্রের মুখে ধর্মান্তরকরণ, ঘরবাড়ি, হাটবাজার পুড়িয়ে দেয়া প্রভৃতি সব মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ স্বয়ং ও সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাপকভাবে দেশের সর্বকোণে করার অভিযোগে কয়েকজন নিকৃষ্ট নামজাদা অপরাধীর বিশ্বের সর্বাধিক স্বচ্ছ বিচার পদ্ধতির মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পন্নের পর রায় ঘোষিত হলে তাদের চেলা-চামু-ারা হরতাল প্রতিবাদ করে ঘৃণিত সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারের প্রক্রিয়ায় থাকা অপরাধীদের নিঃশর্ত মুক্তির আবদার জানাতে গিয়ে দেশব্যাপী যে প্রলয় তা-ব চালায়, যার মধ্যে পুলিশ হত্যা ও তাদের পঙ্গু করাসহ যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে বাসের সঙ্গে যাত্রী পুড়িয়ে হত্যা, পরিবহন সঙ্কটে ভোগা দেশে অসংখ্য যানবাহন পুড়িয়ে ও ভাংচুর করে যাতায়াতকে আরো দুরূহ করে তোলা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তার কর্মীদের বাসস্থান আসবাব তৈজসসহ সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দিয়ে ৪৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ বঞ্চিত করা ও হাজার হাজার জমির সেচ বন্ধ করে কৃষককে সর্বস্বান্ত করা এবং সব মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয়া, রেললাইন উপড়ে ফেলা ও রেলের অতি মূল্যবান কোচ ও বগি পুড়িয়ে দেয়া তাদের দ্বারা সংঘটিত গণনাতীত ফৌজদারি ও দেশদ্রোহিতা পর্যায়ের মারাত্মক অপরাধের কয়েকটি কর্মকা-ের ব্যাখ্যা পাঠ্যপুস্তকীয় সূত্রের মধ্যে আবদ্ধ আর না থেকে চাক্ষুস প্রমাণের পর্যায়ে চলে আসে। তাদের এসব কর্মকা- সংঘটনের পর আর সন্দেহের অবকাশ থাকে না তাদের আদর্শিক ও দৈশিক আনুগত্য বাংলাদেশের প্রতি নয়_ অন্য কোথা অন্য কোনোখানে।
বাঙালি অস্ট্রিক-ভেডিড জনতা প্রধানত কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী হওয়ায় সামাজিক ব্যবস্থার কারণে হতদরিদ্র ও নিরীহ। সংখ্যালঘু ভূস্বামী ও পণ্য হাত বদল করে প্রায় বিনাশ্রমে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদিত সামগ্রীর মূল্য আত্মসাৎকারীরা দরিদ্র এই জনতাকে শতাব্দীর পর শতাব্দী মানবেতর স্তরে রেখে দিয়ে নিজেরা বিত্তবৈভবের মধ্যে গড়াগড়ি করেছে। বাঙালি এদের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে বিদ্রোহ করে জয়ী হতে হতেও হতে পারেনি। মূলত দারিদ্র্যের কারণে। দরিদ্র হওয়া পাপ নয়, মহাপাপ। পাপ মোচনের জন্য অর্থাৎ দারিদ্র্যমোচনের জন্য তারা বার কয়েক ধর্ম বদলেছে। তাতে ফল হয়নি। না হওয়ার কারণ স্বধর্মী শোষকদের দ্বারা একইরকম নিষ্পেষিত হওয়া। এক ধর্মের বলে কখনো তারা সামান্য ছাড় পায়নি। ভিন্ন ধর্মের শোষকদের কাছ থেকে পাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার লাভের বাঙালির সর্বশেষের লড়াইটা হয় ১৯৭১ সালে। এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যুদ্ধে বিধ্বস্ত অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পরিবহন ব্যবস্থা প্রভৃতি দ্রুত মেরামত করে পণ্য চলাচল ও যাতায়াত যখন তিনি স্বাভাবিক করছিলেন, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে খাদ্য আসা বন্ধ করে দেয়ায় (তাদের নীতি ছিল বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়তে না দিয়ে খাদ্যের জন্য তাদের ওপর স্থায়ীভাবে নির্ভরশীল রাখা) দেখা দিল অপ্রত্যাশিত আকস্মিক দুর্ভিক্ষ। তাতে তিরিশ লাখ মানুষ না খেয়ে মরল। এ সঙ্কট সামাল দিয়ে যখন তিনি শস্য উৎপাদনে দেশকে প্রায় স্বনির্ভর করে ফেলেছিলেন, ঠিক তখনই তাকে হুবহু পলাশির কায়দায় রক্তাক্ত পন্থায় দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। দেয়া হলো পাকিস্তান সেনা ছাউনি থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা নজরানালোভী গুটিকয়েক উচ্চাভিলাষীকে দিয়ে।
এ উচ্চাভিলাষীদের মধ্যে যাকে গদি দেয়া হলো তিনি ছিলেন একজন অবস্থাগতিকে 'মুক্তিযোদ্ধা'। তার ঘাড়ে দায়িত্ব পড়ল মুক্তিযুদ্ধ নস্যাৎ করতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে যারা সর্বাত্মক সহায়তা করতে গিয়ে নিজ দেশের নারীদের পাক-হানাদারদের বিনোদনের জন্য তাদের বাংকারে বাংকারে পেঁৗছে দিত, মুক্তিযুদ্ধ সমর্থকদের বাড়িঘর দোকানপাট লুট করে জ্বালিয়ে দিত, মুক্তিসেনাদের অবস্থানের কথা হানাদারদের জানিয়ে দিত, জাতিকে মেধাশূন্য করতে সব পেশার বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে অশেষ নির্যাতনের পর খুন করত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শুধু বিধর্মী হওয়ার কারণে হত্যা করত, তাদের নারীদের ধর্ষণ করত এবং বাড়ির মূল্যবান সবকিছু লুট করত এবং দেশান্তরী হতে বাধ্য করত, অথবা জোর করে ধর্মান্তরিত করে দেশে থাকতে দিত এসব চিহ্নিত দেশদ্রোহী মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে ও যারা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে এবং তাদের দলকে বৈধতা দিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসন এবং পাতানো নির্বাচনে জিতিয়ে এনে সংসদে বসতে এবং মন্ত্রী বানিয়ে আইন প্রণয়ন ও দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়া।
গদিধর এ ব্যক্তি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হলে অধিক ধুরন্ধর পাকিস্তান থেকে আসা মঞ্চের উয়িং-এ অপেক্ষমাণ আর এক সেনাপতিকে তখন গদি দেয়া হলো। তিনি আইয়ুবীয় কায়দায় নয় বছর দেশ শোষণ করলেন এবং সর্ব স্তরের কর্মচারীদের নিজে কমিশন গ্রহণের শর্তে নজরানা গ্রহণ বৈধ করলেন। তার লাম্পট্যের কথা ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বময়। এ দুই সেনাশাসক ও তাদের সঙ্গীরা বাংলাদেশে ইসলামকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার নাম করে বা ভণিতা করে আর যা করলেন তাহলো পালিয়ে যাওয়া ও বন্দি মানবতাবিরোধী ফৌজদারি অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে তাদের বিচার কাজ বন্ধ করা এবং তাদের অপরাধের সাক্ষ্য ও আলামত বিনষ্ট করা। এসব পুরনো কাহিনী এখন অনেকের জানা।
যা অধিকাংশ বাঙালির জানা নেই তাহলো এসব দুষ্কর্মের নেপথ্যের নায়কের নাম। তিনি হলেন একজন বিখ্যাত ইহুদি ড. হেনরি কিসিঞ্জার। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার হবি ছিল লাখ লাখ মানুষ হত্যা। তার বিভিন্ন দেশে হত্যার কাহিনী ২০০১ সালে হার্পার্স ম্যাগাজিনে 'দি কেইস এগেইনস্ট হেনরি কিসিঞ্জার' শিরোনামে প্রকাশ করেন ক্রিস্টোফার হিচেন্স এবং মানবতাবিরোধী তার অপরাধের জন্য তিনি বিচার চান। এ প্রবন্ধে বাংলাদেশে তার গণহত্যা পরিচালনার কথাও লেখা আছে। তার বিচার আজও না হলেও তার অনুসৃত নীতি যুক্তরাষ্ট্র আজ পর্যন্ত মেনে চলছে। এ নীতির মূল কথা গরিব ও প্রায় নিরস্ত্র গরিব দেশের মানুষকে বাগে রাখতে ইচ্ছামতো তাদের হত্যা করা। গরিব হওয়া পাপ। পাপের শেষ ঠাঁই দারিদ্র্য। বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেখে বাংলাদেশবিরোধী তাদের সৃষ্ট চেলাদের দিয়ে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে।
সুত্র
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
তালপাতারসেপাই বলেছেন: দলবাজী নয় দেশবাজী করি! দ্বেশের পুটু মারতে মারতে াপনাদের অভ্যাস হয়ে গেছে তাই সবখানেই......
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আপনার অনেক পুরানো ব্লগার। আপনাদের লেখায় অনেক কমেন্টস পরার কথা কিন্তু দেখে কোন কমেন্টস নেই কারণ আপনাদের দালালী ব্লগাররা ভালো ভাবে নিচ্ছেনা।
আমার কথাটি আবারও চিন্তা করে দেখেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি মন্ত্রক ও আরও কয়েক জন আছেন যাদের কাজই হলো একটি দলের মুখপাত্র গিরি করা।