নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাইয়াজ ইসলাম খানের পছন্দ শরিয়াহ আইনের শাসন। আর এ শাসন কায়েমে তিনি যুক্ত হতে চান সিরিয়াভিত্তিক ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে। গত শুক্রবার বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এমন ভাবনার কথা জানিয়েছেন ফাইয়াজ। তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। কথিত জিহাদের কথা বলে জঙ্গি সংগঠনগুলো ফাইয়াজের মতো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়াতে মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি। আর বর্তমানে এ রকম শতাধিক সন্দেহভাজন শিক্ষার্থী রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিতে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফাইয়াজের বাবা ফরিদ হায়দার খান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। জঙ্গিগোষ্ঠী এমন পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে মাঠে নেমেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের ‘ইসলামী শাসনব্যবস্থার’ কথা বলে দলে ভেড়াতে চাইছে। তাতে আর্থিক ও সামাজিকভাবে লাভবান হবে জঙ্গিগোষ্ঠী। বাংলাদেশে সংগঠিত হতে না পারলেও বিশেষ চক্র নানা সংগঠনের নামে জঙ্গি মতবাদ প্রচার অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের প্রচেষ্টার প্রাথমিক স্তরে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই মিলছে জঙ্গিবাদের প্রচার ও যোগাযোগের বিভিন্ন তথ্য।
জঙ্গি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আইএসের প্রভাব বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের সহযোগিতা করছে। আর তারা উচ্চশিক্ষিত যুবকদের দলে টানার চেষ্টা করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত দ্রুত এসব জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন উগ্রবাদীরা আইএসের নামে তৎপরতা বাড়াতে চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক এ জঙ্গিগোষ্ঠীর টার্গেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বের করে আনা জরুরি। পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের তৎপরতায় যুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।’
গোয়েন্দারা জানান, গত দুই মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে আইএসের সমন্বয়ক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা গালিব, আমিনুল ইসলাম বেগসহ ১৫ জনকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দাবি, আইএসের পক্ষে বাংলাদেশে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া উচ্চশিক্ষিতদের টার্গেট করে দলে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মেধাবীরা এ কাজে জড়িত থাকলে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারি এড়ানো সহজ হয় এবং সমর্থক সংগ্রহ করা যায় সহজে। গোয়েন্দারা বর্তমানে শতাধিক শিক্ষার্থীর গতিবিধি নজরদারির আওতায় এনেছেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) নামের যে সংগঠনটি শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে, তারা মূলত আইএস অনুসারী। তারা পাকিস্তানে অবস্থানরত জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুল গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে আইএসের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তিনি এ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যাপারে তেমন অবগত নন। তবে দেশে কাদের সঙ্গে আমিনুলের যোগাযোগ ছিল তা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র ও প্রকৌশলী গাজি সোহান, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নজিবুল্লাহ আনসারী, উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিয়ার আতিক সরকার, বিদ্যুৎ প্রকৌশলী সিফাত আলী, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক আব্দুল্লাহ হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মীর ফরিদুল হক, সিলেট ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র আবু সামির, কুমিল্লার সফটওয়্যার প্রকৌশলী ফয়জুল, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক মেহেরুন্নেছা ও শতাব্দী নামের এক চিকিৎসক জিহাদে অংশ নিতে আগ্রহী এবং তাঁরা মধ্যপ্রাচ্য যেতে চেষ্টা করছেন বলেও গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৈয়দ সাদ হাসনাইন জাভেদ, কায়সার ফিরোজ, আতিক সরকার, সিরাজুল, কামরান, মোজাদ্দিদ, ফয়সাল, রায়হান, মাওলানা ইশাদ, আবদুল্লাহ ও মোতাহার এ জঙ্গি নেটওয়ার্কে জড়িত বলে আমিনুল তথ্য দিয়েছেন। সাইফুল্লাহ নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্টারনেটে যোগাযোগ করছেন এবং আইএসে যোগ দিতে উৎসাহ দিচ্ছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
সুত্র
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: বাংলাদেশকে পাকিস্তান ভাবলে ভুল হবে। এইসব গুটিকয়েক গুহামানবের জায়গা বাংলাদেশ না।