নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, চিকিৎসা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই তিনি বিদেশে গেছেন। আবার বিএনপি বিরোধীরা বলছেন, ষড়যন্ত্র করার জন্যই তিনি দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে। ডা. দীপুমনি বলেছেন, 'খালেদা জিয়া দেশের ভেতরে-বাইরে সবখানেই দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করেন। লন্ডনে বসে তার পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী কর্মকা-ের নির্দেশ দিয়ে চলেছেন, তার নির্দেশে বাংলাদেশে বিভিন্ন নাশকতা চালিয়েছে জামায়াত ও জঙ্গিরা। এ কারণে খালেদা জিয়ার পক্ষেও দেশের বাইরে বসে দেশকে নিয়ে অপরাজনীতি করাই স্বাভাবিক।' আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপি নেত্রী নিছক অবকাশ যাপনের জন্য লন্ডনে যাননি। নতুন করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করার জন্যই তিনি সেখানে গেছেন। তা না হলে এয়ারপোর্ট থেকে কেন মাতা-পুত্র বাদে অন্য কেউ গাড়িতে ওঠেনি। নিশ্চয় নতুন ষড়যন্ত্র করছেন বলে কোন সাক্ষী রাখেননি।' এদিকে বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, 'ষড়যন্ত্র নয়, দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন গেছেন। দেশের সমস্যা, দেশের ভবিষ্যৎ এবং দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করতেই তিনি লন্ডন গেছেন। বর্তমানে দেশটা বৃহৎ কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই কারাগার থেকে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না। সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে।'বেগম জিয়া ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। লন্ডনে তিনি চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করাবেন। উল্লেখ্য, বিএনপি নেত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ৮ বছর ধরে সেখানে রয়েছেন। প্রয়াত কনিষ্ঠপুত্র কোকোর স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া থেকে লন্ডনে পেঁৗছেছেন। এখন থেকে তারা সেখানেই থাকবেন বলে জানা গেছে। ফলে দীর্ঘদিন পর কোকো ছাড়া পুরো পরিবার একত্রে মিলিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে যে যাই বলুক, বেগম জিয়া দৃশ্যত চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার জন্য লন্ডনে গেলেও প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারণেই তিনি সেখানে গেছেন। অনেকের মতে, দলের পুনর্গঠন এবং জিয়া পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করার জন্যই বেগম জিয়ার এবারের লন্ডন সফর। প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পর বিএনপি বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দলে বর্তমানে চরম ল-ভ- অবস্থা। চেইন অব কমান্ড একেবারে ভেঙে পড়েছে। বেগম জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে। তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। গত ৮ বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি বিদেশে। পর পর দুই বছরে ২টি বড় আন্দোলনের নেতা হিসেবে বেগম জিয়া চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক বোধ থাকলে বহু আগেই দলীয় নেতৃত্ব থেকে তিনি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াতেন। আগে বেগম জিয়া বা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেউ টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করতে সাহস পেতেন না। ইদানীং সেই অবস্থা আর থাকছে না বোধ হয়।বেগম জিয়ার ইচ্ছা, তার পরে পুত্র তারেক রহমানই দলের হাল ধরবেন। দলের তরুণদের একটা বড় অংশেরও একই অভিমত ছিল। বর্তমানে সেই অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা কোন সময়ই তারেক রহমানের কর্তৃত্বকে ভালো চোখে দেখেননি। ১৯৯১ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কয়েকটি বড় ধরনের অঘটন ছাড়া মোটামুটি ভালোভাবেই সরকার পরিচালনা করেন। তারেক-কোকোরা ঐ আমলে শান্ত ছিল। তখনও তারা কোন ব্যবসায় জড়িত হননি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ৫ বছর দেশ পরিচালনার পর শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণভাবে ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের চার দশকের ইতিহাসে শুধু ২০০১ সালেই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০০১ সালের নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে নিয়ে বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে একাত্তরের দুই শীর্ষ ঘাতক সর্দার নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ের আলামত দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জোটের গু-া-পা-া-ক্যাডার বাহিনী অস্ত্র পর্যন্ত নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। জোটের ৫ বছরে কুখ্যাত হাওয়া ভবনে সমান্তরাল প্রশাসন চালু করে তারেক রহমান। ঐ সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান মনে হতো তারেক রহমানকে। জোট আমলের ২-৩ বছরের মাথায় তারেক রহমান দেশে-বিদেশে দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্মরণকালের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট বিজয়ী হয়। ৩০০ আসনের সংসদে ২৬০-এর বেশি আসন পায় মহাজোট। মাত্র ২৯ আসন পেয়ে কোনরকমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে বিএনপি-জামায়াত জোট। এক সময়ের খুবই জনপ্রিয় বেগম জিয়াকে চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করে দেশের জনগণ। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে ৫ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করে হাসিনা সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে পেট্রল বোমা দিয়ে মানুষ মারাসহ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করেন বেগম জিয়া। স্মরণকালের ভয়াবহ ও নিষ্ঠুরতম নাশকতা এবং ধ্বংসাত্মক আন্দোলন সত্ত্বেও নির্বাচন বানচালে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হন খালেদা জিয়া। খুবই দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে খালেদা-এরশাদের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটকে ক্ষমতায় এনে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধু কন্যা।দেশে গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কোন বিকল্প ছিল না। নির্বাচন না হলে দেশে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করত। ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে গেলে হয়তো ৫/১০ বছরও ক্ষমতা দখল করে রাখত বেআইনিভাবে আসা ক্ষমতাসীন চক্র। কাজেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একদলীয় বা একতরফা হলেও ঐ নির্বাচনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। এটা ঠিক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। বেগম জিয়াদের একগুঁয়েমির জন্যই তা হয়নি। ২০১৪ সালে সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মহারানী বেগম জিয়া রাজনীতির স্বাভাবিক পথে না হেঁটে ২০১৫ সালে সরকারকে ফেলে দেয়ার লক্ষ্যে আবারও পেট্রল বোমা আন্দোলন শুরু করেন। ৯২ দিনের আন্দোলনের নামে এই নাশকতায় বহু লোক হতাহত এবং অর্থনৈতিকভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ। খালেদার আন্দোলনে দেশের জনগণ দূরের কথা নিজের দলের নেতাকর্মীরাও সম্পৃক্ত হননি। অবশেষে ৯২ দিন পর আন্দোলনের নেত্রী বেগম জিয়া বলতে গেলে আত্মসমর্পণ করেন। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে আন্দোলনের এমন সীমাহীন ব্যর্থতার দ্বিতীয় নজির আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যর্থ আন্দোলনের পর গত ৫ মাসে দল পুনর্গঠনের হাঁকডাক ছাড়লেও আসলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।বিএনপি বর্তমানে কঠিন রোগে আক্রান্ত। এই দল দুই দশক দেশ পরিচালনা করেছে। দলটির হাজার হাজার সক্রিয় কর্মী ছিল। নেতার সংখ্যাও কম নয়। খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রের ভুল ও সন্ত্রাসী রাজনীতির জন্য বিএনপি নামের সম্ভাবনাময় দলটি আজকে অন্তিম শয়ানে শায়িত। বিএনপির জনসমর্থনের একটি ঐতিহাসিক কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে ২টি রাজনৈতিক দল। একটি আওয়ামী লীগ, অন্যটি আওয়ামী লীগবিরোধী। কাজেই যারা আওয়ামী লীগবিরোধী, তারা সব সময়ই বিএনপির সমর্থক ও ভোটার। স্বাধীনতার ৪০ বছরে আমাদের দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো অনেকটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে পারেনি, তারা এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা এখনও আওয়ামী লীগবিরোধী এবং হাসিনাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধীদের সাধের পাকিস্তান ভাঙার মূল নায়ক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং তার দল আওয়ামী লীগ। পাকিস্তান ভেঙেই সৃষ্টি হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে। স্বাধীনতাবিরোধী এবং দেশবিরোধী চক্রই সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে। যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে, সেই অপশক্তিই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার জন্য একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। ৩০ লাখ শহীদ এবং ৪ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মুক্তবুদ্ধি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতীক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। আর স্বাধীনতাবিরোধীদের জিম্মাদার হচ্ছেন এদেশে জিয়া পরিবার।বেগম জিয়ার এবারের লন্ডন সফর বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে বিএনপি নামের দলটি যেমন পঙ্গুত্ব বরণ করবে, তেমনি জিয়া পরিবারের নেতৃত্বও খতম হয়ে যাবে। ১৮ সেপ্টেম্বর 'বিএনপিতে শিগগিরই শুদ্ধি অভিযান! তারেকের হাতে নামের তালিকা, ছিটকে পড়তে পারেন অনেকেই' শীর্ষক খবরে বলা হয়েছে_ 'দলকে নবধারায় সাজাতে বিএনপিতে শিগগিরই শুদ্ধি অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রে ও মহানগরে অনেকেই পদ হারাবেন।' দল পুনর্গঠন, পরবর্তী আন্দোলন ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে মাতা-পুত্রকে লন্ডন বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত ৩৭ বছরে এমন চরম দুরবস্থায় পতিত হয়নি বিএনপি। বর্তমানে চেয়ারপারসন লন্ডনে, মহাসচিব আমেরিকায়। দুই নেতার অনুপস্থিতিতে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তাদের অনুপস্থিতিতে দু'জন নেতাকে দায়িত্ব দেয়ার ক্ষমতা কি বেগম জিয়ার নেই? ক্ষমতা থাকলেও সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। যে কোন ভুল সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হতে পারে। আর এ আশঙ্কা থেকেই দলীয় প্রধান এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের জন্য কাউকে বলা হয়নি। এই মুহূর্তে বিএনপি আসলেই কা-ারিবিহীন।কি সিদ্ধান্ত নেবেন মাতা-পুত্র? কাকে বাদ দেবেন, কাকে রাখবেন? দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা ঝুলছে। খোদ মাতা-পুত্র মামলার জালে আটকে যেতে পারেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান এবং দুর্নীতির মামলায় বেগম জিয়া যদি ফেঁসে যান, পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন, তাও তাদেরকে এই বৈঠকেই নির্ধারণ করতে হবে। এতদিন বলা হয়েছে, তারেক রহমান অসুস্থ। তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন। যদিও কি তার অসুখ, কে তার ডাক্তার, কতদিন তাকে চিকিৎসা নিতে হবে_ এসব কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর মানুষ দেখেছে, তারেক রহমান বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে বাসায় নিয়ে গেছেন। বিএনপি নেতারা কি এখনও বলবেন, তারেক রহমান অসুস্থ? স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি জোটের রাজনীতি করবে কি-না, এই ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাতা-পুত্রকে। বেগম জিয়ারা একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের বিরোধিতা করে আসছেন। শুধু দেশের মানুষ নয়, তরুণ প্রজন্মসহ বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের বিচার চায়।জামায়াতকে জোটে রাখা না রাখার বিষয়টিও লন্ডন বৈঠকে স্পষ্ট করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটাই মাতা-পুত্রের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত। অনেকেই মনে করেন, জামায়াতকে বাদ দিয়ে জিয়া পরিবার কোন রাজনীতি করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর একটির সঙ্গে অপরটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশ-বিদেশে যে অপশক্তি একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তারাই সপরিবারে জাতির জনক এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। একদিন এই নির্মম সত্য উদ্ঘাটিত হবে_ 'জিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না। মনে-প্রাণে-আদর্শে ও চেতনায় জিয়া ছিলেন খাঁটি পাকিস্তান প্রেমিক।' কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে হত্যা করা নিয়ে দেয়া পুনর্বিচারের মামলায় উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন_ 'জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।' কাজেই স্বাধীনতাবিরোধীদের বাদ দিয়ে জিয়া পরিবার বাংলাদেশে রাজনীতি করবে কি না বা করতে পারবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যায় না। এই অবস্থায় লন্ডন বৈঠকে দলের পুনর্গঠন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামায়াতকে বিএনপি জোটে রাখা না রাখা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার ওপরই বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
সুত্র
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
রোষানল বলেছেন: খুব সুন্দর করে আম্লিগ কে তেলিয়ে গেলেন। আপনারা পারেনও মাইরি । এক চোখা নীতি পরিহার করুন । জনগনের হয়ে কথা বলুন । দলমত চুলোই যাক । কিন্তু মশাই আপনি ফেল করেছেন
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: লোভ হিংসা রুখে ফেলি-দেশ সেবা সফল করি ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
সিপন মিয়া বলেছেন: আমার সবচেয়ে অপ্রিয় বিষয়গুলোর মাঝে একটি বিডির রাজনীতি।