নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বর্তমান পৃথিবীতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিদ্যুৎ। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে আধুনিকতার নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে। আর সেই অনুষঙ্গগুলো পূরণের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে আধুনিক সভ্যতা। বিদ্যুতের আবিষ্কারই মানুষকে নতুন পথে চালিত করেছে। যত দিন যাচ্ছে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুৎ ছাড়া উৎপাদনের চাকা যেমন ঘোরানো সম্ভব না, তেমনি বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানে একটি দিনও কল্পনা করা যায় না। বিদ্যুতের ওপরই নির্ভর করছে পুরো জীবনযাত্রা। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে বিদ্যুতের চাহিদা। আর মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। যদিও মানুষের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে আমাদের। তবুও চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ফলে সরকারের পক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বিদ্যুৎ উৎপাদন একদিকে যেমন ব্যয়বহুল তেমনি সময়সাপেক্ষও বটে। ইচ্ছে হলেই মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব না। এজন্যই প্রয়োজন হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। এরই ধারবাহিকতায় দেশের নানাপ্রান্তে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রায় ৪৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার নতুন তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। আর এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াল ১০০-তে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ৮৭৭ মেগাওয়াট হলেও এসব কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ১১ হাজার ২৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। বিদ্যুতের অভাবে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেই আশঙ্কা নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে দূর হবে বলেই আমরা মনে করি। আমরা আরো মনে করি, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি পুরনো, অকেজো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করে বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানির সাশ্রয় প্রয়োজন এবং একই সঙ্গে বিতরণ ব্যবস্থাকে নিরবচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। ইতোপূর্বে বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদনের চাকা থমকে যাওয়ার যে শঙ্কা আমাদের মনে প্রতিনিয়ত বাজত, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে সেই শঙ্কাও দূর হওয়ার পথ তৈরি হলো। সরকার ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করেছে, আমরা মনে করি, তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
আব্দুররহমান রানা৪ বলেছেন: আসলে সরকার যেরকম উন্নয়ন কর্মকান্ডে এগিয়ে যাচ্ছেতার সাথে সাথে যদি আমরাও সচেতন না হই তা হলে উন্নয়ন কর্মকান্ড আমাদের জন্য খুব বেশি সাফল্য বয়ে আনতে পারবে বলে আমার মনে হয়না।তাই আসুন সরকারের প্রতিটি উপাদান নিজেদের মনে করে তার যথাযথ ব্যাবহার করি।সরকার তো আমাদের টাকাতেই এই সব উপাদান সম্পন্ন করে।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
নিষ্কর্মা বলেছেন: ঐদিন সংবাদ সম্মেলনে উনি যখন সেঞ্চুরি শব্দটা উচ্চারণ করলেন, তখন উনার গলা সামান্য কেঁপে গেল। উনি মুহুর্তের জন্য অস্বস্তি নিয়ে পরক্ষণের তা সামলে নিলেন। সেঞ্চুরি শব্দটা আম্লিগের জন্য মর্যাদার নয়। এর সাথে অমর্যাদার একটা সংযোগ আছে। এরচেয়ে শততম বলেন, সেইটা ভালো শোনাবে।
বিদ্যুৎ উতপাদন বাড়ালেই দেশের সবাই বিদ্যুৎ পাবে, এই কথা কোথা থেকে পেলেন? বাংলাদেশের রাজধানী ব্যতীত আর কোথায় ভালো মানের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আছে? প্রতিটি জেলা শহরে বাস্তব চিত্র দলীয় প্রোপাগান্ডায় আসবে না, তারপরেও জেনে রাখা ভালো যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা এমনই যে প্রতি বছরই বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিস ভাংচুর করে। সুতরাং টাকা ক্যাশ পাওয়া যাবে বলে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানোই যায়, তাই বলে সবাইকে বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা যাবে না, যতক্ষন না ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিরতণ ব্যবস্থা উন্নত হবে।
আজ অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হয়েছে, অনেক আনিসুল হকের কালো টাকা সাদা হয়েছে। কিন্তু তাতে জনগণের ঘাড়ে বিদ্যুৎ নয়, সামান্য বিদ্যুৎ ব্যবহারে তিন-চারগুণ বিদ্যুৎ বিলের বোঝা চেপে বসেছে। এইটাই আমাদের উন্নয়ন।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: নিষ্কর্মা এর কাছে বিদ্যুতে উন্নয়ন মানে হল বিদ্যুত বিহীন খাম্বা
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: হু এখন আর আগের মত ঘন ঘন বিদুৎ যায়না। ভাল সাফল্য।