নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ওরফে জেএমবি নতুন নেতৃত্বে আবারো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে এমন উদ্বেগের তথ্য রয়েছে গোয়েন্দা বিভাগে। সম্প্রতি পাবনায় যাজক হত্যাচেষ্টা সন্দেহে জেএমবির ৫ সদস্য আটক, তাদের স্বীকারোক্তি এবং দেশে চলমান বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দারা এমনটি আশঙ্কা করছেন। ধর্মের নামে জঘন্য কর্মকা- পরিচালনাকারী জেএমবির অতীত কর্মকা- বিশ্লেষণসাপেক্ষে গোয়েন্দাদের এ আশঙ্কারও যৌক্তিক ভিত্তি থাকা অমূলক নয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ জঙ্গি সংগঠনের পুনরুত্থানের খবরটি নিঃসন্দেহে আতঙ্কের, যা সার্বিক অর্থে রাষ্ট্রের জন্য দুশ্চিন্তারও অন্যতম কারণ বলেই প্রতীয়মান হয়।
সম্প্রতি জঙ্গি দমন-সংক্রান্ত কার্যক্রমে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যে প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ২ বছরে এ সংগঠনটি গোপনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ১২টি হত্যাকা- ঘটিয়েছে। গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বস্নগার হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় 'আনসারুল্লাহ বাংলা টিম' নামের জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততার কথাও বহুল উচ্চারিত। এ সময় 'আনসারুল্লাহ বাংলা টিম' নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সংস্করণ বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। সম্প্রতি ২ বিদেশি হত্যাকা-ের পর জঙ্গি সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। বিষয়টি শুধু গোয়েন্দা নয়, দেশের সচেতন মানুষের কাছেও ছিল সন্দেহজনক। অবশেষে আটক জেএমবি সদস্যদের স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নতুন নেতৃত্বে মাঠে নামার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে অপরাধ দমন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও দাবি করেছিলেন, জঙ্গিবাদের প্রবণতা যেহেতু বৈশ্বিক সে কারণে জেএমবির বিদেশ যোগাযোগ থাকতেই পারে। এর সূত্র ধরে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা এবং একই সঙ্গে নতুন রিক্রুটমেন্টের চেষ্টা চলবে, এটাই স্বাভাবিক। অবশেষে তাদের এ আশঙ্কার বিষয়টি সত্য বলে প্রতীয়মান হলো।
স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশের জনগণ ধর্মীয় চরমপন্থা ও মৌলবাদের বিপদ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন উপলব্ধি করেছে তেমনি ১৯৯৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলা এবং তারপর কয়েকটি জেলায় আত্মঘাতী বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জেএমবি তাদের হিংস্র ও নিষ্ঠুর কর্মকা- দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে। দেশবাসীর কাছে এরা মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবেই পরিচিত হয়। এরপর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। দেশবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সংগঠনটির কর্মকা- নিষিদ্ধ করে। ধর্মের নামে জঘন্য কর্মকা- পরিচালনাকারী দেশ ও জনগণের এই শত্রুদের এমন পরিণতি প্রত্যাশিত হলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন নামে এদের সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কাও ছিল। সম্প্রতি এ অপশক্তির পুনরুত্থানের খবরে তাই শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এদের পুনরুত্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জেএমবির অনেক শীর্ষ নেতা বিভিন্ন সময়ে একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করা জামায়াতে ইসলামীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি আটকরাও জেএমবিতে যোগ দেয়ার আগে সক্রিয়ভাবে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। সরকারকে চাপে রাখার জন্য বিদেশি বা ভিন্নধর্মাবলম্বীকে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এরা পাবনায় যাজক হত্যাচেষ্টায় অংশ নেয়। জানা যায়, রাকিবুল ইসলাম নামের একজনের নেতৃত্বে দেড় বছর ধরে জেএমবি সদস্যরা পাবনায় সংগঠিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে দেড় বছর ধরে এরা সংগঠিত হতে পারে তা আমাদের মাথায় ঢোকে না। তবে এ কথা স্পষ্ট যে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের পরিপ্রেক্ষিতে দেশকে অস্থিতিশীল করে বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাই এদের অন্যতম উদ্দেশ্য। ফলে দেশবিরোধী এ সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে আইনের কঠোরতা জরুরি।
সর্বোপরি বলতে চাই, শুধু পাবনা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও এদের গোপনে সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। এ জন্য সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরো সতর্ক ও কঠোর হওয়া দরকার। পাশাপাশি ধর্মীয় এই চরমপন্থিদের কাছে আন্তর্জাতিক সাহায্য-সমর্থন যেন আসতে না পারে সে জন্যও বাংলাদেশকে কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করতে হবে। জঙ্গিরা দেশের শত্রু, জনগণেরও শত্রু, ফলে শুধু জেএমবি নয়, কোনো ধরনের অপশক্তির পুনরুত্থানই দেশে প্রত্যাশিত নয়। অপশক্তি দমনে প্রশাসন তথা সরকারের কঠোর ভূমিকাই আমরা প্রত্যাশা করি।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
মানবী বলেছেন: " অপশক্তি দমনে প্রশাসন তথা সরকারের কঠোর ভূমিকাই আমরা প্রত্যাশা করি। "
- জেএমবিকে যে অকুতোভয় বীর সেনানী গুড়িয়ে দিয়েছিলো তার পুরস্কার স্বরূপ ২০০৮ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী নৃশংস ভাবে তাঁদের প্রাণ হারাতে হয়। এই প্রশাসন তথা সরকার ক্ষমতা গ্রহনের কিছুদিন পরেই কাজটি সুনিশ্চিত করেন।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
মামুন আকন বলেছেন: প্রতিদিন নতুন নতুন ঘটনার জন্ম হচ্ছে
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
মানবী বলেছেন: * তার পুরস্কার স্বরূপ ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী
টাইপের ভুলের জন্য দুঃখিত!
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
রহস্যময় বিকাশ23 বলেছেন: ধন্যবাদ।অনেক সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: অপশক্তি দমনে প্রশাসন তথা সরকারের কঠোর ভূমিকাই আমরা প্রত্যাশা করি।