নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২২


বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন। একজন সরকার প্রধানের এমন সাহসী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো সরকার প্রধান গ্রহণ করেনি। এটি সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম। ইতোমধ্যেই সরকারের কিছু ইতিবাচক কার্যক্রমে দেশে বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জিত হয়েছে। আর এই সুনাম একটি বিশেষ মহলের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গত কারণেই একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী সরকারের সফলতাকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। ফলে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের নানাবিধ ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সরকারের প্রশংসা ও স্বীকৃতি মিললেও সেই স্বীকৃতি ও প্রশংসাকে ম্লান করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি বাংলাদেশের মাটিতে দু’জন বিদেশি খুনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করারও নেতিবাচক প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, তখনই নানাবিধ ষড়যন্ত্র সেই অর্জন ও খ্যাতিকে নস্যাত্ করার চক্রান্ত হাতে নিয়েছে। যে বা যারাই এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকুক না কেন, এটি যে রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় অন্যতম বাধা এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

সাধারণত একটি রাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়াতে হয়। কারণ একটি গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা থাকা ও সভ্য সমাজের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে সে দেশ, সে সমাজে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সরকারের জবাবদিহিতা, আইনের শাসন ও সরকারের স্থিতিশীলতা এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থার ওপর। কোনো দেশে যদি আইনের শাসন না থাকে, সরকারের জবাবদিহিতা না থাকে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি স্থিতিশীল না হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো যদি পারস্পরিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকেন, তাহলে দেশের আপামর জনসাধারণ ক্রমেই সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রশ্নটিও সামনে চলে আসে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশের জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব যেমন সরকারের তেমনি সরকারের অঙ্গগুলোকে সহযোগিতার ভার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা না থাকলে কোনোভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ইতোমধ্যেই সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাষ্ট্র মধ্যম আয় ও উন্নত আয়ের রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলেও তা উত্তরণে সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগও আন্তরিকভাবে হাতে নিয়েছে।

ইতোমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি, সরকারের পক্ষ থেকে দেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রয়াস। বিশেষ করে সম্প্রতি চতুর্থ শ্রেণির শিশুকে গুলি করার অপরাধে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং যথাযথ আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে একজন মন্ত্রীকেও আইনের আওতায় আসতে হয়েছে। এমনকি মন্ত্রীত্ব ও সংসদ সদস্য পদও ছাড়তে হয়েছে তাকে। এগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ কিছু আইনের শাসনের নমুনা লক্ষ্য করা গেছে, যেগুলো নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

তবে এমন ইতিবাচক নজির থাকলেও দেশের রাজনৈতিক মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টির অপপ্রয়াসও রয়েছে যথেষ্ট। আর এই উত্তেজনা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি দু’জন বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রধান দুটি বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে যতক্ষণ রাজনৈতিক কোনো সমঝোতা না হবে ততদিন এমন অবনতিশীল প্রবণতা চলতে থাকবে।’ আর এ বক্তব্য থেকে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অচলাবস্থার সমাধান না হলে এমন নেতিবাচক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।

অনেক পুরাতন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, ‘কেউ যদি জেগে জেগে ঘুমায় তাহলে তাকে কোনোভাবেই জাগানো যায় না।’ কাজেই বিএনপি যদি মনে করে সরকারের ভাবমূর্তি দুর্বল হওয়ার জন্য এমন ঘটনা বেশি বেশি হওয়া দরকার। তাহলে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করতেই অধিক তত্পর হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

একটি মহল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চায় এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায় তা ইতোমধ্যেই অনুমান করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে আমরা অনুমান করতে পারি বর্তমানে কী পরিমাণ ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য ছিল যে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মন্ত্রী-এমপিকে হত্যা করা হতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভিআইপি, মন্ত্রী-এমপিদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেয়া হয়। কিন্তু কোনো বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হবে- এ ধরনের কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’ (৬ সেপ্টেম্বর কালের কণ্ঠ)। তার এ বক্তব্য থেকে আমরা বুঝতে পারি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কিংবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী পর্যায়ে সতর্ক হতে হবে সে বিষয়েও একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কারণ এ কথা সত্য যে, সকল নাশকতার আভাস অনুপুঙ্খভাবে গোয়েন্দারা অনুভব করতে পারবে এমনটি আশা করাটা যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ কুচক্রী মহল সবসময়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইবে। আর বাংলাদেশে এমন অপ-রাজনৈতিক সংস্কৃতি তো আছেই। এ বছরের শুরুর দিক থেকে পর পর চারজন ব্লগার খুন, সাম্প্রতিক দুইজন বিদেশি নাগরিক খুন জঙ্গী তত্পরতার বৃদ্ধির আশঙ্কার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় বিদেশি দূতাবাসগুলোর দেয়া সতর্কবার্তায় বাতিল হচ্ছে বিদেশিদের একের পর এক সফর। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন পর্যন্ত। বাংলাদেশ যখন আর্থ-সামাজিকভাবে বিশ্বে সম্মানিত হচ্ছে, তখন কোনো বিশেষ মহল সরকার ও জনগণের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।

অনেকদিন থেকেই বর্তমান সরকারের বৈধতা, সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকার-বিরোধী একটি মহলের মাথা ব্যথা রয়েছে। বিভিন্নভাবে ইতিপূর্বে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বিরোধীদের অপতত্পরতা বিদ্যমান ছিল। সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যর্থ হওয়ায় নতুন কোনো পদ্ধতি কিংবা কৌশল হাতে নেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অসম্ভব কিছু নয়। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য যেকোনোভাবেই সরকারকে বিপদে ফেলা এবং সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরি করে নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়া। আর এ কারণে নিরাপত্তার ইস্যু নিয়ে নাড়াচাড়ার বিষয়টি একটি অপকৌশলও হতে পারে।

ইতিপূর্বে আমরা লক্ষ্য করেছি সরকারে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য নানাবিধ তত্পরতা ছিল। কিন্তু সেগুলোতে খুব বেশি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিষয়ে তেমন মাথা ব্যথাও হয়ে ওঠেনি। ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বিদেশি নাগরিক হত্যার মতো জঘন্য অপকৌশলের পথ বেছে নেয়ার প্রয়াসটিকে একেবারেই ফেলে দেয়া যায় না। কারণ তারা উপলব্ধি করেছে যে, বিদেশিরা ইতোমধ্যেই সরকারের কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বহির্বিশ্বে বারবার সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করছে। এতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তিও বেড়ে চলেছে। ফলে একটি মহল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই মন্ত্রী বাংলাদেশে থাকা বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা দেশে নেয়া নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। এমনকি বিদেশিদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে থাকা সব বিদেশির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সরকারি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এক্ষেত্রে শুধু সরকারের আগ্রহ কিংবা উদ্যোগ থাকলেই সফলকাম হওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার রাষ্ট্রের সকল স্তরের নাগরিকদের সচেতনতা এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা।

দেশে জঙ্গী আছে কি নেই, সেই বিতর্কে না গিয়ে সবাইকে উপলদ্ধি করতে হবে যে, দেশে এখন একটি বৈরি পরিবেশ বিরাজ করছে। আর এই বৈরি পরিবেশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা হচ্ছে। এহেন একটি বিপজ্জনক সতর্কতা না বুঝে জঙ্গী গোষ্ঠীকে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেয়া সরকারের কোনোভাবেই সমীচীন হবে না। জঙ্গী তত্পরতাকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাবমূর্তি রক্ষার পাশাপাশি সরকারের জবাবদিহিতা, আইনের শাসন ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থার সমন্বয় ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় না দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/drishtikon/2015/10/17/78091.html

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দেশে জঙ্গী আছে কি নেই, সেই বিতর্কে না গিয়ে সবাইকে উপলদ্ধি করতে হবে যে, দেশে এখন একটি বৈরি পরিবেশ বিরাজ করছে। আর এই বৈরি পরিবেশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা হচ্ছে। এহেন একটি বিপজ্জনক সতর্কতা না বুঝে জঙ্গী গোষ্ঠীকে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেয়া সরকারের কোনোভাবেই সমীচীন হবে না। জঙ্গী তত্পরতাকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাবমূর্তি রক্ষার পাশাপাশি সরকারের জবাবদিহিতা, আইনের শাসন ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থার সমন্বয় ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় না দিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। লেখাটি সময় উপযোগী , আমরা চাই বাস্তবায়ন এবং কার্যকর ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর আশু ইতিবাচক সমাধান । পোষ্টে ধন্যবাদ বন্ধু ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.