![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তালুকদার, তালুকদারিত্ব আমাকে করিয়াছে ত্যাক্ত, অবশেষে আমি হারায়েছি বিত্ত, তবুও আমি তালুকদারিত্ব নিয়ে মত্ত.......
দেশ হল মা। সেই মায়ের ওপর একাত্তুরে আক্রমণ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার ও দেশি রাজাকার-আলবদর-আলশামস শুয়োরেরা। একাত্তুরে যারা যুদ্ধ করেছে তাঁরা মাকে বাঁচাতে, মায়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতেই যুদ্ধ করেছে। বিনিময়ে কোন কিছু পাওয়ার জন্য নয়। তারা এটাও জানতো মা ভাল থাকলে মায়ের সন্তানেরাও ভাল থাকবে। তাই তাঁরা মাকে ভাল রাখতেই সংগ্রাম করেছিল, যুদ্ধ করেছিল।
যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের বিপদে-আপদে সাহায্য করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। কিন্তু তাঁরা দুঃখ-দুদর্শা ও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করবেন, না খেয়ে, না পেয়ে আত্মহত্যা করবেন আর তাঁদের নাম ভাঙিয়ে অন্যরা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করবেন এটা কেমন কথা! প্রতিবছর বাড়ছে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা! এর কারণ কি? খোঁজ নিলে দেখা যায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ধুঁকে ধুঁকে মরছে অথচ তেলবাজরা সার্টিফিকেট বাগিয়ে সুবিধা নিচ্ছে!
কোটা সিস্টেম আছে অনেক আগে থেকেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ ৩০%! এর বাইরে আবার দুইবছর পরপর স্পেশাল বিসিএস (শুধুমাত্র কোটাধারীদের জন্য) তো আছেই। চিন্তা করা যায়? তারওপর নতুন নিয়ম করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও এই সুবিধা পাবে! কি হাস্যকর! আরও ব্যাপার আছে। কোটা সিস্টেমটি নির্বাচিত হত লিখিত পরীক্ষার পর। কিন্তু এ বার কোন রকম পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই প্রিলিতেই কোটা রেখে রেজাল্ট দেয়া হয়েছে! এটা কি রকম ধৃষ্টতা!
পরীক্ষার খাতা কত নাম্বার ধরে মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আপনার সর্বনিম্ন নাম্বার ৯০ ধরেন দুঃখ নাই। আমি ৮৮ পেয়েছি বলে চান্স পাই নাই তাতেও আমার কিছু বলার নাই। কারণ ৯০ যারা পেয়েছে তারা অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল, মেধাবী। কিন্তু একই পরীক্ষায় আপনি কাউকে ৮০ পাওয়ার পরেও বাদ দিবেন আবার অন্যদেরকে ৫৫ পাওয়ার পরেও নেবেন সেটা কেমন কথা! আন্দোলনটা ফেল করা নিয়ে নয়, আন্দোলন টা এখানেই।
অবিলম্বে কোটা ব্যাবস্থা সংশোধণ করে, সকল ধরনের কোটা ৫-১০ ভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রকৃত মেধাবীদের বিভিন্ন চাকুরিতে নিয়োগ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত করুন। অন্যথায় যে জোয়ার শুরু হয়েছে তাতে আপনারা যে দলই হোন না কেন, টিকতে পারবেন না, মুহূর্তেই ভেসে যাবেন স্রোতের সাথে। সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক!
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবার দুইবছর পরপর স্পেশাল বিসিএস (শুধুমাত্র কোটাধারীদের জন্য) তো আছেই। চিন্তা করা যায়? তারওপর নতুন নিয়ম করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও এই সুবিধা পাবে! কি হাস্যকর! আরও ব্যাপার আছে। কোটা সিস্টেমটি নির্বাচিত হত লিখিত পরীক্ষার পর। কিন্তু এ বার কোন রকম পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই প্রিলিতেই কোটা রেখে রেজাল্ট দেয়া হয়েছে! এটা কি রকম ধৃষ্টতা!
এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কোটাকে ঘৃণা করে! সরকারী সাহায্য গ্রহনকে ঘৃনা করে! যেমন ঘৃণা করতো পাকিদের, রাজাকারদের!
কারণ মুক্তি এবং যুদ্ধ দুটোই আত্ম মর্যাদা শাণিত করার নাম।
যেই আত্ম মর্যাদার জণ্য জীবন দেয়ার মতো দৃঢ়তা থাকতে পারে - তারা কি সামান্য কিছূর বিনিময়ে সেই আত্মমর্যাদা বিলিয়ে দিবেন??
কখনোই না।
আর যারা করবে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাই না।
সার্টিফিকেট বাগানো সুবিধাবাদীর দল !!!!
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আজ থেকে ১০০ বছর পরঃ
যাদের ডিএনএ তে মুক্তিযোদ্ধার নমুনা পাওয়া যাবে তাদের দিয়ে বিসিএস এর মুক্তিযোদ্ধার কোটা পূরণ করা হবে
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৬
সাদরিল বলেছেন: আজ থেকে ৫০ বছর পর, মুক্তযোদ্ধা পরিবারের কারো ফেসবুকের ফ্রেণ্ডলিস্টে যারা থাকবে,তাদের জন্যও কোটা পূরণ করা হবে
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এখন সবার একটাই কথা! “মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করায় আমাদের লাভটা কি হল? স্বাধীন দেশে না খেয়ে থাকার চেয়ে পরাধীন দেশে থাকাই তো ভাল ছিল। সেখানে অন্তত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর আমাদের মাঝে কোন পার্থক্য করা হতনা! মুক্তিযোদ্ধারা কি এই জন্য দেশ স্বাধীন করেছে যে তাদের সন্তানরা চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবে আর সাধারণ ঘরের ছেলে বা মেয়েটি স্বেচ্ছায় বেকার জীবন বরন করে নেবে?”