| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তামাদী তারুণ্য
আমি একজন বিনোদন সাংবাদিক। দেশের একটি স্বনামধন্য দৈনিকে কাজ করছি..
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয় ক্যাডার, সন্ত্রাসী, প্রভাবশালী ব্যক্তি ছাড়াও শিক্ষকের লালশার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সহজ সরল অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থীরা। সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে অধিকাংশ নারী নিজের ভেতরে চেপে রাখেন বোবা কান্না। দু’একজন ভুক্তভোগী নারী যৌন নিপীড়নের ঘটনায় প্রতিবাদী হয়ে উঠলেও আশি শতাংশ নারীই দিনের পর দিন মুখ বুজে এসব নিপীড়ন সহ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সহজ সরল নারী শিক্ষার্থীরা এখানে পদে পদে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কালেভদ্রে দু’একজন অভিযোগ করলেও অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছেন এমন নজির দেখা মেলা ভাড়। মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে অভিযোগপত্র।
তাছাড়া এসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে হয় অনেক প্রক্রিয়া মেনে। পরবর্তীতে লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন রাজনৈতিক ক্যাডার, প্রভাবশালী ব্যক্তি, সন্ত্রাসী, ছাত্র সংগঠনের নেতা কিংবা প্রভাবশালী কোন শিক্ষক তাহলে তার সাথে সম্পর্ক খারাপ না করতে পরামর্শ দেয়া হয় অভিযোগকারীকে। অথবা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক শিক্ষার্থীই সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী নিপীড়নের ঘটনাখুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা, দায়িত্বেঅবহেলা, দলীয় মনোভাব, কাপুরুষতা, স্বেচ্ছাচারিতা এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় যৌন নিপীড়ন কারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
যৌন হয়রানির দায়ে গত ডিসেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক শাওন উদ্দিনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫০তম সিন্ডিকেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শ্রেণীকক্ষে ছাত্রীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে শাওন উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটি নৈতিক স্খলনের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা ২০১০’ অনুযায়ী ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে। ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট শাওন উদ্দিনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক জুলফিকারুল আমীনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয় ২০১২ সালে। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে আট বছর মেয়াদে ৩ ধরনের শাস্তির সুপারিশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই শাস্তি প্রদান করে।
যদিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালের জুন মাসে কার্যক্রম শুরু করে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটি। কমিটি কার্যক্রম শুরুর পরে বর্তমান সময় পর্যন্ত যৌন হয়রানির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও কিছু শর্ত পূরণের অভাবে কমিটি সব কয়টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ করতে পারেনি। কিছু অভিযোগ আবার যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটি পর্যন্ত আসতেও পারেনি। বর্তমান কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মেয়েরা এই যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বিষয়ক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাগুলো এড়িয়ে যেতে চায়। আর সেই সুযোগটাই নিতে থাকে কিছু স্বার্থান্বেষী বিকৃত রুচির শিক্ষক কর্মকর্তারা। তাছাড়া এখন পর্যন্তও সবাই এই কমিটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছি প্রকাশনা দপ্তর থেকে প্রতিবছর নবীন বরণের সময় নতুন শিক্ষার্থীদের নীতিমালার একটা করে কপি সরবরাহ করতে। এছাড়া আরও কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
অতৃপ্ত অনুভূতি ! বলেছেন: আমরা বাঙ্গালী....। হাহ্ ....কিসের জন্য দেশ স্বাধীন করেছিল? এইসব বিবেকহীনদের গুলি করে মারলেও তাদের পাপ কমবে না।