![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাস্তববাদী মানুষ। খুব সহজে মানুষর বন্ধু হতে পারি।আর পারি প্রান খুলে হাঁসতে। বর্তমানে জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন গুলো পার করছি।তাই দুনিয়ার সব সুখি মানুষের তালিকার মধ্যে আমিও একজন দাবী করতেই পারি। আকাশ প্রিয় তাই বড় হওয়ার ইচ্ছা তাড়া করে নিয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত । অার এই সব কিছুর জন্য মহান সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ।।
এইখানে মোর বউ এর কবর, কচু গাছের তলে,
কয়দিন আগে মরিয়াছে সে, পাখি` জামা দেইনি বলে।
এতটুকু তারে বুঝাতে পারিনি পাখি জামা ভাল না,
পাখি জামা কিনে না দিলে সে গলায় পেচাবে ওড়না।
এখানে ওখানে ঘুরিয় ফিরিয়া ভেবে হইতাম সারা,
সব জেলাতে স্টার জলসা ছড়াইয়া দিল কারা।
.
আঁচল নাটকের গীতার মত আমায় মারিতো ঝাড়ি,
কাঁচা বাধিয়া দৌড় দিতাম মুই গাঁয়ের ওপথ ধরি।
কত যে বলিতাম ছেড়ে দে আমায়, sorry বলিতাম কত শত,
এইসব দেখিয়া বাল্য বন্ধুরা তামাশা করিত কত।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পাঁ,
পাখি জামা লইয়া যাইও কিন্তু শশুড় বাড়ির গাঁ।
.
গাঁয়ের হাটে মরিচ বেচিতাম ৫০টাকা কেজি,
৫০০ টাকার বাঙ্গালী শাড়ী নিতে কখনো হত না দেরি।
এইখানে মোর মেজো শালি ঘুমায়, এইখানে ছোট শালি,
কি আর কমু, পাখি জামা না পাইয়া কত যে দিত মোরে গালি।
এত আদরের শালিরা আমার ভালবাসিতাম কত,
পাখি জামা কিনে দিতাম না বলে আমায় ঝাটা মারিত কত শত।
.
একদিন গেনু মুরগীর হাটে তাদের রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি মোর দুই শালি লুটায় কচু গাছের ধারে।
সেই ঝাল মুখ মরিচের মত সকলি তেমন আছে,
কি জানি আবার কোন পাখির ডাকে, শালিরা আমার চলে গেছে।
.
এই খানে মোর শাশুড়ি ঘুমায়, শশুড়কে একা ফেলি,
বিষ খাইয়া মরিয়াছে সে আঁচল শাড়ী আঁচল শাড়ী করি।
সেই ফালগুনে শাশুড়ি কহিল আমায় ডাকিয়া আস্তে করি,
বাজান আমারে কিনা দিবা, আজ আঁচল ওয়ালা শাড়ী।
.
ঠেলাগাড়িতে লইয়া শাশুড়িকে চলিলাম যবে দোকানে,
আঁচল শাড়ী না পাইয়া বিষ পানে মরিলেন শাশুড়ি সেখানে।
এমনি করিয়া বিদায় নিলো শশুড়ের পরিবার,
স্টার-জলসা নষ্ট করলো সবার সাঁজানু গুছানু সংসার।।
(সংগৃহিত)
©somewhere in net ltd.