![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলে আকাশ জয়ের পথে , আমরা তখন নিকাতলায় ফতোয়া খুঁজি পুখি পুস্তুক চুষে ।
৫৪ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান অত্যাশ্চর্য এক
ক্ষমতার অধিকারী। দেহে প্রবাহিত
করতে পারেন উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ
জমা করেও রাখতে পারেন ব্যাটারির মতো
লোডশেডিংয়ে সার্বিয়ার পোজারেভাক
শহরটি অন্ধকারে ডুবে গেলেও পাজকিচের
বাড়ি ঝলমল করে আলোয়। প্রচণ্ড
শীতে রাস্তাঘাট
বরফে ঢেকে গেলে বন্ধুরা হানা দেন তাঁর
বাড়িতে। পাজকিচের 'উষ্ণ' আলিঙ্গনে বশ
মানে হাড়কাঁপানো শীত। স্লাভিসা পাজকিচের
বাড়িতে আলোর অভাব হয় না কোনো দিনই।
৫৪ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান অত্যাশ্চর্য এক
ক্ষমতার অধিকারী। দেহে প্রবাহিত
করতে পারেন উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ
জমা করেও রাখতে পারেন ব্যাটারির মতো।
বিজ্ঞানের বহু
বাঘা পণ্ডিতকে তিনি দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছেন
দেশের লোকে অবশ্য আদর করে 'ব্যাটারি-
মানব' নামেই ডাকে তাঁকে।
১৭ বছর বয়সে কারখানায় কাজ করার সময়
পাজকিচ প্রথম নিজের দেহে এই অদ্ভুত
বৈশিষ্ট্য টের পান। সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তাঁর
কয়েকজন সহকর্মী অলসভাবে রেলিংয়ে ভর
দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ
ছিটকে সরে এলেন সবাই_ধাতব
রেলিং বিদ্যুতায়িত হয়ে গেছে! কৌতূহলবশত
পরখ করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন পাজকিচ।
বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলেন, অন্যদের
মতো কোনো অস্বাভাবিকত্ব টের পাচ্ছেন না।
কয়েক দিনের মাথায় পাজকিচ আবিষ্কার
করলেন, বৈদ্যুতিক প্লাগে হাত
দিয়ে বসে থাকলেও কোনো ক্ষতি হয়
না শরীরের। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ তাঁর
মর্জিতে রীতিমতো উঠেবসে!
প্রয়োজনে দেহে তৈরি করতে পারেন
অস্বাভাবিক তাপ।
দাঁতে কামড়ে জ্বালাতে পারেন বাল্ব।
পানি গরম করতে বা সসেজ রাঁধতে দরকার হয়
না চুলার। পাজকিচের দুটি হাতই যথেষ্ট।
গিনেস বুকে দুটি ভিন্ন রেকর্ডের পাশে নাম
তুলেছেন পাজকিচ। প্রথমবার ১৯৮৩ সালে।
সাধারণ মানুষ যেখানে ৫০ ভোল্ট বিদ্যুতেই
কাবু হয়ে যায়, সেখানে তিনি ২০ হাজার
ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত করেছিলেন শরীরের
মধ্য দিয়ে।
২০ বছর পর ২০০৩ সালে এক কাপ পানির
তাপমাত্রা উন্নীত করেন ৯৭
ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সময় লেগেছিল মাত্র এক
মিনিট সাঁইত্রিশ সেকেণ্ড। এক মিলিয়ন
ভোল্টের জেনারেটর চার্জ করে শিগগিরই
আরো একটি রেকর্ড বগলদাবা করার
ইচ্ছা আছে তাঁর। আঙুল থেকে লেজার
রশ্মি ছোড়ার কায়দা রপ্ত করারও
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনেকের সামনে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ
দিয়েছেন পাজকিচ। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন
কিভাবে একজন মানুষের দেহ বিদ্যুতের
সঙ্গে এভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
অনেকে বলেন, এটার কারণ জিনগত।
তা ছাড়া পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁর
দেহে ঘামগ্রন্থি নেই। তাই
বিজ্ঞানীরা ভাবছেন দেহ নয় বরং ত্বকই
পাজকিচের বিদ্যুৎ প্রবাহের কাজ করে।
অপূর্ব এই ক্ষমতার প্রদর্শনীই এখন পাজকিচের
পেশা_'মানুষ বলে বিদ্যুৎ কারো বন্ধু
হতে পারে না। কথাটা আমার বেলা প্রযোজ্য
নয়।'
দারুণ ক্ষতাবান এই মানুষটা মাঝেমধ্যে বিরাট
ঝামেলায় পড়ে যান। যেমন
প্রদর্শনী শেষে যখন মুগ্ধ দর্শকের দিকে হাত
বাড়িয়ে দেন, অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার
ভয়ে আগ্রহ থাকলেও তাঁর সঙ্গে হাত
মেলাতে সাহস পায় না!
©somewhere in net ltd.