বৈষম্য আর বঞ্চনার "মে দিবস"

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:৪১

বুঝলেন দাদা। আজকে অনেক প্রোগ্রাম ছিলো, অনেক মিটিংয়ে যেতে হয়েছে "মে দিবস" উপলক্ষে। কত জায়গায় বক্তৃতা দিলাম আজ, ফেসবুকেও বিশাল বড় বাণী ছেড়ে এসেছি। কিন্তু বলতে হবে আমার ভাগ্য আজ খারাপই, গাড়িটা আসার পথে চাকা পান্সার হয়েছে। ড্রাইভারকে কষে একটা থাপ্পর মেরে আমি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়ালাম। আমি নেতার ছেলে, রিক্সাতে সচরাচর উঠি না। কিন্তু আজকে বাধ্য হয়ে উঠতে হলো।
যা বিশ্রী গন্ধ বের হচ্ছিলো রিক্সাওয়ালার গাঁ থেকে, আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। বললাম, "শুয়োরের বাচ্চা, তোর গাঁয়ে এতো গন্ধ কেন? তাড়াতাড়ি রিক্সা চালা!" ওই ছোটলোকের বাচ্চা কিছু উত্তর দিলো না তখন। বাসার সামনে এসে রিক্সা পৌছোবার পর আমি নেমে বাসায় ঢুকতে লাগলাম। তখন ওই ছোটলোকের বাচ্চা রিক্সাওয়ালা আমার কাছে রিক্সা ভাড়া চাইলো, " স্যার, ভাড়াটা?" আমি বললাম, " ওই শুয়োরের বাচ্চা, আমাকে চিনিস না... তুই কার কাছে টাকা চাস!" এই বলে ওকে আরো দুইটা থাপ্পরও মারলাম। ও বেচারা কিছু বললো না, রিক্সায় প্যাডেল মারতে মারতে চলে গেলো। মে দিবসে কতো ফুর্তি, কতো আয়োজন করে পালন করলাম। কিন্তু শেষে ওই রিক্সাওয়ালা আমার "মে দিবস"টাই মাটি করে দিলো, ওর গায়ের গন্ধ এখনোও আমার নাকে ঘিন ঘিন করছে।

১ টি +০/-০