নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মুক্ত চিন্তা ধারার মানুষ । নিজে যা ভাল বুঝি তাই করি । যা মনে আসে তাই লিখি ।

রক্তাক্তর প্রান্তর

একজন মুক্ত চিন্তা ধারার মানুষ।

রক্তাক্তর প্রান্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

==== অপেক্ষার প্রহর ====

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

ঋতুকে দেওয়া কথা আমি রেখেছি। ওকে কথা দিয়েছিলাম ওকে আর কোনদিনও ডিস্টার্ব করব না। আমি তা রেখেছি। কিন্তু আজ ও আমি ওকে অঙ্ক মিস করি। একাকিত্বে কাটানো মুহর্তে খুব মনে পরে ওর কথা। খুব ইচ্ছা করে , ওকে ফোন দিয়ে একবার জিজ্ঞাসা করি , " কেমন আছ পিচ্চি ????কিন্তু না। ওকে ফোন দিব না। আমি যে ওকে কথা দিয়েছি। ওকে আমি ফোন দিব না।
.
আজ থেকে ঠিক ৩ বছর আগে। ঋতুর সাথে আমার পরিচয ফেজবুক এ। আমার দিয়া ১ম মেসেজটাই মনেহয় যথেষ্ঠ ছিল আমাদের কাছে আসার জন্য।
-- হায় পুচকি। ( আমি )
-- এটা কি হলো ভাইয়া ???? (ঋতু )
-- পুচকি কে পুচকি বলবো না তো কি বলবো ??
-- খবরদার। আমি পুচকি না। নেক্সট টাইম আমকে পুচকি বললে আপনাকে খুন করব।
.
শুরুটাই ছিল আমাদের ঝগড়া দিয়ে। দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়ায় মুখরিত ছিল প্রতিটা দিন। আমি ছিলাম একটু পাগল টাইপের ছেলে। অগুছালো জীবন আমার নিত্য দিনের সঙ্গী। ও সবসময় আমাকে একটু গুছানো বানাতে চাইতো। আমার পাগলামি ছাড়ানোর জন্য অর অহেতুক ইচ্ছা গুলো ছিল " হার নিশ্চিত জেনে ও জিততে চাওয়ার " ইচ্ছা পোষণ এর মত"। যথেষ্ঠ পরিমান কেয়ারিং ছিল ওর আমার প্রতি। দিন যত যাচ্ছে দুজন আরো কাছে আসছি। এখন ছোট খাটো রাগ ,অভিমান , যেন আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। সারা দিন যতই ঝগড়া হোক , রাত হলে ও বলত , " তুমি না খেলে আমি খাব না " . আমি ছিলাম একটু নারী বিদ্দেশী। নারীদের প্রতি একটু এলার্জি ছিল। মেয়ে মানুষ এর কাছে ঘ্যাসা টা আমার একটু অপছন্দনীয় কাজ গুলোর ভিতর অন্যতম কাজ। কিন্তু ঋতুকে কাছে পাওয়ার পর আমার ওই সকল কাজগুলা যেন শুধুই অতীত। ঋতুর আমার প্রতি কেয়ার গুলো দিন দিন আমকে ওর কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে। এখন আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারি না। ঋতু মানেই যেন আলো। একমাত্র ঋতুই পারে আমাকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনতে। কারণ ঋতু ছাড়া অন্য কোন মেয়ে আমাকে কোনদিন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করাতে পারে নি।
.
আজ হটাৎ করে চলে আসলাম ঋতুর ভার্সিটির সামনে। জীবন এ কোনদিন ও কোনো মেয়ের জন্য দাড়াই নি। অনেক অসস্থি লাগছে দাড়িয়ে থাকতে মেয়েদের ভার্সিটির সামনে। বিবেক বলছে চলে যেতে , কিন্তু মন সায় দিচ্ছে না। অনেক্ষন অপেক্ষার পর ঋতুর আগমন। আমি কোনো কিছু না বলেই হাটতে থাকলাম। ঋতু ও কিছু জিজ্ঞাস না করেই হাটছে। হয়তোবা বিরক্তের ছাপটা ভালোভাবেই বুঝতে পারল সে। হুট করে দেখা করার কারণ এ আমার তেমন প্রিপারেশন ছিল না। তাই পকেটের অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। পকেটের অবস্থা যেহেতু তেমন ভালো না তাই আর রিস্ক নিলাম না। আসে পাশেই একটা পার্ক বসে পরলাম। দুজনেই চুপটি মেরে বসে রইলাম। যেন দুই বোবার সম্মেলন। নিরবতা ভেঙ্গে আমিই কথা শুরু করলাম। ওকে কাছে পেয়ে ক্রমেই যেন আমার বিরক্তি চলে গেল। ওর মত মেয়ে পাসে থাকলে কারই বিরক্ত বলে কিছু থাকার কথা না। কিছুক্ষন বসে , ঘুরা ঘুড়িকে বিদায় যানিয়ে চলে এলাম বাসায়।
.
আজ ঋতুকে খুব মিস করছি। আর বুঝতে পারছি , আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। অল্প কয়েকদিনেরপরিচয় এও যে একটা মানুষ কে এতটা ভালবাসা যায় ২২ বছর এ আজ বুঝলাম। তাহলে এতদিন পর আমার মন এ ভালবাসার ঘন্টা বাজলো। কিন্তু লাভ কি ?? আদো কি ভালবাসার কথাটা ঋতুকে বলা হবে ? হয়তবা চাইলে ও পারব না। ওর সাথে আমার যায় না। ওর বাবার অনেক টাকা। বেশ মোটা সোটা ধনাধ্য বেক্তি। ওর তুলনায় আমার কিছুই নেই। আবার পড়াশুনার দিক দিয়ে আমার থাকে জুনিয়র থাকলে ও এখন ও আমার থেকে বড়। ও কি সিনিয়র হয়ে জুনিয়র কারো সাথে প্রেম করবে ? আবেগ এ দুনিয়া চলে না। দুনিয়া চলে বাস্তবতায়। বাস্তবতা যেহিতু আমার বিপরীত , তাই অকল্পনীয় স্বপ্ন ও আমার জন্য না। আর তোমাকে বলা হলো না ভালবাসি তোমায়। হয়ত কোনদিন ও জানতে পারবে না , কতটুকু ভালবাসি আমি তোমায়।
.
আজ ঋতুর বিয়ে। ছেলে ভালো একটা জব করে। ছেলের অনেক টাকা। অর বরের তুলনায় আমি এক ক্ষুদ্র পিপিলিকা। ঋতুর সাথে আমার সম্পর্কের অবসান হয় ২ বছর আগেই। কোনো এক অদ্ভুত সময়ে , নিজের জীবনের সোন্দর্য উপভোগ করতে আমায় ছেড়ে চলে যায় ও। তার পর থাকেই অর সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ও এখনো আমার খবর না নিলেও আমি দূর থাকে ওর খবর নেই। আজ বিয়ের পিরিতে বসেও ঋতু জানলো না আমি ওর পাশে দাড়িয়ে শুধু মাত্র ওর অপেক্ষায়। শুনেছি বিয়ের কর্মকান্ড সম্পন্ন হলেই ওরা কানাডা চলে যাবে। ও চলে গিয়ে হয়ত সুখে বসবাস করবে , কিন্তু পাগলটা যে কখনো সুখে থাকবে না সেটা জানা হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.