নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত মণ

মুক্ত মণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দি এবং একমাত্র হিন্দি-ই হোক বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:২৩

বহুদিন পরে আবারো মনে হচ্ছে বাংলা ভাষাকে কিছু মানুষ এখনো ভালোবাসে। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারনা মতে আমি এক অশনী সংকেত দেখতে পাচ্ছি। ভায়েরা আপনাদের কেউকি বুঝতে পারছেন, এত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে প্রিয় ভাষা পেয়েছি, তা বিকলাঙ্গ হতে চলেছে? গত ৫/৬ বছর ধরে আমরা নিজের হাতে প্রমিত বাংলার চর্চা নষ্ট করেছি। আমি ইলেকট্রনিক মিডিয়া আর তরুন প্রজন্মের আচরনে শঙ্কিত। আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষন এখানে তুলে ধরছি, ভূল কিছু বললে দয়া করে শুধরে দিবেন।



মার্জিত বাংলার উপরে প্রথম আঘাতটি আসে ... ৫১ বর্তী'র মাধ্যমে।

খুব-ই জনপ্রিয় এ নাটকের প্রধান আকর্ষণ ছিল বাংলা নাটকের শুদ্ধ-রূপটিকে বর্জন করে অশুদ্ধ বাংলা বলার বাস্তব প্রবনতাকে উস্কে দেয়া।

মাদকের যেমন আসক্তি থাকে, তরুনদের মধ্যে বিকৃত বাংলা বলার একটি আসক্তি লক্ষ করা যায়। They think it makes them cool. এরপর একের পর এক এই ধংসলীলা চলতে চলতে এখন বলতে গেলে তেমন আর অবশিষ্ট নেই। ৬/৭ বছর আগে যে বাংলা অক্রিতীম বিনোদন দিত, এখন বাংলার সেই শুদ্ধরূপ নতুন প্রজন্মের কাছে অস্বাভাবিক ও লেকচার বলে মনে হয়। একটা কথা আমরা ভূলে যাই, তা হল ভাষাকে সুন্দর-রূপে ধরে রাখতে বা সমৃদ্ধ করতে প্রচেষ্টার প্রয়োজন। আর তা নষ্ট করা খুবই সহজ। যা আমরা প্রায়-ই করে ফেলেছি। মাদক থেকে দুরে থাকার জন্য যেমন বাবা-মায়ের ভুমিকা আছে, তেমনি দেশের সংস্কৃতিকে লালন করার জন্য আমাদের-ই টাকায় এক মন্ত্রনালয় চলছে, উচ্চ বেতনে রাখা হয়েছে মন্ত্রী। তারা সবাই আজ চরমভাবে ব্যার্থ।



বাংলার যেটুকু নতুন প্রজন্মের মধ্যে আজও অবশিষ্ট আছে, সেটাকেও পঙ্গু করার যোগাড়যন্ত্র শেষ। আর তা হল হিন্দি গান, বলিউড ছবি, হিন্দি টিভি চ্যানেল আর হিন্দি সিডি/ডিভিডি। অনেকেই হয়তো বলবেন english -ওতো বাংলাকে ক্ষতি করে, সত্যি বলতে কি, এটা শুধু তর্কের খাতিরেই তর্ক। এদেশের মানুষের ইংরেজী দক্ষতা কম থাকাতেই, তারা উন্নত আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন গ্রহন করতে শিখেনি। সেই সুযোগে নিন্মরুচীর হিন্দি সংস্কৃতি আমাদের ইংরেজির দক্ষতা ও বাংলার গভীরতা-কে প্রায় মুছে দিতে চলেছে। বাংলা ও হিন্দির মধ্যে কিছু সাধারন শব্দ রয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীরাও শব্দগুলোকে (মহল, সুবাস ইত্যাদি) হিন্দি হিসেবে জানে এবং হিন্দি টানে (মাহাল, ছুবাছ ইত্যাদি)বলতে পেরে বর্তে যায়।



নতুন প্রজন্মের জাতীয়তাবোধ কোথায় এসেছে তার একটা উদাহরন দেই..



দেশের বাইরে যারা থাকেন তাঁরা অনেকেই হয়তো ব্যাপারটি লক্ষ করেছেন: হিন্দি/উর্দু-ভাষীরা ধরেই নেয়, বাংলাদেশীরা তাদের চাকর এবং ওদের সাথে হিন্দি/উর্দুতে কথা বলতে আমরা বাধ্য। আর এ দেশের অনেকেই মনিবকে খুশী করার জন্য এমনভাবে হিন্দি বলে যেন তা মাতৃভাষা। অথচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইংরেজী ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলার অনুমতি চাওয়া একটি সাধারন ভদ্রতা।



নতুন প্রজন্মের সবকিছু যারা হালকা করে দেখছেন, তারা অনেকটাই আজকের অবস্থার জন্য দায়ী। আর হয়তো ভবিষ্যতে জৌলুস হারানো বাংলার দিকে আঙ্গুল তুলে বলবেন...ওটাতো খ্যাত লোকের ভাষা।



আমার স্বল্পবুদ্ধিতে বাংলাকে বাঁচানোর জন্য কিছু পরামর্শ (বিশেষ করে সংস্কৃতি মন্ত্রীর প্রতি...



---২১ শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদমিনারে যাওয়া কয়েক বছরের জন্য বন্ধ করা হোক। এটা (বাসায় এসে স্বপরিবারে হিন্দি সিরিয়াল আর হলিউড ছবির নকল করা বলিউড দেখা) ভন্ডামী ও শহীদদের অপমান।



---এই মুহুর্তে সকল হিন্দি চ্যানেল, সিডি/ডিভিডি, ক্যাবল টিভির নিজস্ব হিন্দি চ্যানেল অবৈধ ঘোষনা করা, অন্যথায় মোটা জরিমানা ও সন্ধানদাতাকে পুরস্কারের ব্যবস্হা করা।



---stardust সহ সকল বলিউডঘেঁসা ম্যাগাজিনে উচ্চশুল্ক আরোপ করা



----এরশাদ প্রস্তাবিত সর্বস্তরে বাংলা উঠিয়ে দেয়া। এটা বাংলার জন্যই ক্ষতিকর।



---দেশে এলাকাভিত্তিক পাবলিক লাইব্রেরী'র সংস্কৃতি আবার চালু করা।



---আপনাদের মধ্যে যাদের ব্রেইনওয়াস হয়ে গিয়েছে, ব্যাপারটি হালকাভাবে নিচ্ছেন এবং মাদকাসক্তের মতো হিন্দি উপভোগ করছেন, তারা একবার ভেবে দেখুন, কোন শেনীর বিনোদন আপনি ও আপনার পরিবার গ্রহন করছে এবং ভবিষ্যতে মনস্তাত্বিক কি প্রভাব পড়তে পারে।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৩১/-৩

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:২৮

স্বাধীনতার চরমপত্র বলেছেন: আর কিছু না হলেও হিন্দি সিরিয়ালগুলো ব্যান করতে হবে।

২| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:২৮

অপ্রয়োজন বলেছেন: শুনতে খারাপ শোনালেও এটাই বাস্তবতা।

উচ্চশুল্ক আর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এভাবে আধুনিক বিশ্বে এটা রোধ করা সম্ভব না মনে হয়। বাংলাকে ছড়িয়ে দিয়েই করতে হবে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৯

মুক্ত মণ বলেছেন: খানিকটা দ্বিমত, কলকাতায় বাংলাদেশী বইয়ের উচ্চ চাহিদার কারনে ভারতীয় সরকার শুল্ককে আমদানী বন্ধের হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। কলেজ স্ট্রীটে গেলে একটিও এদেশী বই ২০০ রুপির কমে কিনতে পারবেন কিনা সন্দেহ।
বাংলার ক্ষতিপুরনের সময়টার জন্য হলেও প্রটেকশন চাই। তাই নিষেধাজ্ঞা। সরকার সচেস্ট হলে আমার মনে হয় অসম্ভব নয়। হিন্দি ছবি তো হলে সফলভাবেই ব্যান্ড।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৩২

মাহফুজ ইসলাম বলেছেন: হিন্দি সিরিয়াল ব্যান চাই। কার্টুন দেখা যায় না।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৩২

নাহোল বলেছেন: অপ্রয়োজন বলেছেন: শুনতে খারাপ শোনালেও এটাই বাস্তবতা।

উচ্চশুল্ক আর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এভাবে আধুনিক বিশ্বে এটা রোধ করা সম্ভব না মনে হয়। বাংলাকে ছড়িয়ে দিয়েই করতে হবে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৬

রো-দ্দু-র বলেছেন: দেশের বাইরে যারা থাকেন তাঁরা অনেকেই হয়তো ব্যাপারটি লক্ষ করেছেন: হিন্দি/উর্দু-ভাষীরা ধরেই নেয়, বাংলাদেশীরা তাদের চাকর এবং ওদের সাথে হিন্দি/উর্দুতে কথা বলতে আমরা বাধ্য। আর এ দেশের অনেকেই মনিবকে খুশী করার জন্য এমনভাবে হিন্দি বলে যেন তা মাতৃভাষা। অথচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইংরেজী ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলার অনুমতি চাওয়া একটি সাধারন ভদ্রতা।

সহমত

মার্জিত বাংলার উপরে প্রথম আঘাতটি আসে ... ৫১ বর্তী'র মাধ্যমে।
খুব-ই জনপ্রিয় এ নাটকের প্রধান আকর্ষণ ছিল বাংলা নাটকের শুদ্ধ-রূপটিকে বর্জন করে অশুদ্ধ বাংলা বলার বাস্তব প্রবনতাকে উস্কে দেয়া।


একমত হতে পারলাম না। এই নাটকগুলো তরুন প্রজন্মকে দেশীয় নাটকের দিকে ফিরিয়ে এনেছে। যে ভাষায় আমরা সবসময় কথা বলছি সেটা নাটকে দেখালে সেটা সংস্কৃতি'র বা ভাষা'র উপর কি কুপ্রভাব ফেলতে পারে বুঝিনি।

অন্যান্য বিষয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কারে কি বলেন??

এই নতজানু সরকার!! কিস্যু করবেনা। পারলে ১টা হিন্দি সিরিয়ার আনেন.. বিটিভিতে প্রচার করেন.. ফাকে আপনি (সুশীলদের মতো) কোটিপতি!!! ...তারপর ২১ পদক বাগিয়ে নিয়ে বাংলা জণ্য কুম্ভিরাশ্রু ফেলবেন... আপনার জন্য টিস্যু নিয়ে লাইনে দাড়ানো বালীকার অভাব হবেনা!!

X( X(

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫২

মুক্ত মণ বলেছেন: ঠিক। কিন্তু এভাবে চুপচাপ বসে থাকতে-তো বিবেকে বাধে ভাই।
একটা সমাধান কি বের করা যায় না?


ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাংলা নাটকের শুদ্ধ-রূপটিকে বর্জন করে অশুদ্ধ বাংলা বলার বাস্তব প্রবনতাকে উস্কে দেয়ার মাধ্যমে বাংলার কোন ক্ষতি হয়েছে বলে বিশ্বাস করি না, কারণ এই দেশে আমার মনে হয় না ২-৩% এর বেশি লোক ঘরে বাইরে সব জায়গায় প্রমিত শুদ্ধ বাংলা বলে। বরং সবাই কোন না কোন আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে এবং সেই ভাষার মধ্য একটা মাটির গন্ধ আছে। বাংলা নাটকে আঞ্চলিক বা কথ্য ভাষার প্রয়োগ সেজন্য আমি ভাল ভাবেই দেখি, অন্তত বিনোদনের জন্য আঞ্চলিক ভাষাগুলো খুবই উপভোগ্য।

আর ভারতীয় অপসংস্কৃতির আগ্রাসন দূর করা খুবই জরুরী। কিন্তু সে ব্যাপারে আমাদের কারোই আসলে তেমন কোন উদ্যোগ নাই। এটা এখন অনেকটা নীরব ঘাতকের মত ঘাপটি মেরে আমাদের ঘরে ঢুকে পড়েছে। এখনই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৪

মুক্ত মণ বলেছেন: আন্চলিক ভাষার নাটক ঠিক আছে। সেটা বাদে অন্যগুলো বোঝাতে চেয়েছি। বলুনতো তৌকির, আফজাল, নোবেল---এঁদের নাটকগুলোকি উপভোগ্য নয়? গ্রামের নাটক বলবো যথেষ্ট ভালো কিন্তু শহরের গুলোতে অপ্রয়োজনীয় দৃশ্য, অস্বাভাবিক সাজসজ্জ্বা আর ভাষা.... মনে আছে বারো রকম মানু্ষ, আজ রবিবার অথবা বহুবৃহী কতটা জনপ্রিয় ছিলো? প্রতিভাবান নাট্যকারদের ব্যবসায়ী মনোবৃত্তি একটা শুন্যতার জন্ম দেয়। তাতে করে এই ধরনের একই রকম নাটকের বানিজ্য শুরু হয়।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪২

আসকওয়ানমি বলেছেন: নির্মম সত্য। আসলে আমরা যে গা ভাসিয়ে দিয়েছি। আর ভাবছি, বাহ, ভালইতো লাগছে। তবে, আপনার প্রস্তাবনা ১ কেমন যেন, বাদ দিলেই তো আর সমাধান নয়। আসলে সামাজিক ব্যবস্থাগুলোই আমাদেরকে সে পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
এমন অনেক ইয়াং জেনারেশনকে দেখেছি, যারা হিন্দি বলতে পারলে নিজেকে কি না কি ভাবে। আর হিন্দি সিরিয়ালের কথা কি বলব? মা-মেয়ে (ছেলেদের সংখ্যা নগন্য) আর কাজের বুয়া মিলে একসাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখে এমন পরিবারের সংখ্যা আমাদের বাংলাদেশে অনেক। বিশেষ করে, "স্টার প্লাস" টা বন্ধ করে দিতে হবে। আর এর জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারত তার নিজের সংস্কৃতি নিয়ে অনেক সচেতন। তারা আমাদের একটা টিভি চ্যানেল সে দেশে চালাতে দেয় না। আর আমরা কিনা ??? এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য যে কতটা লজ্জার,কতটা গ্লানির, তা সচেতন মাত্রই অনুধাবন করতে পারেন।

আপনার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ এবং +।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৭

মুক্ত মণ বলেছেন: বিশ্লেষন ভালো লাগলো।

এসব দৃশ্য প্রায়ই আমাকে রাগিয়ে তোলে।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৪

শপথ বলেছেন: অপ্রয়োজন বলেছেন: শুনতে খারাপ শোনালেও এটাই বাস্তবতা।

উচ্চশুল্ক আর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এভাবে আধুনিক বিশ্বে এটা রোধ করা সম্ভব না মনে হয়। বাংলাকে ছড়িয়ে দিয়েই করতে হবে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৪

নিশাচর নাইম বলেছেন: স্বাধীনতার চরমপত্র বলেছেন: আর কিছু না হলেও হিন্দি সিরিয়ালগুলো ব্যান করতে হবে। X( X(

---------------------------------------------------------------

হিন্দি সিরিয়াল দেইখা আমার ৫ বছরের মামাতো বইন মামা রে ডাকে বাপুজি।/:)

১১| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫২

দুখী মানব বলেছেন: ভাষার মধ্যে শুদ্ধ-অশুদ্ধ কিছু থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না

১২| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৩

দুখী মানব বলেছেন: এছাড়া আপনার বাকি সব কথার সাথে আমি একমত

১৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৮

নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: ক্ষেতই রইয়া গেলাম। হিন্দি কইতে পারিনা :( ভাবছিলাম হিন্দি সিনেমা হলে আসলে শিক্ষা ফালামু, আনতে দিলেন কই

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৪

মুক্ত মণ বলেছেন: :-)

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:০৫

সজল৯৫ বলেছেন: বাংলাকে ছড়িয়ে দিয়েই করতে হবে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ।ধন্যবাদ++

১৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:০৬

অপ্রয়োজন বলেছেন: এটা মার্কেট সাইজের ব্যাপার ভাই। কিছু টেকনিকাল জারগন চলে আসে, তাও বলি, রেসট্রিকটিভ ডিউটি চার্জ করা যায় যখন আপনার লোকাল সাপ্লাই সাফিশিয়েন্ট থাকে।

আমাদের লোকাল নাটক-সিরিয়াল, সিনেমার অবস্থা দেখেন। হিন্দি সিরিয়াল গুলো গুনেমানে খুব যে একটা ভালো তা না, তাও আমাদের অধিকাংশের চেয়ে উন্নত (সেই কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, সংসপ্তক এর মত কয়টা নাটক সিরিয়াল আছে এখন বা গত কয়েক বছরে)। পশ্চিমা দেশগুলোতে কিন্তু টিভি সিরিয়াল গুলো কমন হয়। প্রতি দেশেই নিজেদের আলাদা সিরিয়াল আছে , সেগুলো অবশ্যই গুনগত ভাবে ভালো হয় বলেই মিলিয়ন ডলার বাজেটের ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়াল গুলো থাকা সত্বেও মার্কেট পায়।

ভারতের পক্ষে রেস্ট্রিকশন আরোপ করা সম্ভব কারন তাদের মার্কেট সাইজ সাফিশিয়েন্ট। আপনি যে বইয়ের উদহারন দিলেন, তাও কিন্তু একই, তাদের অনেক (বিলিয়ন লোকসংখ্যা হলে স্ট্যাটিসটিক্যালিই তা হওয়ার কথা) ভালো লেখক আছে বলেই তাদের প্রটেক্ট করা ভারতে পক্ষে সম্ভব। মার্কেট চলে কনজিউমার চয়েসের উপর, কাজেই এফিশিয়েন্ট চয়েজে ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে এফিশিয়েন্সি পাওয়া সম্ভব না।

চায়না কিন্তু তাদের ওয়েব রেস্ট্রিকশন আরোপ করতে পারছে এই কারনেই, গুগল না থাকলেও বাইদু এর কল্যানের তাদের সমস্যা নাই, লোকাল অনেক কন্টেন্ট আছে বলেই ওয়েবে তাদের রেস্ট্রিকশন আরোপ করলেও সমস্যা হয় না (ইকোনোমিকালি বলছি, পলিটিক্যালি কথা অন্য)। নর্থ কোরিয়ার অবস্থা দেখেন, তাদের নেই তার উপর রেসট্রিকশন দিলে কি অবস্থা হয়।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:২৪

মুক্ত মণ বলেছেন: বুঝলাম, কিন্তু কিছু একটা-তো করা দরকার বালক বন্ধুর কথাগুলো ভাবিয়ে তোলার মতো। যে দিকে সবকিছু যাচ্ছে একসময়তো নিজ দেশেই নিজেকে প্রবাসি মনে হবে। সবাই সচেতন হবে তারপর সব ঠিক হবে, শুনতে অনেকটা রূপকথার মতো লাগে।

১৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৩

বালক বন্ধু বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত। এগুলো আমাকেও কষ্ট দেয়। এব্যাপারে তাই অন্যব্লগের লিখা দিয়েছিলাম।
বর্তমানে বয়সন্ধির ছেলেমেয়েদের মাঝে বিশেষ করে মেয়েদের মাঝে হিন্দী ছবির প্রভাব ব্যাপক হারে লক্ষ্য করছি।
আমার এলাকার ৫-১০ বছরের মেয়েরা নিজেদের মধ্যে হিন্দি নাচের খেলা খেলে। খেলাটা এমন একজন একটি গান দিবে অন্যজন সেই গানে নায়ক বা নায়িকা ভোবে নেচেছে সেভাবে নাচবে। ছোট হিসেবে তাদের মাঝে এগুলো এখনো খুব বেশি দৃষ্টিকটু লাগেলা। কিন্তু এই প্রজন্ম যখন বড় হবে তখন?
ছেলেদের মাঝে এর একটা খারাপ প্রভাব হল সব সময় নিজেদের ভাই ভাবা। তাই প্রায়ই একটু বয়সে বড়দের দেখা যায় ছোটদের বলতে - আমরা বড়, ভাই করে না বললে লাত্থি দিম। অথচ আমাদের সময় কাছাকাছি বয়সের, এক বা দুই ক্লাস ছোট হলেও এক সাথে খেলেছি, থেকেছি। বন্ধু হয়েছি।
পরিবর্তন হবেই। কিন্তু তা কতটুক হবে, কিভাবে হবে, কোন দিকে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে আমাদের ।

১৭| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৩০

উম্মাদ আমি বলেছেন: @ অপ্রয়োজ, আপনার সাথে আমিও একমত। আমরা নাটক সিনেমা বানানেরা সময় শুধু চিন্তা করি নকল করার। ভাল ছবি বানালে কিন্তু ভালই দর্শক টানে।

তবে কিছু বিষয়ে বৈষম্য আছে যেমন টিভি চ্যানেল ভারতে দেখতে না দেয়া। বই-পত্রে অধিক শুল্ক ইত্যাদি।

১৮| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৩১

অলস ছেলে বলেছেন: একমত। কিন্তু বন্যা ঠেকানোর উপায় নেই, কারণ এটা একটা কম্প্রিহেনসিভ সমস্যা, সংস্কৃতির একটা অঙ্গ ভাষা। ভাষাটাই মূল প্রসঙ্গ না। সাংস্কৃতিক পরিচয় হলো শিকড়ের মতো, যেইটা পচায়া দেয়া হইছে, ভাষা পোষাক জীবনযাত্রা আচরণ এসবে প্রকাশ পাবে। আরো বেশি প্রকাশ পাবে ধীরে ধীরে। এবং সহ্যের সীমা বাড়তে থাকবে একই হারে। একসময় গিয়ে কিছু থাকবে না গায়ে আর তা অস্বাভাবিক্ও মনে হবে না। আমি হিন্দি বাত বলতে না পারল্ওে বহুত ভালো পাতা হ্যায়, এবং বেশিরভাগ লোকজন বলতে পারতা হ্যায়, সুতরাং হামি আপনার শিরোনামের সাথে একমত হুয়া, বাকি লেখার সাথে দ্বিমত করকে ......... 'পারতেসি' না আর।

১৯| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৩৮

কালীদাস বলেছেন: নকলের টেন্ডেসি যতদিন আছে এগুলো কোনদিন সারবে না। ইনডিয়ান সিরিয়াল দেখা নিয়ে কোন কোন বাসায় খুনাখুনির দশা হয় পর্যন্ত! অপ্রয়োজনের সাথে একমত বাংলাকে ছড়িয়ে দিয়েই করতে হবে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ। নতুবা টিভির মত রেডিওতেও নিচের ডায়লগ চলবেই,

হাই ডিয়াড় লিসেনাড়স এখন আমড়া ফর আ হোয়াইল ব্রেকে চলে যাচ্ছি কাড়ণ মাগড়েবের আযানেড় টাইম হয়ে গেছে আর জানেনতো এই ড়মজানে মাগড়েব মিনস ইফটাড়ি আর ইফটাড়ি মানেই হলো ফ্যাসিনেটিং সব খাবাড়দাবাড়। সো এখন কোড়ান তেলাওয়াট হবে লেটস টেক আ ব্রেক ব্রেকের পড় ফিড়ে আসবো মজাড় মজাড় ড়কিং হট সব গান নিয়ে।

২০| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪১

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: আপনার ভুল বানানটি ভূল লেখা হয়েছে। এটি ভুল।

আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের আপত্তি ছিল উর্দূ’র ব্যাপারে। হিন্দির বিরুদ্ধে তাদের কোন আন্দোলন ছিল না। তাই, আমাদের হিন্দি চর্চা করতে অসুবিধা কী?

বাস্তবতা হলো বাচ্চারাও আজকাল হিন্দি বুঝতে ও বলতে পারে।

সো, মেজোরিটি মাস্ট বি গ্রানটেড !

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৬

মুক্ত মণ বলেছেন: ধন্যবাদ। আর ভুল হবেনা আশাকরি। আর শহীদ মিণারটির কোন প্রয়োজন দেখিনা। ভেঙ্গে ফেলে প্রডাক্টিভ কিছু করা যেতে পারে কি বলেন? স্বাধীনতার কচকচানি আর যুদ্ধপরাধীর বিচারেইবা সময় নষ্ট কেন বলুনতো?

২১| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৫

মেগামেন বলেছেন: আমরা ছোটবেলায় যতটুক মনে পড়ে চাচা চৌধুরী, হকের করম কার্টুন.... দেখতাম।
কিন্তু এখনকার পিচ্চিরা দেখি হিন্দি সিরায়াল দেখে??!!

২২| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫১

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আসুন হিন্দি ভাষাকে না বলি।
বাংলাকে ভাষাকে তুলে ধরি।

২৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫৮

আরি০০৯ বলেছেন: রাগে দু:খে নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে যখন দেখি তথাকথিত স্বাধীনতার সোল এজেন্সীর দাবিদারদের মুখে( অথবা তাদের ছেলে মেয়ে অথবা ব্লগে স্বাধীনতার কথা বলে দাত মুখ ভেংগে ফেলে) অনবরত হিন্দি আর উর্দূ ডায়ালগ ঝাড়া শুনতে।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৩৮

মুক্ত মণ বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ এখন হলে বেশিরভাগ মানুষ-ই রাজাকার হতো। আর উর্দু এখন রাষ্ট্রভাষা ডিক্লার হলে অনেকে মনে মনে খুশী-ই হতো।

২৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৯

মনপবন বলেছেন: সমস্যার সমাধান ভাবতে হবে আমাদের ই ।ভারতীয়দের দোষ দিয়ে কী লাভ?বরং তারা সফল যে তারা তাদের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে পারছে।

মুক্তবাজার অর্থনীতি অবলম্বন করছে আমাদের সরকারগুলো,সেইসাথে আছে আমাদের মানষিক দারিদ্রতা।১টা পন্য কিনতে গেলে আগে সবাই বিদেশীটাই চেখে দেখে।অথচ যার ১টা ইন্ডাস্ট্রি দেয়ার খমতা আছে,সে ভাবে না এই বিস্বমানের পন্যটি কি আমরা নিজেরা তৈরী করতে পারি না?বা আমাদের দেশি পন্যটি কী আমরা কিনতে পারি না?

আসুন অভিমানের কথা না বলে আমরা সমাধানের কথা বলি, এবং শুধু বললেই হবে না যে যে অবস্থানেই থাকি না কেন আমাদের সমন্মিতভাবে সরকারকে সে সমাধানের কাজটা করতে চাপ প্রয়োগ করি।

১।আমাদের চলচিত্র শিল্পকে উন্নত করার জন্য খোদ সরকারকেই উতসাহ দিতে হবে গুনী ও মেধাবী পরিচালকদের,তা হোক টাকা দিয়ে বা এফ ডি সি কে টেকনোলোজিগত দিক থেকে উন্নত করে।

২।বাংলাকে উচ্চতর শিকখাখেত্রে পড়াশোনার মাধ্যম করার জন্য উপযুক্ত করতে হবে।

৩।ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলোর কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

৪।১টা যুগোপযুগী ও সমৃদ্ধ,প্রয়োগনির্ভর শিকখাব্যবস্থা প্রনয়ন করা।

৫।এলাকাভিত্তিক পাবলিক লাইব্রেরী নির্মান ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য উতসাহ দেয়া।

হিন্দি আগ্রাসনকে থামানোর জন্য রেস্ট্রিকশন নয় দরকার বাংলাকেই যার যার অবস্থান থেকে ছড়িয়ে দেয়া।

আর মা খালা শিশুদের হিন্দি সিরিয়াল দেখার ব্যাপারে পরিবারে যে ব্যক্তিটি সচেতন এর খারাপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তার উচিত সবাইকে সচেতন করা,মা খালারা সচেটন হলে শিশুরাও আর তাদের অনুকরন করবে না।

আমি যে কটি সমাধান দিয়েছি চাইলে যে কেউ তার সাথে আরো যুক্ত করতে পারেন।

২৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৬

মেঘবন্ধু বলেছেন: কথাগুলো অপ্রিয় হলেও Present Indefinite Tense(চিরন্তন সত্য)। পোষ্টে +

২৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৩০

কাঙাল মামা বলেছেন: +

----এরশাদ প্রস্তাবিত সর্বস্তরে বাংলা উঠিয়ে দেয়া। এটা বাংলার জন্যই ক্ষতিকর।


এইটা আবার কি?

২৭| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৫

আজিব পোলা বলেছেন: ++
সামুর জনপ্রিয় ব্লগার কে

২৮| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০৩

দ্রোহি বলেছেন:

আমাদের দেশে বেশীর ভাগ ছেলে-মেয়েরাই ইংরেজীকে ভাষা হিসেবে না দেখে Subject হিসেবে দেখে। তাই কিছু ব্যাকরণগত অর্জনের মাধ্যমে পরীক্ষায় পাশ করাটাই মূখ্য। অপরদিকে হিন্দী ভাষা হিসেবে বাংলার অনেকটা কাছাকাছি হবার কারণে বোঝা বা বলার ক্ষেত্রে সাবলীলতা বোধ করে অনেকেই।

কেউ হিন্দীকে ভাষা হিসেবে শিখতে চাইলে সেখানে কিছু বলার নেই। কিন্তু তাতে যদি নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে মিশেল করে একটা জগাখিচুরি পাকাবার প্রয়াস থাকে তবে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। ইংরেজী'র বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। তবে বাংলাদেশে ইংরেজী'র চাইতে হিন্দী'র সংস্কৃতিক আগ্রাসনটা অনেক বেশী। এর প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন এবং সামাজিক জীবনেও লক্ষণীয়।

হিন্দী চ্যানেল বন্ধ করার পক্ষে একটা যুক্তিই যথেষ্ট। ভারতে আমাদের কোন চ্যানেল প্রচার করার অনুমতি দেয়া হয়না।

সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় আঞ্চলিক বাংলা এবং কথ্য ভাষার ব্যবহার আগেও হয়েছে এবং হবে। এটা দোষনীয় নয়। তবে সেই সাথে সকল ক্ষেত্রে প্রমিত বাংলার ব্যবহার অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

বিশ্ব মানের বিনোদন আস্বাদনের জন্য ইংরেজী জানাটা জরুরী। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্ব-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিষয়ে নিজ ভাষায় জ্ঞানার্জনকে উৎসাহিত করা হয়। সরকার নয়, আমাদের দেশে এই ভুমিকাটা পালন করেছে 'সেবা প্রকাশনী'।

এ বিষয়গুলো নিয়ে হাজারটা ব্লগ লিকেও কিছু হবেনা, যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের আত্মউপলব্ধি না জন্মাবে এবং জাতিসত্ত্বার বিকাশ ঘটবে।

২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১৩

মুক্ত মণ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৯| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫১

কামরুল৯৯ বলেছেন: হিন্দি চ্যানেল গুলা অনেকটাই নষ্টের মূল

++++++++++

৩০| ২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯

রাকা ও আমি বলেছেন: স্বাধীনতার চরমপত্র বলেছেন: আর কিছু না হলেও হিন্দি সিরিয়ালগুলো ব্যান করতে হবে। সহমত।

৩১| ২৫ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

সাদা ছায়া বলেছেন: িন্দির আগ্রাসন রোধ চাই

৩২| ২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৭:৩১

বাংলাকে ভালবাসি বলেছেন:



দেশের প্রতি ভালবাসা যেখানে নাই সেখানে আর কি আশা করা যায়।

৩৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২৮

নীলঞ্জন বলেছেন: অসাধারণ সময়োচিত পোস্ট। বহুরাশ ধন্যবাদ।+++++++++++++++++++++++++++++++++++

৩৪| ১২ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৪৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: হিন্দী ভাষার আগ্রাসন ইতিমধ্যে ভারতেই বাংলাভাষার সর্বনাশ করেছে। কোলকাতায় জাতে ওঠার জন্য বাংলার চেয়ে হিন্দী বলার একটা প্রবণতা বেশি। আমরা আমাদের ভাষার জন্য গর্বিত। এই আগ্রাসন ঠেকানো হোক।
++

৩৫| ১২ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

মুক্ত মণ বলেছেন: শুনতে হয়তো স্বৈরাচারীর মতো লাগবে কিন্তু আমার বাসায় আমি হিন্দি ব্যান্ড করে দিয়েছি। দেশের বাইরে থাকায় মনে হয় পেরেছি। তবে বাসার সবাই বেশ রেগে আছে। মাদকাসক্ত লোককে নেশার জিনিস না দিলে যেমনটি হয় আরকি।

৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪৮

ময়মনসিংহ হতে বলেছেন: দুঃখের সংবাদ হলো, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী যার‍া থাকে, তাদের অনেকেই হিন্দিতেই কথা বলে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

মুক্ত মণ বলেছেন: আর হিন্দি যাদের মাতৃভাষা তারা বাংলার ধার-ও ধারে না। ওরা ধরেই নেয় আমরা হিন্দি বলতে বাধ্য। সমস্যা হল আমাদের মেরুদন্ডের।

৩৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:২০

কূপমন্ডুক বলেছেন: তিনটা হিন্দীভাষী বাংলাদেশী বলদ মাইনাসও দিয়া গেছে। ভয়তে আছি কয়দিন পর হয়তো দেখব সামুতে সবাই হিন্দীতে পুষ্ট দিতাছে। #:-S #:-S #:-S

৩৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

চিন্তায় আছি বলেছেন:
চলুন আমরা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করি, অনলাইন/ অফলাইন সব জায়গায়,বাংলা ভাষার জন্য আরো একটা বড় ধরনের আন্দলনের প্রস্তুতি নেই

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৮

মুক্ত মণ বলেছেন: সাথে আছি এবং ব্যাক্তিগত জীবনে যথাসাধ্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। টিভির হিন্দী চ্যানেল অন্য ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে রিপ্লেস করে চাইল্ডলক পাসওয়ার্ড দিয়ে রেখেছি। যাতে ছোট ভাইবোনদের হিন্দীর ছোবল থেকে বাঁচাতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.