নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লঘু বুদ্ধির লঘু মানব!

তন্ময় সাগর

ব্যাক্কল কথন!

তন্ময় সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিনে রাখবো। চুপ করো , খামোশ!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

এটা পুরোনো দিনের আচরণ। বাঙ্গালী 'খামোশ' শুনতে অভ্যস্ত। 'খামোশ' এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতেও অভ্যস্ত। কিন্তু এবারের 'চুপ করো, খামোশ' টি কিছুটা হলেও ভিন্ন। 'চিনে রাখবো'টিও তাই। 'চিনে রাখাবো'র মধ্য দিয়ে বার্তা বা হুমকী দেয়া হয়েছে আদতে। ক্ষমতায় আমরাই আসছি। তখন দেখে নেবো। কত কামালে কত তারেক! ভুল বললাম, কত ধানে কত চাল!

আ'লীগের বিপরীতে ঐক্যফ্রন্ট শুধু ধোয়া তুলসী পাতাই নয় রীতিমত পূণ্যবানদের জোট। দেশ বাঁচাতে সব নিষ্পাপরা জোট বেধেছে ঐক্যফ্রন্টে। এই মূহুর্তে আ'লীগের বদলে ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় না এলে দেশ -গণতন্ত্র কিছুই থাকবে না। এই হল ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য। তাঁদের ভাবমূর্তি এমনটাই তাঁরা দাবী করে!

আ'লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগের শেষ নেই। একইভাবে ঐক্যফ্রন্টের বিপরীতেও আ'লীগের অভিযোগের শেষ নেই।

আ'লীগের বিরুদ্ধে ভোটার ও ভোট বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ প্রধান অভিযোগ। অপরদিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাবার বা আ'লীগকে উৎখাতের অনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ। দেশ- গণতন্ত্র নিয়ে কোন এজেন্ডা ঐক্যফ্রন্টের নেই। অন্তত বিগত সময়ের বিএনপি সরকারের শাসনামল তাই বলে। শেখ হাসিনাকে নিয়েই যত গাত্রদাহ ঐক্যফ্রন্টের। শেখ হাসিনাকে নিয়ে একইরকমের গাত্রদাহ দেখেছি বামপন্থীদের মধ্যেও। ক্ষমতায় জামাত আসুক। সেও ভাল, তবুও হাসিনাকে আরেক দফা ক্ষমতায় দেখতে চাইনা- এমন বক্তব্য নিজের সামনে অন্তত একজন বামপন্থী বলে দাবীদার বড়ভাইকে দিতে দেখেছি-শুনেছি। খালেদা- তারেক- কামাল আর জামাতে বামপন্থীরা কী পেয়েছে যেটা হাসিনাতে পায়নি সেটা বামপন্থীরাই ভাল বলতে পারবে। কিছু একটা তো পেয়েছে। নতুবা হাসিনার জায়গায় শুধু শুধু জামাতকে চাইবে কেন? এমনকি নিজেদেরও চাইছে না!! বুঝুন অবস্থা।

বিবদমান দু জোটের চরিত্র আলোচনা করলে লাউ কদুর পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য আমরা সাধারণেরা খুঁজে পাই না। সেখানে কামালের আড়ালে তারেক বা শেখ হাসিনা যেই ক্ষমতায় আসুক তাতে কার কী আসে যায়! অন্তত আমাদের জীবনে মৌলিক কোন পরিবর্তন তো আসবেই না। তবে, আ'লীগের গত দশ বছরে অন্তত সরকারের রুটিন কিছু কাজ নিয়মিতভাবে হয়েছে যার সুফল আমরা পেয়েছি- পাচ্ছি। যা এর আগের বিএনপির সরকারের সময়ে হয়নি। অন্তত ঢাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ গ্যাস পানির সংকট এর আগের বিএনপি সরকারের আমলের মত গত দশ বছরে পাননি। এই সত্যটা বলার জন্য নিরপেক্ষ হওয়া বা ভারসাম্য বজায় রাখা একেবারেই অনুচিত। কিন্তু সরকারের রুটিন কাজ তো কৃতিত্ব হওয়া উচিত নয়। কৃতিত্ব আমরা দিতেও চাই না। কেননা রুটিন কাজ করাই সরকারের দায়িত্ব। এটা আমাদের প্রতি কোন বাদ্যনতা নয়।

ক্ষমতায় না গিয়েই ড. কামালরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন কেন? যার ইংগিতও তাঁদের কথায় ও আচরণে এখনই পাওয়া যাচ্ছে।'চিনে রাখবো' 'চুপ করো' 'খামোশ' তো অসহিষ্ণু মনের অসাবধানি আলগা প্রকাশ মাত্র। ভিতরে না জানি আরো কত কী আছে!! নাকি ভেবেছেন অসহিষ্ণু হওয়ার মধ্যে পৌরষত্বের প্রকাশ আছে? বাঙ্গালি এরকম অসংস্কৃত অভব্যতাকেই তাঁকে শাসনের যোগ্যতা বিবেচনা করে ক্ষমতায় হির হির করে বসিয়ে দেবে? আ''লীগকে হারাতে হলে তাঁদের অভিযোগ অনুযায়ী আ'লীগের যে ফ্যাসিস্ট চরিত্র সেটাকে ছাপিয়ে যেতে হবে? নৃশংসতাকে নৃশংসতা দিয়ে মোকাবেলা বা জয় করতে হবে? আরো বড় নৃশংস হতে হবে?

'খামোশ' সম্ভবত বাংলা শব্দ নয়। চুপ করোর সমার্থক। তবে চুপ করো বাংলা শব্দ। ড.কামাল বাংলা বলে সন্তুষ্ট হননি। বাংলা বলে তাঁর গাত্রদাহ পুরোপুরি প্রকাশ হয়নি মনে করেছেন , তাই সাথে সাথেই 'খামোশ'ও বলেছেন। চিনে রাখতে চেয়েছেন। এটা আরো ভয়ংকর অসহিষ্ণুতা। পাড়ার গুন্ডারা এভাবে চিনে রাখতে চায়। ক্ষমতার পালাবদলে সুযোগ বুঝে চিনিয়েও দেয়। ক্ষমতায় না এসেই যদি চেনানো শুরু করে আর চুপ থাকতে বলে তাহলে ক্ষসতায় গিয়ে কী করবে? শেখ হাসিনার দশ বছরের চাইতে ভাল কিছু হবে তো?

কিন্তু আমরা আমজনতা আর কত চুপ থাকবো! আর কত চিনে রাখবো। সববাইকেই তো চিনলাম। সব সময়ই তো চুপ করেই থাকি। আর কত? এক উনুন থেকে আরেক উনুনে, এক কড়াই থেকে আরেক কড়াইতে আমরা শুধু জ্বলতেই থাকবো?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.